আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূলত নিজে থেকে কিছু বলতেন না । স্বীয় প্রবৃত্তি তার কাছে হার মেনেছিল সূচনা লগ্ন থেকেই। প্রভূত্বের ইচ্ছা অনিচ্ছার সাথে ছিল চিন্তা চেতনার যোগসাজশ। তাই তিনি যে কথা বলতেন তা হাদিস এবং ওহী। ওহীয়ে গায়রে মাতলু। আর জিবরাইল আমীন যে বাণী নিয়ে আসতেন তা হল ওহীয়ে মাত্বলু তথা তিলাওয়াত যোগ্য ওহী। সুতরাং রাসূল বর্ণিত বিষয়াবলির মধ্যে ত্রুটি বিচ্যুতির অবকাশ নেই। সেজন্যই কাল থেকে কালাবদি যুগ থেকে যুগান্তর নবীজির প্রতিটি কথা কাজ তথা সুন্নাত গবেষণা যুগ্য প্রমাণিত উপকার প্রদানের অব্যর্থ টিপস হিসেবে বিবেচিত। হযরত আবু হোরায়রা ( রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন - হযরত রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন " আজওয়া জাতীয় খেজুর জান্নাত থেকে এসেছে। এতে বিষক্রিয়া থেকে আরোগ্য হওয়া যায়। আর মাশরুম হচ্ছে -মান্না ( বনি ইসরাইলদের প্রতি একপ্রকার আসমানী খাদ্য) এর পানি চোখের রোগের উপশমকারী। (জামে তিরমিযি)
আজ্বওয়া খেজুর যা হাদিসে বর্ণনা এসেছে তার উপকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। মূলত আল্লাহ প্রদত্ত সব নি'য়ামতই জান্নাতি নিয়ামতের দুনিয়াবী সংস্করণ। তন্মধ্যে আজওয়া খেজুর বিশেষভাবে মহিমান্বিত। আর মাশরুমের খাদ্যমান ও শারিরীক উপকারিতার বিশদ বিবরণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্বীকৃত। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বর্ণিত এসব উপকারী বিষয় সমূহ চৌদ্দশ' বছর পরে আজও গবেষণা চলছে এবং এর নিপুন উপকারিতা প্রমাণিত হচ্ছে।