ইসলামে মানবসেবার গুরুত্ব
ইসলামে মানব সেবাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই ছিলেন মানব সেবার সর্বোত্তম উদাহরণ। কিশোর বয়সেই মানব সেবার উদ্যোগ নিয়ে তিনি মক্কাবাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন। আর্তমানবতার সেবা এবং ক্ষুধার্তকে অন্নদান বিরাট সওয়াবের কাজ ও আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষার অনেক বড় মাধ্যম। বিশেষত, আত্মীয়-স্বজন ও এতিম এবং গরিব পাড়া প্রতিবেশীকে অন্নদান করা হলে তাতে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়। প্রথমত, ক্ষুধার্ত ব্যক্তির ক্ষুধা দূর করার সওয়াব। দ্বিতীয়ত, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর ও আত্মীয়তা বজায় রাখার সওয়াব। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমন ঘটেছিল হিংসা ও হানাহানিতে ভরা তৎকালীন আরব সমাজে। এ ঘুণেধরা সমাজে রহমতে আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রদত্ত বিধানের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন করেন। তিনি কৈশোর থেকে যৌবনের ৪০ বছর পূর্ব পর্যন্ত মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি এ মহতী কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন। তাইতো মক্কার জনসাধারণ তাকে উপাধি দিয়েছিল আল-আমিন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনসাধারণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োগ করেছিলেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘হিলফুল ফুজুল’ বা সেবা সংঘের মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবা, অত্যাচারিতের পাশে দাঁড়ানো, অসহায়দের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানের দ্বারা সব মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। এমনকি তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করলেন ‘উন্নত চরিত্র মাধুরীর পূর্ণতা বিধানকল্পে আমি এ পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছি। ’ বিদায় হজে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের তথা প্রতিটি মুসলমানের জান, মাল, সম্পত্তি, ইজ্জত, শরীরের চামড়া যেভাবে আজকের এ মহান ইয়ামুন্নাহারের দিনে, এ পবিত্র জিলহজ মাসে এ পবিত্র হেরেম শরিফে হারাম ও সুরক্ষিত, ঠিক তেমনিভাবে সব দিন, সব মাস ও সর্ব স্থানে হারাম ও সুরক্ষিত বলে গণ্য হবে। খবরদার। তোমরা আমার অবর্তমানে পুনরায় কাফেরদের ন্যায় পরস্পর মারামারি, কাটাকাটিতে লিপ্ত হবে না। (বুখারি শরিফ)। ইসলাম নিজেকে ভালোবাসতে শেখায় এবং অন্যকে ভালোবাসতে উদ্বুুদ্ধ করে। ইসলাম মানুষকে নিজের উন্নতি ও কল্যাণের, মানুষের সেবা ও খেদমতের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য উদ্বুদ্ধ করে। আর তাতেই ব্যক্তি তথা, সমাজ এক কথায় জাতীয় জীবনে নেমে আসতে পারে শান্তি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
লেখক :এম.ফিল গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৬৯২
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
নামাযের হেফাজত করুন হযরত রাসুল (সা:) বলেন -যে ব্যক্তি নামাযের......
পিপীলিকার প্রজ্ঞাপাঠ وهم لا يشعرون আমাদের স্বভাব, যেখানে একজন আরেকজন......
কুরঅানের বাণী দুনিয়ার সুখের প্রতি আকৃষ্ট হয়ো না। কেননা তা......
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ছেড়ে দেয়, সে কাফের হয়ে যায়। ...
প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে আল্লাহ্ তা'লা বলেন, "......
মসজিদে নামাজের উপকারিতা প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত......
গবেষণা করে কি হয় তা এক কথায় উত্তর দেয়া কঠিন।......
গবেষণার সংজ্ঞা Definition of Research Research is a careful inquiry......
اوّل ما یحاسب به العبد یوم القیامةالصلوة. অর্থ : কিয়ামতের......
১. চুরি। ২. চোগলখোরী। ৩.মিথ্যা। ...