মানব জীবনে চরিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাহ্যিক আচার-আচরণ তার মনে গ্রোথিত মূল্যবোধ ও গুণাবলীর আলোকেই সম্পাদিত হয়। দার্শনিক ইমাম গাজ্জালীর মতে, মানব মনে যেসব গুণাবলি জাগরিত হয় বাহ্যিক কাজকর্মে তারই প্রতিফলন ঘটে।চরিত্রবান লোককে সমাজের সবাই শ্রদ্ধা করে। এজন্য বলা হয়,
সচ্চরিত্র গঠনের জন্যই যুগে যুগে সংস্কারকরা মানুষের সংশোধন ও পবিত্র জীবন যাপনের পন্থা হিসেবে তাদের আত্মার পরিশুদ্ধি ও মূল্যবোধের জ্ঞান প্রথমেই শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতেন। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের উন্নতি-অবনতি, উত্থান-পতন, মান-সম্মান ইত্যাদি সব কিছুই তাদের মানসিক বিকাশ ও মূল্যবোধ জাগ্রত করার ওপরই নির্ভর করে।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে:
১-আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটান না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁরা তাঁদের ভাগ্যে পরিবর্তনের চেষ্টা না করে। (সূরা আর-রাদ,আয়াত ১১)
২- যে নিজেকে (আত্মাকে) শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়। এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ হয়”। [শামসঃ ৯-১০]
৩-নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয় ”। [আ’লাঃ ১৪]
চারিত্রিক উন্নতি বিকাশকে ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। এমনকি তা ইসলামী শিক্ষার অন্যতম একটি কোর্স হিসেবে পরিগণিত করা হয়। পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ মতে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ তথা সমগ্র মানব সমাজের চারিত্রিক উন্নয়নে প্রচুর নির্দেশনা বিদ্যমান। মূলত মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য এ চরিত্রের আলোকেই হয়ে থাকে। আখলাকের মাধ্যমেই মানুষ মনুষ্যত্বের চূড়ান্ত মানে উন্নীত হতে পারে।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। এ বিধানের পরিপূর্ণতার জন্য তাতে উন্নত চরিত্রের বিধান থাকা আবশ্যক। তাই ইসলামে আখলাকুল হাসানাহ্ তথা উন্নত চরিত্রের স্থান অনেক ঊর্ধ্বে। নিম্নের আলোচনায় তার প্রতি ইঈিত প্রদান করা হচ্ছে।
উত্তম বলতে বুঝায়?
এক- উন্নত আখলাক, যেমনঃ- বিনয়, উদারতা, দয়া, তাকওয়া, সত্যবাদিতা, আহাদ, আমানতদারিতা, ক্ষমাশীলতা ইত্যাদি
দুই- নিন্দনীয় আখলাক, যেমনঃ- হিংসা, বিদ্বেষ, পরনিন্দা, অহংকার, নীচতা, হীনতা ইত্যাদি।
এখন মানুষের এই চরিত্রকে সুন্দর করার জন্য তাকে প্রথম প্রকারের গুণাবলী একদিকে যেমন অর্জন করতে হবে অন্যদিকে তাকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানবীয় দোষাবলীকে পরিহার করতে হবে। যদি কেউ কেবলমাত্র একটি শ্রেণী অর্জন করতে সমর্থ হয় এবং অন্য শ্রেণীর গুণাবলী অর্জন করতে সক্ষম না হয় তাহলে সে নিশ্চিতরুপে সচ্চরিত্র গঠনে ব্যর্থ হবে। এরজন্য সচ্চরিত্রের অধিকারী হওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই দুই ধরনের গুণাবলীর নজর দিতে হবে। এখন ইসলাম মানুষের সুন্দর চরিত্র গঠনের ব্যাপারে কি ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সেই সম্পর্কে পূর্বে আমাদের জানা উচিৎ। কোন মুসলিম জন্য আল্লাহর জন্য তার স্বীয় আখলাককে উন্নত করে তাহলে
পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের নিমিত্তে আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রসূল পাঠিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে পৃথিবীতে পাঠানোর অন্যতম কারণ সচ্চরিত্রের বিকাশ সাধন।
নবী করীম (স.) বলেন:
১- ‘আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তেই পাঠানো হয়েছে।’ একদা জনৈক ব্যক্তি রসূল (স.) কে দ্বীনের সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘উত্তম চরিত্র।’ এ কথা দ্বারা বুঝা যায় উত্তম চরিত্র দ্বীনের অন্যতম একটি রুকন,যা ব্যতীত দ্বীনের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না। যেমন হজ সম্পর্কে রাসূলের বাণী: ‘হজের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুকন হচ্ছে আরাফায় অবস্থান করা, যা ব্যতীত হজ আদায় হয় না, তেমনিভাবে সচ্চরিত্রতা ব্যতীত দ্বীন ও পরিপূর্ণ হয় না।
২- রাসূল(সাঃ) বলেন, “উত্তম চরিত্র থেকে মীযানে অধিক উত্তম কোন আমল নেই।”[আবূ দাউদঃ৪১৬৬]
১৬৭৯
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
There are six good qualities which one believer should display......
Hadhrat Bareedah (Allah be pleased with him) narrates that Muhammad......
This is the dress [referring to a silken garment] of......
Whoever does not show affection to the young and respect......
Actions will be judged by intentions, and everyone will be......
Fear Allah wherever you are, and follow up a bad......
“Whoever opens a way to a charitable deed is like......
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى......
If someone stockpiles grapes during harvest time and holds them......
Hadhrat Abu Hurairah (Allah be pleased with him) narrates that......