সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

গীবত জিনার চেয়েও নিকৃষ্ট
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : শুক্রবার ০২/০২/২০১৮

গীবত জিনার চেয়েও নিকৃষ্ট 

গীবত শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ পরনিন্দা, কুৎসা রটানো, দোষ বর্ণনা করা ইত্যাদি। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় গীবত বলা হয় কারও অনুপস্থিতিতে তার এমন কোনো দোষ অন্যের কাছে বর্ণনা করা যা শুনলে সে কষ্ট পাবে। প্রকৃতপক্ষে যদি তার মধ্যে সেই দোষ থাকে তাহলে তা হবে গীবত, আর যদি না থাকে তবে তা অপবাদ। মূলত অপবাদ গীবতের চেয়েও নিকৃষ্ট। কারও চরিত্র, বংশ, শারীরিক গঠন, বিবেক-বুদ্ধি, পোশাক-পরিচ্ছেদ ইত্যাদি যে কোনো বিষয়ের দোষ বর্ণনা করাই গীবত।

 

মুখে বলার দ্বারা যেমন গীবত হয়, তেমন ইশারা-ইঙ্গিত ও অঙ্গভঙ্গির দ্বারাও গীবত হয়। গীবত করা ও শ্রবণ করা উভয়টি সমান অপরাধ। জীবিত মানুষের গীবত করা যেমন হারাম, মৃত মানুষের গীবত করাও তেমন হারাম। গীবত জিনার চেয়েও নিকৃষ্ট এবং আপন মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার সমান। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা আল কোরআনে বলেছেন,

‘তোমরা একে অন্যের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করো না এবং পরস্পর গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে পছন্দ করবে? বস্তুত, তোমরা তা ঘৃণাই কর। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। ’ (সূরা হুজুরাত : ১২)।

 

মহান আল্লাহ কোরআনের অন্যত্র বলেন, ‘পেছনে ও সামনে প্রত্যেক পরনিন্দাকারীর জন্য দুর্ভোগ। ’ (সূরা হুমাজাহ : ১)।

 

হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার রসুলুল্লাহ (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই এ দুই কবরবাসীকে আযাব দেওয়া হচ্ছে। তবে বড় কোনো অপরাধের কারণে নয়; এদের একজন প্রস্রাব থেকে নিজেকে হেফাজত করত না। অন্যজন গীবত করে বেড়াত। ’ (বুখারি)।

 

প্রিয় নবী (সা.) আরও ইরশাদ করেন, ‘গীবত জিনার চেয়েও নিকৃষ্ট। ’ (মিশকাত)।

 

গীবত করার দ্বারা বান্দার সম্ভ্রমহানি ও তার হক নষ্ট হয়। সুতরাং গীবতকারী যদি এর শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়, তাহলে যার গীবত করেছে তার কাছে অবশ্যই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। নতুবা আল্লাহ গীবতকারীর সব নেক আমল গীবতকৃত ব্যক্তির আমলনামায় দিয়ে দেবেন। আর যদি গীবতকারীর কোনো নেক আমল না থাকে তাহলে গীবতকৃত ব্যক্তির সব গুনার বোঝা গীবতকারীর আমলনামায় চাপিয়ে দেবেন। প্রিয় পাঠক! গীবত কখনো অহংকার, ক্রোধ ও সম্মানের মোহ থেকে সৃষ্টি হয়, আবার কখনো হিংসা থেকে এর জন্ম হয়। যেখান থেকেই এর উৎপত্তি হোক না কেন, গীবত চরম ঘৃণিত, নিন্দিত ও নিকৃষ্ট অপরাধ; যা পরিহার করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ আমাদের গীবত নামক গর্হিত অপরাধ থেকে সম্পূর্ণরূপে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।

 

লেখক : ইসলামী গবেষক।

৫২৫

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭