সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

হারাম ভক্ষণের অপকারিতা ও হালাল উপার্জনের উপায়।
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : বুধবার ১৪/০২/২০১৮

আল্লাহ পাকের ঘোষণা " লা তাত্তাবিউ খুত্বুয়াত্বিস শাইত্বান। " অর্থাৎ তোমরা শয়ত্বানের পদাংক অনুসরণ করো না।

প্রকাশ থাকে যে শয়ত্বান মানুষ কে নিজের কাজে সফল সাথী বানায় বিভিন্ন ভাবে। এর মধ্যে উপার্জনের ক্ষেত্রে হারামের প্রতি মানুষ কে আকৃষ্ট ও ধাবিত করা সহজ কিন্তু তার ফলাফল সুদূর প্রসারি। কারণ হালাল উপার্জনের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ক্ষতি ও অনিবার্য অনিষ্ট যা দুনিয়া ও আখিরাত ব্যাপী প্রসারিত।

যেমন- আল্লাহর নবী নুরের ছবি হাদীছ করেছেন --" কুল্লু জাসাদীন নাবাত মিন সুহতিন ফান নারু আওলা বিহি। " যে দেহ হারাম খাদ্যে পরিপুষ্ট হয়েছে, জাহান্নাম ই হচ্ছে তার জন্য অধিক যোগ্য স্থান। " এটাতো চুড়ান্ত ক্ষতি যা মানব জনমকেই  ব্যর্থ করে দেয়। পরকালিন ফলাফল এর চে' খারাপ আর কি হতে পারে? দুনিয়াবী অনিষ্ট হচ্ছে - হারাম খাদ্য গ্রহনের ফলে দেহ বিকার গ্রস্থ হয়। মন মানবিকতার গুনাবলি থেকে অনাসক্ত হয়। রুগে শোকে দেহ জর্জরিত হয়। হারাম রক্ত উতপন্ন হয়। ছেলে সন্তান অমানুষ হয়। সর্বোপরি হারাম ভক্ষনকারীর দোয়া চল্লিশ দিন পর্যন্ত ক্ববুল হয় না।আরো অনেক অপকারিতা যা কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় আমার এ পরিসর সংক্ষিপ্ত করলাম। এবার আসা যাক হালাল উপার্জনের ক্ষেত্রে কি বাস্থব মুখি পদক্ষেপ গ্রহন করা যায়।

মহান আল্লাহ কালামে পাকে ঘোষণা করেন- "ইয়া  আইয়্যুহাল লাজিনা আমানু কুলু,, মিনাত ত্বায়্যিবাতি মা রাযাক্বনাকুম ওয়াশকুরু,, লিল্লাহি ইন কুন্তুম ইয়্যাহু তা বুদু,,ন।" অর্থাৎ হে ঈমানদার সকল!  তোমরা পবিত্র রিযিক ভক্ষন কর, যা আমি তোমাদেরকে জীবিকা দিয়েছি। আর আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। যদি তোমরা  কেবল তারই ইবাদত কর। "

সুতরাং হালাল উপার্জনের ক্ষেত্র সমূহ নিজে তালাশ ও অর্জন করে নেয়া অপরিহার্য। মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান-" ত্বালাবু কাসাবিল হালালে ফারিদ্বাতুন বা' দাল ফারিদ্বাহ "অর্থাৎ বৈধ উপার্জন অন্বেষণ করা ফরযের পরে একটি ফরয। 

আমরা নিম্নলিখিতভাবে হালাল জীবিকা তালাশ করতে পারি।

* কায়িক শ্রমের মাধ্যমে : শ্রমের বিনিময় অর্থ গ্রহন।

* সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের মাধ্যমে জীবিকার্জন।

* ব্যবসা মাধ্যমে বৈধ উপার্জন। অন্যান্য বৈধ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে।

যেমনঃ 

ক। পশুপালনের মাধ্যমে।  

খ।নার্সারী করার মাধ্যমে।

গ।হাঁস খামার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

ঘ। বৃক্ষরোপন করার মাধ্যমে।

ঙ। নানা রকম কুটির শিল্পের মাধ্যমে।

চ।তথ্য প্রযুক্তিতে জ্ঞানার্জনের মাধমে। ইত্যাদি। 

 

 

৪১৯

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭