সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

লাইলাতুল ক্বদর এর মহাত্ব ।
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : শনিবার ০৯/০৬/২০১৮

লাইলাতুল ক্বদর পবিত্র মাহে রামাদ্বানের এক মহিমান্বিত রাত । যাকে পবিত্র কালামে পাকের পরিভাষায় লাইলাতুল ক্বদর বলে ঘোষণা করা হয়েছে ।এ রাতের অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতায়ালা এ রাতের মহাত্ব বর্ণনায় পূর্ণ একটি সূরা অবতীর্ণ করে দিয়েছেন। সে সূরার নাম সূরাতুল ক্বদর। মহান আল্লাহপাক এরশাদ ফরমান -انا انزلناه في ليلة القدر .وما ادرك ما ليلة القدر .ليلة القدر خير من الف شهر .تنزل الملاءكة والروح فيها باذن ربهم من كل امر . سلام هي حتي مطلع الفجر..

অর্থাৎ -নিশ্চয় আমি এ কোরআন কে ক্বদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি । আর আপনার কি জানা আছে (হে প্রিয় হাবীব!) ক্বদরের রাত কি ? ক্বদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ।এ রাতে ফেরেশতাকুল ও জিবরাইল আমীন তাদের প্রভূর আদেশে সকল বিষয় (ফয়সালা) নিয়ে অবতীর্ণ হন ।আর ফজর উদয় পর্যন্ত শান্তি (অব্যাহত) থাকে ।

আলোচ্য সূরার বিস্তারিত তাফসীর ও আলোচনায় তাফসীর বিশারদগণ বিস্তর বর্ণনা আলোকপাত করেছেন। সূরায় ক্বদরের রাতকে আগে আনেন নাই। আল্লাহ বলেছেন এ ক্বোরআন কে আমি ক্বদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি। তারপর এ রাতের বর্ণনা দিতে যেয়ে আল্লাহ ফরমান এটা এমন এক রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। কেন? কারণ এ রাতে মহিমান্বিত কালামুল্লাহ অবতীর্ণ হয়েছে ।

আর কালামুল্লাহর অবতরণের রাতটাকে আল্লাহ এমন মর্যাদা প্রদান করলেন যে, তাকে হাজার মাসের মক্ববুল ইবাদাতের চেয়ে বেশী ইবাদাতের মূল্য প্রদানের সুসংবাদ দিয়ে দিলেন । আর যার উপর কালাম নাযিল করলেন তাঁর উম্মতের জন্য এ স্পেশাল সুযোগটা রেখে দিলেন। সুবহানআল্লা। মূলত বিষয়টা এমন যে হাদীছ থেকে জানা যায় আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও্যাসাল্লাম বনি ইসরাইলের এক পূণ্যবান ব্যক্তির ব্যপারে আফসুস করছিলেন । যিনি কিনা এক হাজার মাস অবধি দিনে জিহাদের অশ্ত্র ণির্মাণ ও রাতে ইবাদাত গোজার করছিলেন। আমাদের দরদী রাসূল আল্লাহর দরবারে আবদার করছিলেন -يا رب جعلت امتي اقصر الامام اعمارا و اقلها اعمالا فاعطاه اللاه ليلة القدر .

অর্থাৎ হে আল্লাহ !আমার উম্মতকে অন্যান্য উম্মতের থেকে অল্প হায়াত এবং স্বল্প আমলের সুযোগ দিয়েছ !( সুতরাং তারা আমওলের ক্ষেত্রে অন্যান্য উম্মতের সাথে কুলিয়ে উঠবে কিভাবে?) আল্লাহ তার প্রিয় বন্ধুর এ আবদারকে পূরণ করে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্যই কেবল লাইলাতুল ক্বদরের মত মর্যাদাপূর্ণ রাত প্রদান করলেন ।

এ রাতের মর্যাদা বর্ণনায় কলেবর সূদীর্ঘ হয়ে যাবে । সংক্ষেপে এখানে একটি তাফসীরের ক্ষীয়ত আলোকপাত করছি। ইবাদাত করবে উম্মতে মুহাম্মাদী কদরের এক রাত; আর তিরাশি বছর চার মাসের চেয়েও বেশী সময়ের ইবাদাতের সওয়াব পাবে। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এক হাদীছে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়য়া সাল্লাম ফরমান এ রাতে হযরত জিবরাইল আমীন ফেরেশতাদের এক বিশাল বহর সহকারে জমিনে অবতীর্ণ হন। যারা এ রাতে দাঁড়িয়ে কিংবা উপবিষ্টাবস্থায় আল্লাহর স্মরণ করে ,ফজর পর্যন্ত ফেরেস্তাগণ ঐ বান্দাদের জন্য শান্তি ও কল্যাণের দোয়া করতে থাকেন ।

'والروح'  এর ব্যখ্যায় বলা হয়েছে, এ রাতে জিবরাইল আমীন অবতীর্ণ হন। কেউ বলেন সম্মানিত মর্যাদাবান অন্য একদল ফেরেশরতা অবতীর্ণ হন।আবার আরেক দল মোফাসসির বলেন এ রাতে বনি আদমের রুহ সমূহ অবতীর্ণ হয়ে যান। আবার কেহ বলেন এ রাতে হযরত ইসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেরেশতাদেরকে নিয়ে অবতীর্ণ হয়ে যান।

অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, রোহ বলতে ঐ ফেরেশতার কথা বলা হয়েছ; যাকে আল্লাহ আরশে আযিমের নীচে সৃষ্টি করে রেখেছেন, এর পা দুটি জমিনের সপ্তস্তর ভেদ করেছে । তার রয়েছে একহাজার মাথা। প্রত্যেকটা মাথা দুনিয়ার চেয়ে বড়। প্রতি মাথায় রয়েছে একহাজার চেহারা। প্রত্যেক চেহারায় আছে একহাজার মূখ আর প্রতিটি মূখে রয়েছে এক হাজার জিহবা। প্রত্যেক জিহবা দিয়ে ঐ ফেরেশতা আল্লাহর পবিত্রতা, প্রশংসা ও মহত্ব বর্ণনা করেন  সকল ভাষায়; যে ভাষা একটার সাথে আরেকটার সাদৃশ্য নেই। যখনই আল্লাহর তাসবীহ এর জন্য ঐ ফেরেশতা মুখ খোলেন তখনই সাত আসমানের ফেরেশতাগণ সিজদাবনত হয়ে যান এ ভয়ে যে, তাদের মুখের নূর জ্বলে যায় কিনা। এভাবে সকল সন্ধ্যায় ফেরেশতাগণ আল্লাহর তাসবীহ ও গুনগান গেয়ে থাকেন । লাইলাতুল ক্বদরের মহত্ব ও উঁচু মর্যাদার কারণে ঐ ফেরেশতাগণ জমীনে নেমে যান। আর আল্লাহর সান্নিধ্যে রোযাদার বান্দা বান্দির জন্য ঐ সকল মূখ দিয়ে ফজর উদয় হওয়া ফর্যন্ত ক্ষমাভিক্ষা চাইতে থাকেন ।সুবহানাল্লাহ ।(তাফসীরে সাওয়ী শরীফ) আল্লাহ আমাদেরকে এ রাতের সকল নিয়ামত ও সৌভাগ্য আমাদের জন্য নসীব করুন আমীন।   

৪০৩

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭