সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

পবিত্র ঈদুল ফিত্বর।
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : বুধবার ২০/০৬/২০১৮

ঈদুল ফিত্বরের পরিচিতি :-- ঈদুন শব্দটি আরবী আঊদুন শব্দমূল থেকে উদ্ভূত। অর্থ ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন, আনন্দ বিনোদন ইত্যাদি । ফিত্বরা শব্দের অর্থ - সকালের খাদ্য, এটা রামাদানের পরে দরিদ্রদেরকে ধনীদের পক্ষ থেকে যা দেয়া হয়, ইহা দ্বারা তারা রোযা ভংগ করেন। সাদক্বাতুল ফিত্বর বুঝায়। 

পরিভাষাগত ভাবে আল্লাহর অবারিত নিয়ামত , রাহমাত ,মাগফেরাত ও নাজাতের বারতা নিয়ে প্রতি বছর শাওয়াল চাঁদের প্রথম তারিখে মুসলিম গণের কাছে আনন্দ ফুর্তির বিশেষ যে শাওগাত আগমন করে তাকে ঈদুল ফিত্বর বলে। এ ঈদের নামাযের পূর্বে দরিদ্র অসহায়,পথিক দেরকে ইসলাম নির্ধধারিত সাদক্বায়ে ফিত্বর দিয়ে এই ঈদ পালন করা হয় বলে ইহাকে ঈদুল ফিত্বর বলা হয়। একটি মাস সিয়াম  সাধনার কঠোর সাধনা কর্মসূচির পরে ঈদুল ফিতর ইসলামের বৃহত্তম আনন্দ উতসব হিসেবে স্বীকৃত ।

কখন থেকে ঈদ পালিত হয়? :-- প্রখ্যাত তাফসীর বিদ ও ঔতিহাসিক আল্লামা ইবনে কাসীর তার লিখিত বিদায়া ওয়ান নিহায়া নামক কিতাবে বলেন দ্বিতীয় হিজরি সনে  ইসলামে ঈদ বিধিবদ্ধ হয়। তখন থেকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পালন করতে থাকেন । মুসনাদে ইমাম আহমদে বর্ণিত হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ফরমান আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় গিয়ে সেখানকার অধিবাসীদের কে দুই দিন আনন্দ উতসবে খেলা দুলায় মেতে থাকতে দেখেন। নবিজি হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু কে প্রশ্ন করেন এ দিনে তারা কিসের আনন্দ করে?  তারা জবাব দিল জাহেলি যুগ থেকে আমরা  এ দু দিনে আনন্দ ফূর্তি করে থাকি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহ পাক আমাদের জন্য  এর চে' অত্যধিক উত্তম দুটি দিন আনন্দ বিনোদনের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন । হাদীস নং - ১১৩৪। 

ঈদের নামাজের বিধান : ইমাম গণের কেউ কেউ ঈদের নামাজকে সুন্নাতে মোয়াক্কাদা বলেছেন । কেউ কেফায়া বলেছেন । কিন্তু ইমামে আযম আবু হানিফা (রা:) ঈদ নামাযকে ওয়াজিব হওয়ার ব্যপারে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন ঈদের নামাযের ব্যপারে পবিত্র ক্বোরআন  মাজিদে ইংগিত রয়েছে ।তাছাড়া আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধারাবাহিক ভাবে ঈদের নামায আদায় করেছেন। কখন ও এর ব্যত্যয় ঘটান নি । সে থেকে ও প্রমাণ হয় ঈদের নামাজ ওয়াজিব। 

ঈদের দিনে করণীয় :-- গোসল করে নেয়া । সুগন্ধি ব্যবহার করা । ঈদুল ফিত্বরে কেবল  জামাতে যাওয়ার পূর্বে কিছু খেয়ে নেয়া ।  ঈদের নামাজের জামাতে মোসাল্লায় যাওয়ার আগে ঈদুল ফিত্বরে ফিত্বরা আদায় করে যাওয়া। ঈদুল ফিত্বরে নিম্নস্বরে তাকবীর পাঠ করে জামাতে যাওয়া।  এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া। অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরত আসা।

 নামাজের নিয়ম :-- ঈদের নামাজ দুঈ রাকআত। সাথে ছয় তাকবীর ওয়াজিব।  নিয়ত করে নামাজের তাকবীরের পর হাত ছড়ে তিন তাকবীর দিয়ে হাত বেধে ঈমাম সাহেব  তা'উজ তাছমিয়ার পর ফাতিহা পাঠ করে ক্বেরাত পড়বেন অন্তত পক্ষে তিন আয়াত। বেশী যথা সম্ভব পড়া যেতে পারে। রুকু সিজদা করে দ্বিতীয় রাকআতে দাাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করে কোর আন মাজিদের ধারাবাহিক ক্রম বজায় রেখে ( পূর্বের রাক আতে পঠিত আয়াতের পরে থেকে কোন সূরা ক্বেরাত হতে হবে ) সূরা ক্বেরাত পাঠ করবেন । অত:পর তিন তাকবীর  শেষে তাকবিরের সাথে রুকুতে গিয়ে যথা নিয়মে নামাজ আদায় করবেন। 

খুতবা পাঠ :-- নামাজ শেষে ইমাম সাহেব মিম্বারে দাঁড়িয়ে খুতবা পাঠ করবেন । খুত্ববায়  তিনি হামদ ছানা ,না'ত শেষে ইসলাম ঈমান, সিয়াম ও

তাক্বওয়া শংশ্লিষ্ট কোর আনের আয়াত ও হাদীছ  পড়বেন। মোসল্লিদের কে বাস্থবতার প্রক্ষাপটে নসিহত করবেন ।মোসুল্লিগন একান্ত মনে তা শ্রবন করবেন ।কোন প্রকার কথা বার্তা বলা যাবে না। অত:পর বসে সামান্য বিশ্রাম ( তিনবার সুবহানাল্লাহ বলার পরিমান সময়) নিয়ে আবার দাঁড়াবেন । আল্লাহর প্রশংসা ,নবিজির দরুদ আহলে বাইত ও খোলাফায়ে রাশেদীন এবং সকল সাহাবাকেরাম ও নেককার বান্দাদের শুভ কামনা করে  বিশ্ব জাহানের তাবত মুসলিমের জন্য দোয়া করবেন ।নির্যাতিত মুসলিমের জন্য দোয়া, নিজের ঈমান আমল দেশ ও দেশের স্বাধীনতা সংরক্ষনের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন । 

খুত্ববা শেষে নামাজ আদায় ও খুত্ববা পাঠের মত ভাল কাজের শুভ সমাপ্তির জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে একান্ত ভাবে আল্লাহর কাছে নিজের জন্য বিশ্ব জাহানের তাবত মুসলিমের শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করবেন। 

 

৩৫৪

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭