******* নামাজে মৌখিক নিয়ত করা প্রসঙ্গ *******
প্রত্যেক আমলের জন্য সুন্দর নিয়ত আমল সুন্দর ও ক্ববুল হওয়ার জন্য আত্যাবশ্যক । নামাজ ও এর বাহিরে নয় । আর নিয়ত হচ্ছে অন্তরের দৃঢ় প্রত্যয়ের নাম , সংকল্পের নাম । অন্তর হচ্ছে নিয়তের উৎপত্তিস্থল । সে ক্ষেত্রে মৌখিক উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়ত করা অপরিহার্যের আওতায় পড়ে না । নামাজে তাকবীরে উলা তরক হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে মৌখিক উচ্চারণ ছাড়াই আল্লাহু আকবার বলে তাকবিরে তাহরিমা বাঁধতে হবে । এ ক্ষেত্রে অন্তরের সংকল্প ই যথেষ্ট । তবে তাকবীরে তাহরিমা ছুটে যাওয়ার আশংকা না থাকলে মৌখিক নিয়ত করা মুস্থাহাব । হানাফী মাযহাবের ফোকাহায়ে কেরাম তাদের কিতাবে এরূপ ফাতওয়াই প্রদান করেছেন । যেমন নীচের দলিল গুলো লক্ষ্য করুনঃ আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (রাঃ)বলেছেন-لان النية عمل القلب لا اللسان وانما الذكر با اللسان كلام ...ولذا اختار في الهداتة ان التلفظ بها مستحب অর্থাৎ- কেননা নিয়ত হচ্ছে আন্তরিক আমল। মূখের আমল নয় । নিশ্চয় মূখে উচ্চারণ করা হচ্ছে কালাম।...এ কারণেই হেদায়া কিতাবে অনুমোদন দিয়েছেন যে, মৌখিক উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়ত করা মুস্থাহাব।(ফতওয়ায়ে শামী,১ম খন্ড-৮০ পৃঃ)
আল্লামা আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল তাহতাবী হানাফী (রাঃ)বলেছেন- فان من مشايخنا ان التلفظ بالنية سنة لم يرد به سنة النبي صلي الله عليه وسلم بل سنة بعض مشايخ
অর্থাৎ আমাদের মাশায়েখগণ বলেছেন নিশ্চয় মৌখিক উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়ত করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়য়াসাল্লাম এর সুন্নাতের দিকে উদ্দেশ্য করা হয়না বরং ইহা কোন কোন মাশায়েখের রীতি।(হাশিয়াতুত তাহতাবী,১ম খন্ড-২২১ পৃঃ)
আল্লামা ইবনে নুযাইম মিশরী হানাফী (রাঃ) বলেছেন-وقد اختلف كلام المشايخ في التلفظ با اللسان فذكره في منية المصلي انه مستحب وهوا المختار و صححه في المجتبي অর্থাৎ - মৌখিক নিয়তের ব্যপারে মাশায়েখগণের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে । মুনিয়্যাতুল মুসল্লি কিতাবে আছে নিশ্চয় ইহা মুস্তাহাব। আর ইহা অধিক গ্রহন যোগ্য । মুজতাবী কিতাবে ইহাকেই বিশুদ্ধ বলা হয়েছে । (ফাতওয়ায়ে বাহরুর রায়েক ১ম খন্ড ২৯৩)
আল্লামা মুহাম্মাদ ইবনে ফারামারয ইবনে আলী (রাঃ) উল্লেখ করেছেন-والتلفظ بها مستحب يعني طريق حسن احبه المشايخ لا انه من السنة ...فهذه بدعة حسنة অর্থাৎ - মৌখিক উচ্চারণের নিয়ত মুস্তাহাব, মানে ইহা উত্তম পন্থা ,মাশায়েখগণ ইহা পছন্দ করেছেন।কিন্তু ইহা সুন্নাত নয় ... বরং ইহা বেদয়াতে হাসানা। (দুরারুল হাকাম শরহে গুরারুল আহকাম , ১ম খন্ড – ৬২পৃঃ) মোদ্দাকথা হল নামাজে মৌখিক নিয়ত উচ্চারণ করা মুস্তাহাব। মাশায়েখগন এটা পছন্দ করেছেন । যদি তাকবীরে উলা তরক হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে । হানাফী মাযহাবের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইহাই । আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়য়াসাল্লামের হাদীছ মোতাবেক ই ইহা মুস্তাহাব বা পছন্দনীয় কাজ ।
হাদীছে বলা আছে মুসলমানের কাছে যা সুন্দর , আল্লাহর কাছে ও তা সুন্দর ও পছন্দনীয় । মাশায়েখানে কেরাম যারা এটাকে উত্তম বলেছেন তারা সকলেই দ্বীনি ক্ষেত্রে আমাদের অনুসরনীয় এবং বরণীয় । সে সকল আকাবীরিনকে উপেক্ষা করে আমরা এ ব্যপারে উলটা সিধা সিদ্ধান্ত দেয়ার যোগ্যতা রাখি না । সাধারণ জ্ঞান ও বলে আল্লাহ আমাদের কে বললেন- “নামাজ কায়েম কর “ আমরা আল্লাহর আদেশ রক্ষা করতে যাইয়া মূখে ও বললাম ‘আল্লাহ আমি নামাজ পড়ছি’। এটুকুতে দোষের কিছু থাকতে পারে না বলেই বরেণয় ফক্বিহ গণ উহাকে মুস্থাহাব বলে মত পেশ করেছেন । কোন ভাল কাজকেই প্রকাশ্য দলিল ছাড়া মন্দ বলার অনুমতি নেই । শরীয়তের মূলনীতি এটাই ।
১৬৭৩
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আল্লাহ পাক তার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়য়াসাল্লামকে কিভাবে নিজের সাথে......
ইসলাম শ্রেষ্ট হওয়ার কারণ হল এই ধর্মের প্রবর্তক নবী মুহাম্মাদুর......
((৩১)আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লাহ ফরমান -ومن يعص الله ورسوله فقد......
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, স্বজনপ্রীতি,গোত্রপ্রীতি ও সাম্প্রদায়িকতার কারনে......
দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুজাহানের বাদশাহ হওয়া সত্ত্বেও জীবন......
ইমাম বোখারী ও মুসলিম একযুগে বর্ণনা করেন-عن ابي هريرة رضي......
(৩৭) আল্লাহ তা'লা ঘোষণা করেন -والذين امنوا با الله و......
লেখাট আমি ইমাম বাতায়নের সদস্য হয়ে ই প্রস্তুত করেছিলাম।আপলোডের ব্যতিক্রমে......
ইসলাম এমন এক ধর্ম যার প্রবর্তক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও্য়াসাল্লাম......
ইসলামই একমাত্র কাল জয়ী ধর্ম যা মহান রাব্বুল ইজ্জত কর্তৃক......