সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

ইকামতের বাক্য গুলো কয় বার করে উচ্চারণ করতে হবে?
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : শনিবার ২৯/০৯/২০১৮

ইকামতের বাক্যগুলো একবার করে বলবে, না দু'বার করে বলবে?৷

মতানৈক্যপূর্ণ মাসাসআলার অন্যতম একটি মাসআলা ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করে উচ্চারণ করা হবে, নাকি একবার করে! হানাফীমতালম্বী ও অন্যান্য মাযহাবের ইমাম বা স্কলারগণ এর সমাধান দিয়েছেন৷ তারপরও আমলের ক্ষেত্রে মতভিন্নতা দেখতে পাওয়া যায়৷ 

হানাফী ও সালাফীদের মান্যবর কিছু স্কলার অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য অভিমত পেশ করেছেন যাদের মতামতের উপর অন্যদের মন্তব্য গুরুত্বহীন৷ 

একবার করে উচ্চারণের যে হাদীস রয়েছে তা মানসুখ তথা রহিত হয়ে গেছে। হযরত বিলাল রাঃ শুরুতে একবার করে ইকামতের বাক্যগুলো বলতেন। তারপর এ বিধান রহিত হবার পর মৃত্যু পর্যন্ত দুইবার করেই ইকামতের বাক্য উচ্চারণ করতেন। তাই একবার করে উচ্চারণ করলে ইকামত শুদ্ধ হবে না।

রাসূল সাঃ এর মুআজ্জিন হযরত আবু মাহজুরা রাঃ এর আমল
ﻋَﺒْﺪَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦَ ﻣُﺤَﻴْﺮِﻳﺰٍ ﺣَﺪَّﺛَﻪُ ﺃَﻥَّ ﺃَﺑَﺎ ﻣَﺤْﺬُﻭﺭَﺓَ ﺣَﺪَّﺛَﻪُ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻋَﻠَّﻤَﻪُ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔَ ﺳَﺒْﻊَ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﻛَﻠِﻤَﺔً
আবু মাহজুরা রাঃ বলেন, নিশ্চয় রাসূল সাঃ আমাকে সতের বাক্যে ইকামত দিতে শিক্ষা দিয়েছেন। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৮৩১}

ইমাম তিরমিজী রহঃ আবূ মাহযুরা রাঃ থেকে যে মারফূ হাদীস বর্ণনা করেছেন তাতেও সতের বাক্যের কথা আছে। ইমাম তিরমিজী রহঃ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। {সুনানে তিরমিজী-১/৪৮}

আরেক মুআজ্জিন হযরত সালাম বিন আকওয়া রাঃ এর আমল
ﻋَﻦْ ﻋُﺒَﻴْﺪٍ، ﻣَﻮْﻟَﻰ ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﺄَﻛْﻮَﻉِ ‏« ﺃَﻥَّ ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦَ ﺍﻟْﺄَﻛْﻮَﻉِ، ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺜَﻨِّﻲ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔَ »
হযরত উবায়েদ রহঃ বলেন, সালামা বিন আকওয়া রাঃ এর ইকামতে বাক্যগুলো দুইবার করে বলতেন। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৮৩৬}

হযরত বিলাল রাঃ এর আখেরী আমলও তাই
ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﺳْﻮَﺩِ ﺑْﻦِ ﻳَﺰِﻳﺪَ : ﺃَﻥَّ ﺑِﻠَﺎﻟًﺎ ﻛَﺎﻥَ ‏« ﻳُﺜَﻨِّﻲ ﺍﻟْﺄَﺫَﺍﻥَ، ﻭَﻳُﺜَﻨِّﻲ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔ،َ ﻭَﺃَﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺒْﺪَﺃُ ﺑِﺎﻟﺘَّﻜْﺒِﻴﺮِ، ﻭَﻳَﺨْﺘِﻢُ ﺑِﺎﻟﺘَّﻜْﺒِﻴﺮِ »
আসওয়াদ বিন ইয়াযিদ রহঃ বলেন, হযরত বিলাল রাঃ আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো দুই বার করে বলতেন। {মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৭৯০, তাহাবী শরীফ-১/৬৬}

হযরত আবু মাহজুরা রাঃ এর বর্ণনায় ইকামতের সতের বাক্য উল্লেখ করা হয়েছে। যার দ্বারা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে, ইকামতের বাক্যও দুই দুই বার করে বলতে হবে। এ সতের বাক্য হচ্ছে আজানের পনের বাক্যের সাথে কাদ কামিত সালাহ বাক্য দুইবার বলার দ্বারা। {দ্রষ্টব্য, তিরমিজী-১/২৭, আবু দাউদ-১/৮৯, নাসায়ী-১/১০৩, ইবনে মাজাহ-৫২, মিশকাত-১/৬৫, আসারুস সুনান-১/৫৩}

এছাড়াও সুয়াইদ বিন গাফালা রাঃ, আবু জুহাইফা রাঃ, সালামা বিন আকওয়া রাঃ, সাওবান রাঃ এর বর্ণনাও আজানের মত ইকামতের বাক্য দুই দুইবারের হওয়ার বিষয়টি পরিস্কার প্রমাণ বহন করে। দেখুন তাহাবী শরীফ-১/৬৫, আসারুস সুনান-১/৫৩}

হযরত বিলাল রাঃ কে প্রথমে ইকামতের সময় একবার করে বাক্যগুলো বলার জন্য আদেশ করা হয়। যা হাদীসে এসেছে-
ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲٍ، ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺃُﻣِﺮَ ﺑِﻠَﺎﻝٌ ﺃَﻥْ ﻳَﺸْﻔَﻊَ ﺍﻟْﺄَﺫَﺍﻥَ ﻭَﻳُﻮﺗِﺮَ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔ«َ
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত বিলাল রাঃ কে আজানের বাক্যগুলোকে দুইবার করে এবং ইকামতের বাক্যগুলো একবার করে বলার আদেশ করা হয়েছে। {সহীহ মুসলিম-১/১৬৪, হাদীস নং-৩৭৮}

আজান ও ইকামতের সূচনাকালে বিলাল রাঃ কে এ আদেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ম রহিত হবার পর তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করে বলতেন।

ইমাম তাহাবী রহঃ বলেন,
ﺛُﻢَّ ﺛَﺒَﺖَ ﻫُﻮَ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺘَّﺜْﻨِﻴَﺔِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔِ ﺑِﺘَﻮَﺍﺗُﺮِ ﺍﻟْﺂﺛَﺎﺭِ ﻓِﻲ ﺫَﻟِﻚَ , ﻓَﻌُﻠِﻢَ ﺃَﻥَّ ﺫَﻟِﻚَ ﻫُﻮَ ﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮَ ﺑِﻪِ .
তারপর হযরত বিলাল রাঃ ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করেই বলতেন। যা বহু সংখ্যক বর্ণনার মাধ্যমে প্রমানিত। এ থেকে বুঝা যায়, হযরত বিলাল রাঃ এ নিয়ম অনুসরণে আদিষ্ট হয়েছিলেন। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৮৩৫}

সালাফীদের ইমাম আল্লামা শাওকানী ও আবু মাহযূরাহ রাঃ এর হাদীসের ভিত্তিতে বিলাল রাঃ এর পূর্ববর্তী আমলকে রহিত বলে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেন-
ﻭَﻫُﻮَ ﻣُﺘَﺄَﺧِّﺮٌ ﻋَﻦْ ﺣَﺪِﻳﺚِ ﺑِﻠَﺎﻝٍ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻴﻪِ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮُ ﺑِﺈِﻳﺘَﺎﺭِ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔِ ﻟِﺄَﻧَّﻪُ ﺑَﻌْﺪَ ﻓَﺘْﺢِ ﻣَﻜَّﺔَ ﻟِﺄَﻥَّ ﺃَﺑَﺎ ﻣَﺤْﺬُﻭﺭَﺓَ ﻣِﻦْ ﻣُﺴْﻠِﻤَﺔِ ﺍﻟْﻔَﺘْﺢِ، ﻭَﺑِﻠَﺎﻟًﺎ ﺃُﻣِﺮَ ﺑِﺈِﻓْﺮَﺍﺩِ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔِ ﺃَﻭَّﻝَ ﻣَﺎ ﺷُﺮِﻉَ ﺍﻟْﺄَﺫَﺍﻥُ ﻓَﻴَﻜُﻮﻥُ ﻧَﺎﺳِﺨًﺎ
ﻭَﻗَﺪْ ﺭَﻭَﻯ ﺃَﺑُﻮ ﺍﻟﺸَّﻴْﺦِ ﺃَﻥَّ ﺑِﻠَﺎﻟًﺎ ﺃَﺫَّﻥَ ﺑِﻤِﻨًﻰ ﻭَﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ – ﺛَﻢَّ ﻣَﺮَّﺗَﻴْﻦِ ﻣَﺮَّﺗَﻴْﻦِ، ﻭَﺃَﻗَﺎﻡَ ﻣِﺜْﻞَ ﺫَﻟِﻚَ، ﺇﺫَﺍ ﻋَﺮَﻓْﺖ ﻫَﺬَﺍ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻚ ﺃَﻥَّ ﺃَﺣَﺎﺩِﻳﺚَ ﺗَﺜْﻨِﻴَﺔِ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔِ ﺻَﺎﻟِﺤَﺔٌ ﻟِﻠِﺎﺣْﺘِﺠَﺎﺝِ ﺑِﻬَﺎ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﺳْﻠَﻔْﻨَﺎﻩُ، ﻭَﺃَﺣَﺎﺩِﻳﺚُ ﺇﻓْﺮَﺍﺩِ ﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔِ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺃَﺻَﺢَّ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻟِﻜَﺜْﺮَﺓِ ﻃُﺮُﻗِﻬَﺎ ﻭَﻛَﻮْﻧِﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺤِﻴﺤَﻴْﻦِ ﻟَﻜِﻦَّ ﺃَﺣَﺎﺩِﻳﺚَ ﺍﻟﺘَّﺜْﻨِﻴَﺔِ ﻣُﺸْﺘَﻤِﻠَﺔٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺰِّﻳَﺎﺩَﺓِ، ﻓَﺎﻟْﻤَﺼِﻴﺮُ ﺇﻟَﻴْﻬَﺎ ﻟَﺎﺯِﻡٌ ﻟَﺎ ﺳِﻴَّﻤَﺎ ﻣَﻊَ ﺗَﺄَﺧُّﺮِ ﺗَﺎﺭِﻳﺦِ ﺑَﻌْﻀِﻬَﺎ ﻛَﻤَﺎ ﻋَﺮَّﻓْﻨَﺎﻙ .
হযরত আবূ মাহযুরা রাঃ এর বর্ণনায় পরবর্তী সময়ের বিধান বিধৃত হয়েছে। কেননা, হযরত আবু মাহযুরা রাঃ ইসলাম গ্রহণ করেন ফাতহে মক্কার সময়। অতএব বলতে হয় যে, হযরত বিলাল রাঃ কে ইকামতের বাক্য এক বার করে বলার জন্য যে আদেশ দেয়া হয়েছিল তা ছিল আজান ও ইকামতের সূচনাকালের বিষয়। এবং আবু মাহযুরা রাঃ এর হাদীস এ বিধান রহিত করেছে। আবুশ শায়খের বর্ণনায় এসেছে যে, স্বয়ং বিলাল রাঃ ও মিনায় রাসূল সাঃ এর উপস্থিতিতে আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো দুই বার করে বলেছেন।
সারকথা এই যে, যে হাদীসে ইকামতের বাক্যগুলো দুই বার করে বলার কথা এসেছে তা প্রমাণ গ্রহণের পক্ষে উপযুক্ত। আর একবার করে বলার হাদীস যদিও অধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে এবং তা সহীহ বুখারী সহীহ মুসলিমে বিদ্যমান রয়েছে, সে হিসেবে তা অধিক সহীহ। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় এই যে, দুই বার বলার হাদীসে অধিক বিষয় আছে আর তা পরবর্তী সময়ের বিধান সম্বলিত বলে জানা যাচ্ছে। অতএব এ বর্ণনাই গ্রহণযোগ্য হবে। {নায়লুল আওতার-২/২২}

আরো কিছু সহীহ হাদীস জেনে নেই
হযরত আবূ মাহজুরা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন-
ﻭَﺍﻟْﺈِﻗَﺎﻣَﺔَ ﺳَﺒْﻊَ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﻛَﻠِﻤَﺔً
ইকামতের বাক্য সতেরটি।
মুসনাদে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৮২৮,
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২১১৯,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৩৮১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১২৩৩,
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৭০৯,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২,
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৯২,
সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৬৩০,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৬৮১,
মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৩০৯১,
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৯০৯,
সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৯৬৮,
কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৯৬৪}
এটি সহীহ হাদীস। ইমাম তিরমিজী রহঃ এ হাদীসের ব্যাপারে মন্তব্য করেন-এ হাদীসটি হাসান সহীহ। {তিরমিজী-১/২৭}
ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন, এ হাদীসকে ইবনে খুজাইমা এবং ইবনে হিব্বান রহঃ ও সহীহ বলেছেন। {দিরায়া-১/১১৪}

আরো দেখা যায়-
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-১/২০৬।
সুনানে বায়হাকী-১/৪২০।
নসবুর রায়াহ-১/২৬৭।
আবু দাউদ-১/৮২।
দিরায়া-১/১১৫।
মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক।
সুনানে দারা কুতনী-১/২৪২।
তাহাবী শরীফ-১/৮০।
আসারুস সুনান-১/৬৭।

আরো অনেক কিতাবে এর স্বপক্ষে সহীহ হাদীস বিদ্যমান।
উপরোক্ত সহীহ হাদীসগুলোর ভিত্তিতে আমাদের আমল হল আজানের বাক্য যেমন দুইবার করে বলতে হয়, তেমনি ইকামতের বাক্যগুলোও দুইবার করে বলতে হবে। 

যেহেতু অন্যান্য মাযহাবে ইকামতের বাক্যগুলো একবার করে বলার আমল বিদ্যমান, সেহেতু আমাদের কর্তব্য হলো ইকামতের বাক্যগুলো নিয়ে মতানৈক্য না করা, এবং সহঅবস্থানের মানসিকতা চর্চা করা৷ আর যে মসজিদে যে ইকামতের রেওয়াজ বিদ্যমান, এর বিরোধিতা না করা এবং নতুন করে বাদ -বিসম্বাদ সৃষ্টি করে নতুন আরেকটির প্রচলনের চেষ্টা না করা৷ এর দ্বারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ক্ষতিগ্রস্থ হবে৷ আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন৷

সংগৃহিত ঃঃ ঃ

১৯৭৯৫

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭