হাদিয়া
এক সাহাবির নাম আবদুল্লাহ। উপাধি ছিল হাম্মার। আল্লাহর রাসূল সা.কে খুব ভালোবাসতেন। থাকতেন মদিনার বাইরে। কখনো মদিনায় এলে আল্লাহর রাসূল সা.এর খেদমতে কিছু হাদিয়া-তোহফাও পেশ করতেন।
.
একবার জনৈক বেদুইন তথা গ্রাম্যলোক মধু নিয়ে মদিনায় আসে বিক্রি করার জন্য। তার কাছ থেকে আবদুল্লাহ মধু ক্রয় করেন এবং রাসূলুল্লাহ সা.এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন:
- হে রাসূলুল্লাহ! এটা আপনার জন্য হাদিয়া।
.
পাঠকমহল নিশ্চয়ই জানেন, আল্লাহর রাসূল সা. ছাদকা গ্রহণ করতেন না। তবে হাদিয়া ও উপহার গ্রহণে কখনো অস্বীকৃতি জানাতেন না। তিনি আবদুল্লাহ হাদিয়া কবুল করলেন। কিছুক্ষণ পর মধুবিক্রেতা সেই বেদুইন আবদুল্লাহর কাছে মধুর মূল্য চাইতে লাগল। কিন্তু আবদুল্লাহ তো ছিলেন মুসাফির। তার নিকট দেরহাম বা দিনার কিছুই ছিল না।
.
মধুবিক্রেতাকে সঙ্গে তিনি নিয়ে রাসূলুল্লাহ সা.এর খেদমতে হাজির হন। আরজ করলেন,
-হে আল্লাহর রাসুল! তাকে এ মধুর মূল্য পরিশোধ করুন।
আল্লাহর রাসূল সা. বললেন,
(ألم تهده إلي؟)
-“তুমি না এটা আমাকে হাদিয়া হিসেবে দিয়েছো?”
আবদুল্লাহ বললেন,
-কথা ঠিক। এগুলো আপনাকে আমি উপহার দিয়েছি। তবে যার কাছ থেকে এ মধু কিনেছিলাম তাকে দেয়ার মত আমার নিকট কিছুই নেই।
.
বন্ধুরা! আর কেউ হলে আবদুল্লাহর এই আচরণের জন্য ক্ষেপে যেত। বলত, ফাজলামি করার আর জায়গা পাওনি?! কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা.এর সচ্চরিত্র লক্ষ করুন, এ কথা শুনে তিনি মুচকি হাসলেন এবং বেদুইনকে মূল্য পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে নিজের সাথীকেও খুশি করে দিলেন।
.
আবদুল্লাহর মধ্যে একটি দুর্বলতা ছিল। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। ইসলামপূর্ব লোকদের মধ্যে মদপান করা সাধারণ অভ্যাস ছিল। ইসলাম গ্রহণের পর তারা যাবতীয় পাপাচারের সেই মূলবস্তু থেকে তাওবা করেছিলেন। কিন্তু কোনো কারণে আবদুল্লাহ এই বদ অভ্যাস থেকে মুক্ত হতে পারেন নি।
.
তাকে বেশ কয়েকবার ধরে রাসূলুল্লাহ সা.এর দরবারে এনে বলা হয়েছে, এ ব্যক্তি মদ পান করেছে। আল্লাহর রাসূল সা. নির্দেশ করতেন: তাকে বেত, জুতা ও ডাল দিয়ে প্রহার করা হোক। সুতরাং তাকে কিছু শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হত।
.
একদিনের ঘটনা, আবদুল্লাহকে ফের মদপান করার অপরাধে ধরে আনা হয়। শাস্তি পেয়ে যখন তিনি নিজ বাড়ির দিকে রওয়ানা দেন, এমন সময় জনৈক সাহাবির মুখ ফসকে এ শব্দগুলো বের হয়ে গেল:
(اللهم العنه وما أكثر ما يؤتى به)
-“হে আল্লাহ! তার প্রতি অভিশাপ কর। এই লোকটাকে একই অপরাধে কতবার আনা হলো!”
.
সম্মানিত পাঠক! দেখুন, আল্লাহর রাসূল সা. কত দয়ার্দ্র, স্নেহশীল এবং উন্নত চরিত্রের অধিকারী! তিনি সা. ওই সাহাবিকে বললেন,
(لا تلعنوه)
-“তাকে অভিশাপ দিও না।”
(فو الله ما علمت, أنه يحب الله ورسوله)
“আল্লাহর কসম! তার সম্পর্কে আমি এতটুকু জানি যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা.কে ভালোবাসে।
তারপর বললেন,
(لا تكونوا عونا للشيطان على أخيكم)
-“নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে শয়তানকে সাহায্য করো না।”
৩০৩
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
তিনটা বিষয়ে কখনো আপোষ করা যায় না ১. স্বাস্থ্য। ২.......
সত্য মুক্তি দেয় মিথ্যা ধবংস করে সততা ও সত্যবাদিতা দুটি......
ইসলাম জয়ী হবেই আপনার মাধ্যমে হোক কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে,......
পরিস্থিতি অনুসারে কিছু লোকের বিষয়ে সতর্ক থাকুন: এক. হিংসুক যখন......
আযান কেন দেয়া হয় কুরআনে অনেক ইবাদত ও ভাল কাজের......
চারটি দামী কথা ১. আমানত রক্ষা করা ২. সত্য কথা......
রাস্তার কতিপয় হক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,-তোমরা রাস্তার......
কুরঅান কুরঅান মজিদ অাল্লাহর কালাম হেদায়াতের বাণী। সারা জীবন চলব......
উপকারী দুয়াা সবচে উপকারী, মহান ও প্রজ্ঞাপূর্ণ দুয়া হচ্ছে সূরা......
কুরঅানের বাণী আর তোমার পরিবার-পরিজনকে সালাত আদায়ের আদেশ দাও এবং......