সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব । এর সময় সারা জীবন । অর্থাৎ যদি যথাসময়ে আদায় না করে থাকে, তাহলে যে কোন সময় আদায় করা যায় । আর আদায় না করলে বাতিল হয়ে যাবে না । যখনই আদায় করা হোক না কেন ক্বাযা হিসেবেও গণ্য হবে না । বরং আদায় হিসেবে গণ্য হবে । তবে ঈদের নামাযের আগে আদায় করাটা সুন্নাত । (দুর্রুল মুথতার )
ঈদের দিনে সুবহে সাদিক্ব হওয়ার সাথে সাথে সদক্বায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায় । সুতরাং যে ব্যক্তি সুবহে সাদিক্বের আগে মারা গেল কিংবা গরীব হয়ে গেল, ঐ ব্যক্তির উপর সাদক্বায়ে ফিতর ওয়াজিব হলো না । ( আলমগিরী )
সুবহে সাদিক শুরু হওয়ার আগে কাফির মুসলমান হলো বা শিশুর জন্ম হলো বা যে গরীব ছিলো সে সম্পদশালী হয়ে গেলো তাহলে তার উপর সাদক্বায়ে ফিতর ওয়াজিব হলো । ( আলমগিরী )
সাদক্বায়ে ফিতর প্রত্যেক মুসলমান আযাদ ও নেসাবের অধিকারীর উপর ( মূল ব্যবহারিক সমগ্রী ব্যতীত যার পূর্ণ নেসাব থাকে ) ওয়াজিব । এতে বিবেকবান, বালেগ এবং এক বছর অতিবাহিত হওয়া, সম্পদের মালিক হওয়া পূর্বশর্ত নয় । (দুর্রুল মুহতার )
নেসাবের অধিকারী পুরুষের উপর নিজের পক্ষ থেকে এবং নিজের ছোট ছেলে মেয়েদের পক্ষ থেকে সাদক্বায়ে ফিতর ওয়াজিব । যদি শিশু নিজেই নিসাবের মালিক হয় তাহলে তার সম্পদ থেকে যেওয়া যাবে । পাগল সন্তান বালেগ হলেও যদি সম্পদশালী না হয় , তাহলে তার সাদক্বায়ে ফিতর তার পিতার উপর ওয়াজিব । আর যদি সম্পদশালী হয়ে থাকে , তাহলে তার সম্পদ থেকে দেওয়া যাবে । ( দুর্রুল মুখাতর ও রদ্দুল মুখতার )
সাদক্বায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার জন্য রোযা রাখা পূর্বশর্ত নয় । যদি কোন ওযর, রোগ ও বার্ধক্যের কারণে বা ইচ্ছাকৃত রোজা না রাখলেও তবু সাদক্বায়ে ফিতর ওয়াজিব । ( রদ্দুল মুহতার ও বাহার )
পিতা না থাকলে দাদা পিতার স্থলাবিসিক্ত হবে । অর্থাৎ স্বীয় এতিম গরীব নাতি নাতনির পক্ষ থেকে সাদক্বায়ে ফিতর পরিশোধ করা তার উপর ওয়াজিব । নিজের স্ত্রী এবং বিবেকবান বালেগ সন্তানের সাদক্বায়ে ফিতর তার যিম্মায় নয়, যদিওবা পঙ্গু হয়ে থাকে এবং তাদের ভরণপোষণের জিম্মা তার উপর থাকে । ( দুর্রুল মুহতার ও বাহার)
৩৮১
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
নফল বা মুস্তাহাব ইতেকাফ ভঙ্গ করলে এর জন্য কোন কাযা......
মাহে রমজানের ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ আলাল কেফায়াহ্ ৷ অর্থাৎ......
সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব । এর সময় সারা জীবন । অর্থাৎ......