সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

প্রশ্নঃ মহিলারা কি ঈদের নামাজে অংশ গ্রহন করতে পারবে?
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : বুধবার ২২/০৮/২০১৮

হ্যাঁ অবশ্যই নারীরা ঈদের সালাতে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদেরকে ঈদের সালাতে অংশ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেমনটি হাদীসে এসেছে, ‘হযরত উম্মে আতিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন, আমরা যেন নারীদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতে সালাতের জন্য (ঘর থেকে) বের করে দেই, পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনীসহ সকলকেই। কিন্তু ঋতুবতী নারীরা (ঈদগাহে) সালাত আদায় থেকে বিরত থাকবে, তবে মুসলিমদের দোয়ায় তারা অংশ নিবে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে একজনের ওড়না নেই (যা পরিধান করে সে ঈদের সালাতে যেতে পারে), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তার অন্য বোন থেকে ওড়না নিয়ে পরিধান করবে।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৩২৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৮৯০)।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে নারীরা ঈদগাহে গিয়ে সালাত আদায় করতেন। তখন থেকেই পৃথিবীর দেশে দেশে সুন্নাহর অনুসরণে এই আমলটি ধারাবাহিকভাবে চলে আসলেও পরিতাপের বিষয় হল, আমাদের দেশে দু একটি জায়গা ছাড়া আজও নারীদের জন্য ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের কোন ব্যবস্থায়ই গড়ে ওঠেনি। তাদেরকে ঈদের সালাতে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়, বিভিন্নভাবে বাঁধা দেওয়া হয়। ফলে নারীরা ঈদের সালাত আদায় ও ঈদগাহে যাওয়ার মতো বড় একটি ইবাদত থেকে বঞ্চিত হন। সওয়াব ও বরকত থেকে মাহরুম হন। এটি খুবই দুঃখজনক।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেখানে ঋতুবতী নারী যাদের উপর থেকে পাচঁ ওয়াক্ত সালাতের দায়িত্বই রহিত করা হয়েছে, তাদেরকেও যেখানে ঈদগাহে উপস্থিত হতে আদেশ করেছেন, সেখানে নারীদের জন্য আমাদের ঈদগাহে কোন আয়েজনই থাকবে না এটি কী করে হয়?

আমাদের মনে রাখা উচিৎ, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নারীরা ঘরে বসে একাকী আদায় করতে পারেন, কিন্তু ঈদের সালাত জামাত ছাড়া আদায় করা যায় না। সুতরাং সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহীহ হাদীসের বিপরীতে গিয়ে নারীদেরকে এত বড় সওয়াব ও কল্যাণ থেকে বঞ্চিত করা কি আদৌ ঠিক হচ্ছে?

তাই অনুরোধ করবো, নেতৃস্থানীয় আলেম-ওলামা ও সমাজের মান্যগণ্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ যারা ঈদগাহের সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন, তারা যেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহীহ হাদীসের বাস্তবায়নে নারীদের জন্য নিরাপত্তা, ফেতনামুক্ত পরিবেশ বিধানপূর্বক সম্পূর্ণ পর্দার সঙে পুরুষদের পিছনে বা আলাদা একপাশে পৃথকভাবে ঈদগাহে সালাত আদায়ের ব্যবস্থা করেন।

নারীদেরকেও সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোন ভাবেই পুরুষদের সাথে তাদের অবাধ মেলামেশা, পর্দাহীনতা, উচ্ছৃঙ্খলতা প্রকাশ না পায়। এ ছাড়া বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় তারা যেন সর্বাঙ্গ কাপড় দ্বারা আবৃত করে, সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দা মেনটেইন করে ঘর থেকে বের হন। এবং সুগন্ধি ব্যবহার থেকেও বিরত থাকেন। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে অন্য মানুষের নিকট দিয়ে গমন করার ফলে তারা তার ঘ্রাণ পেল সে নারী ব্যভিচারিণী।' (নাসাঈ, হাদীস নং- ৫০৩৬)।

তবে কোন সমাজের ঈদগাহে বা মসজিদে যদি নারীদের সালাত আদায়ের কোন শরয়ী ব্যবস্থা না থাকে সে ক্ষেত্রে সঠিক মতানুসারে নারীদের জন্য আলাদাভাবে জামাত করা বা ঘরে একাকি ঈদের সালাত আদায় করার প্রয়োজন নাই। কেননা বিশুদ্ধ মতানুসারে নারীদের উপর ঈদের সালাত আদায় করা সুন্নাহ, ফরয বা ওয়াজিব নয়।

আল্লাহ্‌ তা'আলা সকলকে দীনের সহীহ বুঝ দান করুন।

৩২১

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭