#যৌবন_কালে_ইবাদতে_যুবক_যুবতীর_পুরস্কার!!
#রাসূল (সাঃ) বলেন- যে যুবক-যুবতী যৌবনে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে, আল্লাহ তা'য়ালা তাকে আরশে পাকের ছায়া তলে আশ্রয় দান করবেন।
[সহীহ বুখারী-৬৮০৬]
***রাসূল (সাঃ) বলেন- কোন মুসলমান বান্দার দৃষ্টি যখন কোন নারীর সৌন্দর্যের প্রতি প্রথমবার পড়ে যায়,অতঃপর সে তার দৃষ্টি সরিয়ে নেয় (তার দিকে তাকায় না), যার কারণে আল্লাহ তা'য়ালা তাকে এমন ইবাদত করার তাওফিক দান করবেন, যার মিষ্টতা এবং স্বাদ সে অবশ্যই অনুভব করব।
[মুসনাদে আহমাদ- ২২১৭৯]
***রাসূল (সাঃ) বলেন- যে ব্যক্তি তার জিহ্বা এবং লজ্জাস্থান হেফাজতের দায়িত্ব নিবে, আমি তার জান্নাতের দায়িত্ব নিলাম।
[সহীহ বুখারী-৬৪৭৪]
***রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘সাত শ্রেণির মানুষকে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাঁর (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ সে যুবক-যুবতি, যে তার রবের ইবাদতের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে।’
[বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭০১, বাংলা মেশকাত হা/৬৪৯]
***যৌবনের শক্তি ও উদ্দমতা দিয়ে বেশী বেশী ইবাদাত করো। হাদীস শরীফে এসেছে, বুদ্ধিমান তো সেই যে নিজেকে উপলব্ধি করতে পারে ও মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করে।
[তিরমিযী শরীফ, হা.নং ২৪৫৯]
***যুবক-যুবতী ভাই ও বোনেরা মনে রাখবেন, একমাত্র ইসলাম এর শরীয়ত মোতাবেক চললেই দুনিয়া ও আখিরাতে সব জায়গায় শান্তি আর শান্তি পাবেন। সবাই ৫ ওয়াক্ত নামায সঠিক সময়ে, শুদ্ধ ভাবে এবং মনযোগ সহকারে আদায় করার চেষ্টা করি। কারণ নামায যত বেশি সুন্দর হবে অাপনার এবং অাল্লাহর সম্পর্কও ততো বেশি সুন্দর হবে।এবং অন্যকে নামাজের দাওয়াত দিন,অসৎ কাজে যেভাবেই পারেন বাধা দিন।
অার বোনদের বলবো নামাযের সাথে ইসলামিক নিয়মে পর্দা করবেন। লোক দেখানোয ফ্যাশন মার্কা হিজাব থেকে বিরত থাকুন।
আমার তো আফসোস হয় সেই মানুষটির কথা ভেবে, যার জান্নাতের এতটুকু জায়গা কেনার মত আমল নেই, এতটুকু মানের ঈমানও নেই..... অথচ প্রতিনিয়ত নিজের অর্জিত সাওয়াবগুলোকেও বিসর্জন দিয়ে বেড়ায়: কাউকে অকারণেই একটু বেশি কথা বলে, অকারণেই কারও সাথে তেজ দেখিয়ে, অকারণেই কাউকে একটু হেয় প্রতিপন্ন করে, অকারণেই একটু খোঁচা দিয়ে, একটা কুনামে ডেকে, একটু অশ্লীল বাক্য আউড়িয়ে, কারো উপর অকারণেই বিরক্তি দেখিয়ে, খাবার নিয়ে অকারণেই দুটো খারাপ কমেন্ট করে, জীবন নিয়ে অকারণেই একটু নাশোকরীমূলক কথা বলে, কারো নামে অকারণেই দুটো গীবত করে, কাউকে একটা গালি দিয়ে, কারো একটু বদনাম করে, কারো নামে একটু হাসি ঠাট্টা করে.......অথচ এই কাজগুলোর একটিও তার দুনিয়াবি কোন উপকার করেনা, কিন্তু তার কৃত আমল থেকে প্রতিনিয়ত কেটে নেওয়া হতে থাকে। ঐ একটু রাগ? আপনি না দেখালেও দিন কাটবে। ঐ একটু বিরক্ত? আপনি না হলেও সমস্যা নেই। ঐ একটু ঠাট্টা মশকরা? না করলেই বয়ে যাবেনা। একটুখানি গীবত? করলেই আপনি শান্তি পেয়ে যাবেন না। খাবার নিয়ে বদনাম? করলেই খাবারটা ভালো হয়ে যাবেনা......
মনে করুন, আপনি ঢাকা থেকে জরুরী কাজে খুলনা যাবেন, পকেটে আপনার যাত্রার ভাড়াটুকুও নেই, কিন্তু খুলনা আপনাকে যেতেই হবে, আপনি কি করবেন? সারা পথ যত কষ্ট হোক, এই টাকাটা সেভ করবেন, বাসওয়ালা করুণা করে অল্প কিছু টাকা বাদে ঐটুকুতেই যদি টিকেট টা দিয়ে দেয়.... নাকি যাওয়ার আগে পথেই চকলেট, বিস্কুট কিনে, ফকিরের হাতে ধরিয়ে দিয়ে, শূন্য পকেটে যাত্রা করবেন?? এই উত্তরটা পাগলেও জানে....
আমরা এই দুনিয়াবি হিসেবগুলো মেলাতে পারলেও আসল হিসেব মেলাতে পারিনা কেন, জানেন? আমরা চর্মচোখে কেবল নগদ দুনিয়াই দেখি, চোখ বন্ধ করলেই যদি জান্নাত, জাহান্নাম ভিজুয়ালাইজ করতে পারতাম; তাহলে কেউ কোটি টাকার বিনিময়ে একটা গালি দিতে বললেও দিতে পারতাম না, কারণ আমি জানি, আমার ব্যালেন্স থেকে কাটা যাচ্ছে, আমি একটু একটু করে জান্নাতটা অন্যের হাতে তুলে দিয়ে জাহান্নাম কিনে নিচ্ছি, হ্যা সত্যিই তাই, আমি দেখতে পাচ্ছিনা, কিন্তু আল্লাহর ওয়াদা সেটাই.....
ইয়া আল্লাহ, এই গুনাহগারের মাঝেও এরকম বেশ কিছু নেগেটিভ বৈশিষ্ট্য আছে, সেগুলো দূর করে দিন। আমাদের শব্দগুলোকে আপনি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র বানিয়েন না, শব্দগুলোকে দা'ওয়াহ হিসেবে কবুল করে নাজাতের ওয়াসীলা বানিয়ে দিন....
২০১
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
তাকবিরে তাশরিক’ হলো মহান আল্লাহ তাআলার একত্ববাদের স্বীকৃতি ও প্রশংসা......
চন্দ্র ও সূর্য গ্রহনে আমাদের করনীয় কী ? * যে......
* কুরবানী পশুর ক্ষেত্রে পছন্দনীয় *** মহানবী সা: বলেছেন "......
আমাদের সমাজে একটা রীতি প্রচলিত রয়েছে সেটা হলো- কোন ব্যক্তি......
জবাবঃ এই প্রশ্নের জবাবে আমরা রাসুল (সাঃ) এর আমল নিয়ে......
ফেতরা দেওয়ার উদ্দেশ্য রোযার মাসে ফেতরাকে ফরয করা হয়েছে দুটি......
ভ্রু প্লাক করা, পরচুল লাগানো ও শরীরে ট্যাটু অংকন করা......
নামায না পড়াকে যারা ছোটখাট বিষয় মনে করেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে......
কুরবানীর সংগে আক্বীকা যোগ করা প্রসঙ্গে । প্রথম কথা হলো......
#যৌবন_কালে_ইবাদতে_যুবক_যুবতীর_পুরস্কার!! #রাসূল (সাঃ) বলেন- যে যুবক-যুবতী যৌবনে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত......