# খাবার গ্রহণের সময় বিভিন্ন সুন্নত ও আদব# হতে - ২
'
হাদিস শরীফ
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يأكلن احدكم بشماله ولا يشربن بها، فان الشيطان يأكل بشماله ويشرب بها.
رواه مسلم، مشكوة، ص: ٣٦٣.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সা বলেছেন তোমাদের কেউ যেন কখনো বাম হাতে খাবার না খাই ও বাম হাত দিয়ে কোনো কিছু পান না করে। কেননা শয়তানই বাম হাতে পানাহার করে। সহীহ মুসলিম॥
১১. রুটি/ খাবার যদি দস্তরখানায় উপস্থিত হলে সালনের অপেক্ষা করা ছাড়া খানা শুরু করবে।
১২. খাবারের আগে ও পরে লবন খাওয়া। ইহাতে ৭০ টি রুগ চলে যায়।
১৩. এক হাতে রুটি না ছিড়া। কেননা এটি অহংকারীদের পদ্ধতি।
১৪. বাম হাতে রুটি ধরে ডান হাতে ছিড়া । এটি সুন্নত।
১৫. ডান হাতে খাওয়া ও পান করা। বাম হাতে পানাহার না করা। কারণ এটি শয়তানের তরিকা।
১৬. তিন আঙ্গুলে (মধ্যমা, বৃদ্ধা ও শাহাদাত) রুটি খাবার খাওয়া। কেননা এটি সকল নবী আ: এর সুন্নত। উজর ছাড়া চার / পাঁচ আঙ্গুলে না খাওয়া।
১৭. রুটির টুকরো/ খাবার গ্রাস/শশ্য দানা ইত্যাদি পড়ে গেলে সেটা তুলে নিয়ে পরিস্কার করে খেয়ে নেয়া। এতে গুণাহ মা'ফের সু সংবাদ রয়েছে।
ইমাম গাজালী রহ: বলেন- রুটির টুকরো ও ছিলকাগুলো তুলে নাও। হাদিস শরীফ এ বর্ণিত হয়েছে যে, যারা এরকম করবে তাদের জীবন যাপনে আল্লাহ পাক প্রশস্ততা ওয়সাআত দান করবেন। তাদের বাচ্চাগুলো সুস্থ, নিরাপদ ও ত্রুটি মুক্ত থাকবে। এবং ঐ রুটির টুকরো গুলো জন্নাতী হুরগণের মহর স্বরুপ হবে।
(কিমিয়ায়ে সা'য়াদত)
১৮. পড়ে যাওয়া রুটি খাবার তুলে নিয়ে চুমা খাওয়া যায়েজ। (اسوأ حسنه)
দস্তরখানায় যা কিছু থাকে উহা মুরগী, বিড়াল, গরু, ছাগল ইত্যাদি কে খাওয়ানো যায়েজ। ডাসবিনে ময়লার স্তুপে বা রাস্তায় নিক্ষেপ করবে না।
১৯. খাবারের দূষ বর্ণনা না করা। যেমন লবনাক্ত,আলুনী, পানসা ইত্যাদি। ইচ্ছা হলে খাবে বা খাবে ন।
২০. বর্তনের মাজখান থেকে খাবার শুরু করবে না । নিজের পার্শ্ব থেকেই খাবে। চার দিকে হাত মারবে না।
২১. তবে থালার মধ্যে বিভিন্ন রকমের খাবার থাকলে, তা নিতে অসুবিধা নাই।
এপ্রিল মাসে আমরা বাংলাদেশীরা একটি উৎসব করে থাকি, তা হলো ১৪ই এপ্রিল। অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ পালন করা। আমাদের দেশে প্রচলিত বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন মূলত ইসলামী হিজরী সনেরই...বিস্তারিত
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদবিস্তারিত