সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

কিভাবে আপনার সন্তানদেরকে ন্যায়পরায়ণ করে গড়ে তুলবেন?
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : মঙ্গলবার ২৫/০৯/২০১৮

কিভাবে আপনার সন্তানদেরকে ন্যায়পরায়ণ করে গড়ে তুলবেন?

সন্তানদেরকে সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলা এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা প্রত্যেক পিতামাতার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে নেক সন্তান হিসেবে গড়ে তোলা আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন এবং তাঁর রাসূল (সা) এর নির্দেশ। কোরআন আল-কারীমে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের নির্দেশ হল (অর্থের ব্যাখ্যা):

হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে রক্ষা কর ঐ অগ্নি হতে,যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর,যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম হৃদয়,কঠোর স্বভাব ফেরেশতাগণ,যারা অমান্য করে না আল্লাহ্‌ যা তাদেরকে আদেশ করেন তা এবং তাঁরা যা করতে আদিষ্ট হন তাই করেন।[আল-তাহ্‌রীম;৬৬:৬]

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম আল-তাবারি বলেনঃ

এখানে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেছেন,তোমরা যারা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান এনেছো তারা “নিজেকে হেফাজত করো”। তোমরা নিজেরা আল্লাহ্‌র বিধানকে মেনে চল এবং তাঁর বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে পরস্পর পরস্পরকে নির্দেশ দাও। যাতে করে তোমরা জাহান্নামের প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ড থেকে রক্ষা পেতে পার। “তোমাদের পরিবার পরিজনকে রক্ষা কর ঐ অগ্নি হতে”- কথাগুলো দিয়ে যা বেঝানো হয়েছে তা হল আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের আদেশ পালনের জন্য নিজ পরিবারের সদস্যদেরও নির্দেশ দিতে হবে যাতে করে তারাও নিজেদেরকে জাহান্নামের প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ড হতে বাঁচতে পারে।” [তাফসীর আল-তাবারি, ১৮/১৬৫]

মুকাতিল-কে উদ্ধৃত করে আল-কুরতুবি বলেন,

এটি এমন একটি কর্তব্য যা পালনের ক্ষেত্রে ব্যক্তি তার নিজের কাছে দায়বদ্ধ থাকার পাশাপাশি তার সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজন এমনকি অধীনস্থ দাসদাসীদের কাছেও দায়বদ্ধ।”

ইলকিয়া’র মতে, পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততিদেরকে ধর্মীয় অনুশাসন এবং সদাচারন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া আমাদের জন্য আবশ্যক। পাশাপাশি তাদেরকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে হবে যাতে শিষ্টাচার বহির্ভূত কোন কাজ তাদেরকে দিয়ে না হয়। কোরআন আল-কারীমে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের এ সম্পর্কিত নির্দেশ হল (অর্থের ব্যাখ্যা):

 

আর তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও তাতে নিজে অবিচলিত থাকো, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরন চাই না, আমিই তোমাকে জীবনোপকরন দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্যে [সূরা ত্বা-হা; ২০:১৩২]

কোরআন আল-কারীমে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন প্রিয় নবী মোহাম্মাদ (সা) কে উদ্দেশ্য করে আরো বলেছেন (অর্থের ব্যাখ্যা),

তোমার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও। [সূরা আশ্‌-শুআ’রা; ২৬:২১৪]

এবং আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন,
 

আর সাত বছর বয়স হবার সাথে সাথেই তোমরা সন্তানদেরকে সালাতের নির্দেশ দাও।” [তাফসীর আল-কুরতুবি, ১৮/১৯৬]

প্রত্যেক মুসলমানই একেকজন দা’ঈ যার কাজ হল মানুষকে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের নির্দেশিত পথের দিকে আহ্বান করা। আর তাই প্রথমেই আল্লাহ্‌র নির্দেশিত পথের দিকে আহ্বান করতে হবে নিজের সন্তান-সন্ততি ও পরিবার-পরিজনকে যারা সবচেয়ে কাছের মানুষ। মানুষদেরকে তাঁর পথে ডাকার নির্দেশ দিতে গিয়ে উপরিউক্ত আয়াতে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেছেন, তোমরা নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও। অর্থাৎ, প্রথমেই উপকার করতে হবে তাদের যারা আপনার সবচেয়ে কাছের, তাদের প্রতিই প্রথম সদয় হতে হবে।

 

প্রিয় নবী (সা) পিতামাতার উপর সন্তানদের লালনপালনের দায়িত্ব আরোপ করেছেন এবং সেই দায়িত্ব পালন করাকে তাদের জন্য বাধ্যতামুলক করে দিয়েছেন।

 

আব্দুল্লাহ্‌ ইবন উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ

আমি রাসূল (সা) কে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা প্রত্যেকেই একেকজন মেষপালক এবং মেষপালগুলোকে দেখাশোনা ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও তোমাদেরই। অনুরূপভাবে, প্রত্যেকটি পুরুষ হল তার পরিবারের জন্য মেষপালক স্বরূপ; পরিবারের দেখাশোনা করা তার কর্তব্য। স্বামীর সংসারে একজন নারীর ভুমিকাও একজন মেষপালকের মতো যার দায়িত্ব হল সন্তানদের দেখাশোনা করা। মালিকের কাছে একজন ভৃত্য হল একজন মেষপালকের মতো যার দায়িত্বও অনুরূপ।’ তাঁর মতে তাঁর মনে পড়ে রাসূল (সা) আরো বলেছিলেন, ‘পিতার ধনসম্পদ রক্ষার জন্য প্রত্যেক পুত্রই একেকজন মেষপালক এবং পুত্রের কর্তব্যও অনুরূপ। তোমরা প্রত্যকেই একেকজন মেষপালক এবং প্রত্যকেরই সে অনুযায়ী দায়িত্ব রয়েছে। [সহীহ্‌ আল বুখারী; হাদিস নং:৫৮৩,সহীহ্‌ মুসলিম;হাদিস নং:১৮২৯]

ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন ও তাঁর রাসূল (সা) এর প্রতি তাদের ভালবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। ইসলামকেও যেন তারা ভালবাসে ছোটবেলা থেকেই। তাদেরকে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের জান্নাত ও জাহান্নামের কথা বলুন। তাদের বলুন জাহান্নাম হল জলন্ত আগুল যার জ্বালানি হবে মানুষ আর পাথর।

 

এ প্রসঙ্গে এখানে ইবন আল-জাওযি থেকে একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। ঘটনাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং শিক্ষণীয়। তিনি বলেন-

 

একসময় এক রাজা ছিলেন। ধনসম্পদ আর বিত্ত-বৈভবের কমতি না থাকলেও সন্তান-সন্ততি বলতে রাজার ছিল একটি মাত্র মেয়ে। মেয়েকে রাজা অত্যন্ত ভালবাসতেন। মেয়ের সুখের জন্য, তার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিল সবরকম ব্যবস্থা। কন্যার আনন্দ বিনোদনের পথে ছিলনা কোন নিষেধাজ্ঞা। এভাবেই দিন কাটছিল রাজ পরিবারের। রাজপ্রাসাদের কাছেই থাকত এক আল্লাহ্‌ ভীরু, দ্বীনদার ‘আবেদ। একরাতে কোরআন তেলাওয়াত করার সময় তাঁর কণ্ঠ থেকে ভেসে আসল (অর্থের ব্যাখ্যা), “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে রক্ষা কর ঐ অগ্নি হতে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর” [আল-তাহ্‌রীম;৬৬:৬]
রাজকন্যা তেলাওয়াত শুনতে পেয়ে দাসদাসীদের উদ্দেশ্য করে বলে উঠল, “তোমরা চুপকর!!” কিন্তু রাজকন্যার কথায় তারা কানই দিলনা। এদিকে লোকটি বার বার ঐ একই আয়াতখানা তেলাওয়াত করতে থাকল। রাজকন্যা যতবারই “তোমরা চুপকর!! চুপকর!!” বলতে থাকল, কেউ তার কথায় কর্ণপাত করল না। নিরুপায় হয়ে রাজকন্যা নিজ হাতে তার পরনের জামা ছিঁড়তে শুরু করল। বিষয়টি দ্রুত রাজাকে জানানো হলে তিনি মেয়ের কাছে ছুটে আসলেন। মেয়েকে বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকলেন, “মা মনি! কি হয়েছে তোমার? কাঁদছো কেন তুমি?” পিতার বুকে মুখ লুকিয়ে মেয়ে পিতাকে জিজ্ঞেস করতে লাগল, “বাবা, সত্যি করে বলো, আল্লাহ্‌ কি জাহান্নাম বলে কিছু তৈরি করে রেখেছেন, যার জ্বালানি হবে মানুষ আর পাথর?” পিতা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ।” মেয়ে বলল,“একথা তুমি আগে বলনি কেন? আল্লাহ্‌র শপথ! আমি যতক্ষণ না জেনেছি আমার ঠিকানা জান্নাত না জাহান্নাম, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কোন ভাল খাবার খাব না, আরামের বিছানায় ঘুমাবো না।” [সাফ্বাত আল-সাফ্বাহ,৪/৪৩৭-৪৩৮]

আপনার সন্তানকে সকল অনৈতিক এবং গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব আপনারই। তারা যেভাবে খুশি বড় হবে, টিভির পর্দায় যা খুশি দেখবে আর আপনি আশা করবেন তারা নেক সন্তান হয়ে বড় হোক, তা কখনও হবার নয়। কারন তালগাছ লাগিয়ে আপনি কখনও বেল খাওয়ার আশা করতে পারেন না!! ছোটবেলা থেকেই তাদেরকে নৈতিক শিক্ষা আর ধর্মীয় অনুশাসনের ভেরত দিয়ে গড়ে তুললে ইসলামকে মেনে চলতে তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠবে ফলে ইসলামকে মেনে চলাও তাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।

আবু হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন,

তোমাদের সন্তানদেরকে ৭ বছর বয়স থেকেই সালাতের শিক্ষা দাও আর যদি তারা ১০ বছর বয়সের পরেও নামায আদায় না করে তবে প্রয়োজনে তাদেরকে প্রহার কর এবং তাদের বিছানা আলাদা করে দাও”। [আবু দাউদ; হাদিস নং:৪৯৫, সহীহ্‌ আল-জামী’তে শাইখ আল-আলবানী হাদিসটিকে “সহীহ্‌” বলে উল্লেখ করেছেন, হাদিস নং:৫৮৬৮]

তবে শিক্ষককে হতে হবে নরম মনের; তার অল্পতেই রেগে গেলে চলবে না। তাকে পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার মত দক্ষ হতে হবে। শিশুরা যাতে কোন দ্বিধা, ভয় কিংবা সঙ্কোচ ছাড়াই তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে এমন ব্যক্তিত্বের হতে হবে তাকে। শাসন করতে গিয়ে কোন নোংরা বা বাজে কথা ব্যবহার করা একেবারেই উচিৎ নয়। শিশুর আত্মসম্মানে লাগে এমন কোন কথা, গালি কিংবা প্রহার করা ইত্যাদির ধারেকাছেও যাওয়া যাবে না। তবে কেউ বাবা-মার অবাধ্য হলে কিংবা বারবার হারাম কাজের সাথে নিজেকে ইচ্ছাকৃতভাবে জড়াতে থাকলে তাদের কথা ভিন্ন। মনে রাখবেন, শাসনের ক্ষেত্রেও যেন বাড়াবাড়ি না হয়ে যায়।

 

আল-মিনাওই বলেন, সন্তান ভালমন্দ বোঝার মতো বয়সে উপনীত হলে পিতার কর্তব্য হল সন্তানকে একজন আদর্শ মুসলিমের যে সব গুণাবলী থাকা উচিৎ তা শিক্ষা দেয়া এবং সব রকমের অপকর্ম থেকে বিরত রাখা। এসময় তাকে কোরআন শিক্ষা দিতে হবে। এজন্য আরবি ভাষা শিক্ষা জরুরী। পরিচ্ছন্ন আকীদার বক্তাদের বিভিন্ন বক্তব্য শুনতে দিতে হবে। প্রিয় নবী (সা) এর হাদিসও তাকে জানতে হবে। কারন রাসূলের (সা) হাদিস না মেনে কেউ মুসলিম হতে পারেনা। সন্তান যদি সালাত আদায় না করে, তাহলে প্রথমে বোঝান,কাজ না হলে প্রয়োজনে প্রহার করুন। সন্তান সালাত আদায় না করলে এক সা’ পরিমাণ সাদাকা কাফ্‌ফারা স্বরূপ (নির্ধারিত বয়স সীমা পর্যন্ত) দেয়ার সুযোগ থাকলেও, সদাকা দেওয়ার চেয়ে প্রহার করে সালাত আদায় করানো অধিক উত্তম। তাকে উত্তমরূপে বোঝাতে হবে যে, প্রত্যেক সৎকর্মই হল সাদাকা। এক সা’ পরিমাণ সাদাকা দিলে তা ফুরিয়ে যাবে কিন্তু সৎকর্ম করলে মৃত্যু পর্যন্ত তার সুফল পাওয়া যাবে। উত্তম শিক্ষা হল আত্মার খোরাক আর আখিরাতের পাথেয়।

 

আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের বাণী হল (অর্থের ব্যাখ্যা):

হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে রক্ষা কর ঐ অগ্নি হতে,যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর…” [আল-তাহ্‌রীম;৬৬:৬]

নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে রক্ষা করার অর্থই হল নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। উপদেশ দেয়া,সতর্ক করা,ভয় দেখানো,বোঝানো,বিরত রাখা,দান করা এবং মানুষের প্রতি সদয় আচরণ করা- এগুলো সবই উত্তম শিক্ষার ফলাফল। তবে যে সৌম্য এবং সভ্য তাকে শেখানো আর একজন একরোখা বেয়াড়াকে শেখানো এককথা নয়। সবাই সুশিক্ষা গ্রহণ করে না। ফায়ীদ আল-কাদীর, ৫/২৫৭

 

সন্তানকে প্রহার করাটা একান্তই সংশোধনের উদ্দেশ্যে। এমন নয় যে, কথায় কথায় পেটাতে হবে। মারধোরের প্রসঙ্গ আসে কেবলমাত্র তখনই যখন সন্তান একেবারেই অবাধ্য আর একগুঁয়ে আচরণ করে।

ইসলামে শাস্তির বিধান রয়েছে আর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিও। যেমন, ব্যভিচার, চুরি, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া ইত্যাদি অপরাধগুলোর জন্য শাস্তির বিধান হল “হাদ্‌”। ইসলামে শাস্তির এই বিধান রাখার উদ্দেশ্যই হল মানুষদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করা, তাদেরকে বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত রাখা। আর তাই প্রিয় নবী (সা) বলেছেন,তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে প্রয়োজনে ভয় প্রদর্শনের মাধ্যমে যাবতীয় মন্দ কাজ হতে বিরত রাখ।

ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন,
 

তোমার চাবুক এমন স্থানে ঝুলিয়ে রাখ যাতে করে তোমার পরিবারের লোকজনের চোখে পড়ে। এটা তাদের কে নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা দেবে”।

[আল-তাবারানি; ১০/২৪৮, আল-হায়সামি তাঁর “মাজমা’ আল-যাঈ’দ” গ্রন্থে (৮/১০৬) হাদিসটিকে “হাসান” বলে উল্লেখ করেছেন]

সহীহ্‌ আল-জামি’তে (৪০২২) আল-আলবানী উল্লেখ করেছেন,

সন্তানদেরকে উৎসাহ প্রদান এবং সতর্কীকরণের মধ্যে একটি ভারসাম্য থাকা চাই। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তাদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে তারা সঠিক দিকনির্দেশনা পেয়ে সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠবে। অর্থাৎ, এমন একটি পরিবেশ হবে এটি যেখানে বাবা-মা এবং শিক্ষকগনসহ সকলেই হবেন ইসলামিক অনুশাসন দ্বারা পরিচালিত।”

 

৩৩৪

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭