রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্ব মানবতার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। তাইতো মুসলিম উম্মাহসহ ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সবাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের প্রতিটি বিষয়ই জানতে চায়। প্রিয়নবির প্রতিটি কাজ ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নিয়োজিত হয়েছে গবেষণায়।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুরমা ব্যবহারও বাদ যায়নি এ গবেষণা থেকে। ইমাম বায়হাকি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সুরমা ব্যবহার, হুকুম ও পদ্ধতি সম্পর্কে একটি হাদিস ও বক্তব্য তুলে ধরেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা ‘ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহার করো। কারণ, তা চোখের জ্যোতি বাড়ায়, চোখ পরিস্কার রাখে এবং অধিক ভ্রু উৎপন্ন করে।
তিনি (ইবনে আব্বাস) আরো বলেন, ‘প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি সুরমাদানি (সুরমা রাখার পাত্র) ছিল। প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে ডোন চোখে ৩বার এবঙ বাম চোখে ৩বার সুরমা লাগাতেন।’ (সুনানে বায়হাকি)
সুরমা ব্যবহারের হুকুম ও পদ্ধতি
সুরমা ব্যবহার চোখের জন্য অনেক উপকারি। উল্লেখিত হাদিসে সুরমা ব্যবহারের হুকুম ও পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। আর তা লাগানো প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত। বিশেষ করে হাদিসে বর্ণিত পদ্ধতিতে সুরমা ব্যবহারে রয়েছে সাওয়াব।
সুরমা ব্যবহারের উপকারিতা বিজ্ঞানের গবেষণায়ও প্রমাণিত। হাদিস ও বিজ্ঞানের গবেষণায় সুরমা ব্যবহারে চোখের বড় উপকারিতাগুলো হলো-
> সুরমা চোখের জন্য ছোঁয়াচে সব ধরনের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে।
> চোখের প্রবেশকৃত ধূলা ও ক্ষতিকর পদার্থগুলো নিঃসরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
> চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধক জীবাণুকে ধ্বংস করে।
> চোখে জ্বালাপোড়া নিরাময় করে।
সুরমা ব্যবহারে করণীয়
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদেরকে ‘ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহারের উপদেশ দিয়েছেন এবং তার উপকার বর্ণনা করেছেন। হাদিসে এসেছে-
– হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা ঘুমের সময় অবশ্যই ‘ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহার করবে। কারণ, তা ব্যবহারে চোখের জ্যোতি বাড়ে এবং অধিক ভ্রূ জন্মে।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আবু ইয়ালা)
– হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের জন্য ইছমিদ সুরমা সর্বোত্তম। কারণ তা (ইছমিদ সুরমা) ব্যবহারে দৃষ্টি বাড়ায় এবং অধিক ভ্রূ জন্মায়।’ (ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান, মুসতাদরেকে হাকেম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে চোখের যাবতীয় কল্যাণে প্রিয়নবির অনুসরণ ও অনুকরণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
৪৪৩
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
জবাবঃ এই প্রশ্নের জবাবে আমরা রাসুল (সাঃ) এর আমল নিয়ে......
জুমার খোৎবা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় দেয়া যাবে কি ?......
ইহরাম বেঁধে হজের জন্য প্রস্তুত হজ পালনকারীরা। ৮ জিলহজ থেকে......
আজান দিলে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কেন?? আসুন জেনে নেয়া......
ভ্রু প্লাক করা, পরচুল লাগানো ও শরীরে ট্যাটু অংকন করা......
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, কুরবানী একমাত্র আল্লাহর জন্য। তাঁর......
চন্দ্র ও সূর্য গ্রহনে আমাদের করনীয় কী ? * যে......
হ্যাঁ অবশ্যই নারীরা ঈদের সালাতে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। কেননা......
সিয়াম বা রোজা ভংগের কারনসমূহ •••••••••••••••••••••••••••••••••••• সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।......
জবাবঃ পায়ের গোড়ালির নীচে যা থাকবে তা যাবে জাহান্নামে। ৫৭৮৭.......