মাতা পিতাকে আরবীতে ওয়ালিদাইন বলা হয়।
এ পৃথিবীর আলো বাতাস গাছ-গাছালি পাখ-পাখালির সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়েছে আমাদের পিতামাতার কল্যানে। তারা অতিশয় কষ্ট ক্লেশ যাতনা সহ্য করে আমাদেরকে লালন পালন করেছেন। নিজের সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে আমাদের সুখ শান্তি বিধানের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন। পবিত্র কালামে পাকে তাদের কষ্ট ক্লেশের বিবরণ দিতে যেয়ে বলেছেন " হামালাত উম্মুহু ওয়াহনান আলা ওয়াহনিন। ওয়া ফিসালুহু সালাসীনা আমান"। অর্থাৎ তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে তাকে পেটে বহন করেছেন। আর তাকে দুধ পান করিয়েছেন ত্রিশ মাস। পিতামাতার এরূপ কষ্ট সাধনার জন্যই আল্লাহতালা পবিত্র কালামে পাকে মাতা পিতার প্রতি সদাচরনের সুন্দর দিক নির্দেশনা দিয়ে ঘোষণা করেছেন---
" ওয়াক্বাদ্বা রাব্বুকা আল্লা তা'বুদা ইল্লা ইয়্যাহু ওয়াবিল ওয়ালিদাইনি ইহসানা, ইম্মা ইয়াবলুগান্না ইনদাকাল কিবারা আহাদু হুমা আও কিলাহুমা ফালা ত্বাকুল লাহুমা উফফিন,ওয়ালা তানহার হুমা ওয়া ক্বুল লাহুমা ক্বাওলান কারীমা, ওয়াখফিিদ লাহুমা জানাহা জুল্লি মিনার রাহমাতি ওয়া ক্বুর রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানী স্বাগিরা।।
অর্থাৎ আপনার প্রভু সিদ্ধান্ত করে রেখেছেন যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ বা প্রভুর ইবাদাত করবে না। আর পিতামাতার প্রতি করবে সদয়াচরণ। বিশেষত যখন তাদের কোন একজন বা উভয় তোমার কাছে বয়সে উপনীত হন তখন তাদেরকে উঁহু শব্দ বলবে না। আর তাদেরকে ধমক দেবে না, আর তাদের উভয়ের জন্য সম্মানজনক কথা বলবে। তাদের উভয়ের জন্য অনুগ্রহের ডানা ঝুলিয়ে দিবে। এবং তাদের জন্য বলবে,
হে আল্লাহ্ উভয়কে তুমি অনুগ্রহ কর যেরূপ তারা আমাকে শিশুকালে লালন পালন করেছিলেন। আলোচ্য আয়াতে মহান আল্লাহ্তা'লা মাতা পিতার সাথে সদাচরণের অনুপ দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বলেছেন উহ শব্দ না বলতে এবং না বলাতে।
সুতরাং এতেই প্রতীয়মান হয় তাদেরকে গালি দেয়া যে কেমন অপরাধ। অথচ আমাদের সমাজে অহরহ এমনটি ঘটছে। এমনকি মাতাপিতাকে নির্যাতনের কত সংবাদ নিত্যদিন আমাদের কানে আসে তার ইয়ত্তা নাই। আল্লাহর নবী ফরমান "রেদায়ার রাব্বে রেদায়িল ওয়ালিদাইন ওয়া --সাখাতুর রাব্বি সাখাতিল ওয়ালিদাইন।"
অর্থাৎ প্রভুর সন্তুষ্টি পিতা মাতার সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে। আর পিতামাতার অসন্তুষ্টির মধ্যে রয়েছে প্রভুর অসন্তুষ্টি। অর্থাৎ পিতা মাতার সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টির মধ্যে সন্তানের সফলতা ও জীবনের ব্যর্থতা সম্পৃক্ত। এজন্য নবীজি বলেন - হুমা জান্নাতুকা ওয়া নারু কা। তারা উভয় তোমার জান্নাত তারা উভয় তোমার জাহান্নাম। এমন চূড়ান্ত কথা আর কারো জন্য ইসলামে বলা হয়নি।
৯৩৪
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
জলিল ক্বদর সাহাবী হযরত আবুজর গিফারী বলেন, আমার পরম প্রিয়......
আল্লাহ পাক সূরা ক্বাফ ছাব্বিশ পারায় ঘোষণা করেন-ونحن اقرب اليه......
মাযহাবের প্রয়োজনীয়তা কী ? শেখ মুহাম্মদ মুশাহিদ আলী তারিখঃ ১১.৭.২০১৮......
অত:পর মুসা ( আ:) এর মা আল্লাহর গোপন প্রত্যাদেশ পেয়ে......
সমকালীন বিশ্বে ফেরাউনের মত অহংকারী ও সরাসরি আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ......
হিজরী প্রথম শতাব্দির শেষ ভাগ এবং দ্বিতীয় শতাব্দির প্রথম ভাগ......
মিসওয়াক : নামাজের মধ্যে বৈজ্ঞানিক গুরুত্বের মূখ সংশ্লিষ্ট আলোচনা করতে......
শিরক শব্দের অর্থ- শরিক করা বা অংশীদারিত্ব স্থাপন করা। শাব্দিক......
ওয়াদা আরবি শব্দ এটা ক্রিয়ামূল। অর্থ অঙ্গীকার। Promise তার ইংরেজী......
মুসল্লিগন নামাজে কখন দাঁড়াবেন তা নিয়ে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য পরিলক্ষিত......