গান বাজনা খেল তামাশা চরিত্র বিনষ্ট করণের বড় এক উপকরণ। বাদ্যের তালে মদমত্ত হয়ে মানুষ দূরাচারিতায় লিপ্ত হয়। অশ্লিলতার নোংরা সলিলে অবগাহন করে অর্থবহ জীবনকে অনর্থের দিকে ঠেলে দেয়।
ক্রমে জীবনবোধে অশ্লীলতার প্রাদূর্ভাব সমাজ ও জাতিকে বিষিয়ে তুলে। এ জন্যই মহান প্রভু এ অনর্থক বাক্য গান বাদ্যকে বাজে বলে কঠোর শাস্তির ওয়াদা প্রদান করেছেন। এরশাদ হচ্ছে-" ওয়ামাই ইয়াশতারী লাহওয়াল হাদীসা লি ইউদ্বিল্লা আন সাবিলিল্লাহি বিগাইরি ইলমিন ওয়া ইয়াত্তাখিজাহা হুযুওয়া উলাইকা লাহুম গাজাবুম মুহীন"। অর্থাৎ - আর এক শ্রেণীর লোক আছে যারা অজ্ঞতাবশত খেলতামাশার বস্তু কথাবার্তা ক্রয় করে, বান্দাকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করতে এবং উহাকে তামাশা হিসেবে গ্রহন করে। উহারা ঐ সকল লোক যাদের জন্য রয়েছে লাঞ্চনাদায়ক মর্মান্তুদ শাস্তি। ( সুরা লোকমান - আয়াত ৬)
আলোচ্য আয়াতের শানে নুযুলের ব্যপারে বলা হয়েছে - নজর ইবনে হারিস বিদেশ থেকে একটি গায়িকা বাঁদি খরিদ করে এনে তাকে গান বাজনার জন্য নিয়োজিত করেছিল। কেউ কোরআন শ্রবনের ইচ্ছা করলে সে ঐ গায়িকাকে গান শুনানোর জন্য আদেশ করত,আর বলত মুহাম্মদ তোমাদের কোরআন শুনিয়ে নামাজ রোযা ও ধর্মের জন্য প্রান বিসর্জন দিতে বলে। এতে শুধু কষ্ট আর কষ্ট। তার চেয়ে বরং গান শোন এবং জীবনকে উপভোগ কর। এর ই পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়েছে।
আলোচ্য আয়াতের প্রেক্ষিতে সকল মাযহাবের ইমামগণ গান বাধ্য কে হারাম এবং বাজে কথা বলে অভিহিত করেছেন। অবশ্য যেসকল বাক্য ও ছন্দ দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা রাসূলের গুণ গান ভাল মানুষের বন্ধনা করা হয় বাদ্য বাজনা ছাড়া, তা লাহওয়াল হা বা বাজে কথা তথা গান বাজনার অন্তর্ভূক্ত নয়। (তাফসিরাতে আহমদীয়া)
বিশুদ্ধ বর্ণনার সকল হাদিস কে পর্যালোচনা করে মাযহাবের ইমামগণ ঐক্যবদ্ধভাবে গান বাজনা হারাম ঘোষণা করেছেন। যারা এই হারাম কে হালাল জ্ঞানে গান বাজনার মজা ঊপোভোগ করে তারা কাফের হয়ে যাবে।
অথচ আমাদের সমাজে এই মহামারী থেকে কয়জন দূরে আছেন তা ভাবার বিষয়। যুবক সমাজের বৃহদাংশ আজ গান বাদ্যের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে চারিত্রিক ক্ষেত্রে যে অপসংস্কৃতির আমদানী করছে তা থেকে এখনি সমাজকে বিরত করতেে না পারলে সমূহ বিপদ সমাসন্ন।
৬৫৮
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
ধর্মের ক্ষেত্রে মৌলিক বিষয় হচ্ছে, ধর্মকে পরিপূর্ণভাবে জানা। আর ধর্মকে......
হযরত আবু হোরায়রা ( রা:) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু......
ডাকতে তোমায় ভাল লাগে রহীম রহমান, নয়ন জুড়ে যা দেখি......
আল্লাহ পাক আজ্জা ওয়া জাল্লাহ বিভিন্ন সময় নবী এবং রাসূল......
ইমাম বুখারী (রাহঃ)বলেন,আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি......
ভাষা নিয়ে লিখবো এবার, এটি আল্লাহর শ্রেষ্ট দান। মাতৃভাষায় হাসি......
****আল্লাহর কাছে দোয়া আমরা হাত উঠিয়ে করব কি না ?******......
আল্লাহ পাক সূরা ক্বাফ ছাব্বিশ পারায় ঘোষণা করেন-ونحن اقرب اليه......
নারী ও পুরুষ মিলেই মানব জাতি। এখানে নারী ও পুরুষের......