সূরা বাকারাহ'র ১১ ও ১২তম আয়াতে বলা হয়েছে-
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ قَالُوا إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ (১১)
أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُونَ وَلَكِنْ لَا يَشْعُرُونَ (১২)
"তাদেরকে (মুনাফিকদেরকে) যখন বলা হয়-পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে আমরা তো কেবল সংস্কার সাধনকারী।" (সূরা বাকারাহ, আয়াত-১১)
"জেনে রাখ এরাই অশান্তি সৃষ্টিকারী। কিন্তু তারা তা বুঝতে পারে না।" (সূরা বাকারাহ, আয়াত-১২)
নিফাক বা কপটতা এক ধরনের সংক্রামক রোগ। যদি এ রোগের চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এ রোগে সমাজের বহু মানুষ আক্রান্ত হবে। সমাজ কলুষিত হয়ে পড়বে ভণ্ডামী, তোষামোদী, মিথ্যা বলা, পরচর্চা, কুৎসা রটনার মত নানা রকম ব্যধিতে। মুনাফিক যেহেতু নিজে ধর্মীয় নির্দেশ মেনে চলে না, তাই চায় মুমিন ব্যক্তিরাও তার মত হয়ে যাক। বিভিন্নভাবে সে মুমিনদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালায়। আল্লাহর নির্দেশকে অবিরাম তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে মানুষকে তাদের কর্তব্যের প্রতি অমনোযোগী করে তোলে। মুনাফিকদের এ ধরনের অন্যায় আচরণের কিছু উদাহরণ পবিত্র কোরআনের সূরা তওবায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে এ মুনাফিকরা ইসলামের দুশমনদের সাথে লড়াইয়ের সময় যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যেত, মুজাহিদদের মনোবল দুর্বল করতো কিংবা দানের ক্ষেত্রে ঈমানদারদেরকে উপহাস করতো। সমাজে সব রকম অপরাধের উৎসই হলো নিফাক বা কপটতা। মুনাফিক আসলে সত্যকে দেখার শক্তি হারিয়ে ফেলে। তাই সে নিজের অন্যায় অপরাধকে সংস্কার বলে মনে করে। কপট ব্যক্তির দৃষ্টিতে শত্রুর সাথে আপোষ করে চলার মধ্যে সমাজের মঙ্গল নিহিত। তাই যেভাবেই হোক আন্দোলন কিংবা যুদ্ধের সূচনা যাতে না হয় সে দিকে তারা খেয়াল রাখে। এর ফলে যদি মুসলমানরা দুর্বল হয়ে পড়ে তাতেও মুনাফিকের কিছু আসে যায় না।
এই দুই আয়াত থেকে আমরা এই শিক্ষা নিতে পারি যে, নিফাকের প্রভাব শুধু ব্যক্তির মধ্যেই নয় বরং সমাজের ওপরও এর প্রভাব পড়ে এবং সমাজকে নিয়ে যায় অশান্তির দিকে।
আর নিফাকের একটি বৈশিষ্ট্য হলো আত্মগর্ব। মুনাফিকরা বলে-আমরাই কেবল উপযুক্ত ব্যক্তি এবং সংস্কার সাধনকারী, অন্য কেউ নয়। কোন ব্যক্তির অন্তরে যদি নিফাক অনুপ্রবেশ করে তাহলে তার উপলব্ধি ক্ষমতা লোপ পায় এবং সত্য কথা শুনতে ও দেখতে চায় না।
৮৯৪
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
সূরা আল-আ'রাফের ১৫৭ নং আয়াতে রাসুল সাঃ এর গুণাবলীঃ ১।......
জোর করে অন্যের সম্পদ আত্বসাত করা, মানূষকে প্রহার করা, গালিগালাজ......
২৯ রমযান-১৪৩৯, ১৫.০৬.২০১৮ ' আমরা রমযানকে বিদায় জানাতে চলেছি। কিন্তু......
মিথ্যা মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায় ' আল্লাহপাকের নিকট চরম......
নমাজে অবহেলা فى ترك الصلاة , আল্লাহ পাক বলেন: فخلف......
রমযান হলো এবাদতে প্রতিযোগিতার মাস ' عن عبادة ابن الصامت......
عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه......
ওজর ব্যতীত রমযানের রোযা না রাখা, افطار صوم من رمضان......
যে প্রকৃত বুদ্ধিমান ও অক্ষম عن شداد بن اوس رضي......
সূরা- নিসা, আয়াত সংখ্যা- ৫৮ ان الله يأمركم ان تؤدوا......