অাল্লাহ অাপনার প্রার্থনা কবুল করবেন
অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী
মানুষসহ সৃষ্টিকুলের সব প্রাণী আল্লাহর মুখাপেক্ষী। আর আল্লাহতায়ালা অভাবমুক্ত— তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহতায়ালা চান বান্দা তার কাছে দোয়া করবে। তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। নিশ্চয় যারা আমার ইবাদত করতে অহংকার প্রদর্শন করে; অচিরেই তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। ’ (সূরা গাফের : ৬০)। এ আয়াতে ‘ইবাদত করতে’ অর্থ হচ্ছে দোয়া করতে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না তিনি তার প্রতি রাগান্বিত হন। ’ (তিরমিজি)। বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি খুশি হন। যারা বার বার তার কাছে ধরনা দেয় তিনি তাদের ভালোবাসেন এবং তাদের নিকটবর্তী করে নেন। পবিত্র হাদিস শরীফে রয়েছে দোয়াই ইবাদত।
তিরমিজী শরীফ, ২য় খন্ড,পৃষ্ঠা ১২৫। অপর হাদীসে রয়েছে দোয়া ইবাদতের মগজ স্বরূপ।
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিগণ এ বিষয়টি অনুধাবন করেছিলেন, তাই তুচ্ছ বিষয় হলেও তা আল্লাহর কাছে চাইতেন। সৃষ্টিকুলের কারও কাছে সাহাবিগণ প্রার্থনার হস্তকে প্রসারিত করতেন না। এটা এ কারণেই সম্ভব হয়েছিল যে, তারা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিলেন তার নৈকট্য লাভ করেছিলেন এবং তিনিও তাদের নৈকট্য দান করেছিলেন। কেননা তাদের দৃষ্টি ছিল আল্লাহর এ বাণীর প্রতি, ‘আমার বান্দা যদি আপনার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে; আমি তো নিকটেই আছি। ’ (সূরা বাকারা : ১৮৬)।
আল্লাহর কাছে দোয়ার বিশেষ একটি স্থানে আছে; বরং দোয়া আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত বিষয়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছেন যে, দোয়াকারী তিনটি বিষয়ের যে কোনো একটি অবশ্যই পাবে। তিনি ইরশাদ করেন : যে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে দোয়া করবে— যে দোয়ায় কোনো গুনাহ থাকবে না, কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে না। তাহলে আল্লাহ তাকে নিম্নলিখিত তিনটির যে কোনো একটি দান করবেন :
১. তার দোয়া দুনিয়াতেই কবুল করা হবে।
২. আখেরাতে তার জন্য তা সঞ্চয় করে রাখা হবে।
৩. তার দোয়ার অনুুরূপ একটি বিপদ থেকে তাকে মুক্ত করা হবে। তারা (সাহাবিগণ) বললেন, তাহলে আমরা বেশি বেশি দোয়া করব। তিনি বললেন, ‘আল্লাহ আরও বেশি দানকারী। ’ (আহমাদ)।
দোয়ার প্রকারভেদ : দোয়া দুই প্রকার :
১. ইবাদতের দোয়া যেমন : নামাজ, রোজা ইত্যাদি।
২. নির্দিষ্টভাবে কোনো বস্তু চাওয়ার জন্য দোয়া।
সর্বোত্তম আমল হচ্ছে পবিত্র কোরআন পাঠ, তারপর উত্তম হচ্ছে জিকির ও আল্লাহর প্রশংসামূলক কথা, তারপর হচ্ছে দোয়া ও প্রার্থনা। আরাফাত দিবসে (আরাফাতের মাঠে) কোরআন পাঠের চেয়ে দোয়া করাই উত্তম। ফরজ নামাজান্তে কোরআন তেলাওয়াতের চেয়ে হাদিসে প্রমাণিত জিকির-আজকার পাঠ করাই উত্তম ও সুন্নত।
লেখক:
এম.ফিল গবেষক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৪০৯
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
মুহাজির সাহাবীঃ ১. হযরত আবু বকর (রাঃ) ২. হযরত উমর......
অালেমদের চেহারা উজ্জ্বল হওয়া প্রসঙ্গে আলেমদের চেহারা উজ্জ্বল হওয়া এবং......
শয়তানের অনুসরণ করো না আল্লাহ তা'আলা বলেন- হে ঈমানদারগণ, তোমরা......
গবেষণার উদ্দেশ্য Objectives of Research ১. সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানসম্মত......
মহান অাল্লাহ অাদম সন্তানদেরকে ক্ষমা করবেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান......
গীবত জিনার চেয়েও নিকৃষ্ট গীবত শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ......
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর ইমাম বাতায়ন সৃষ্টি এটি একটি যুগপোযুগী......
কুরঅান মাজীদ পাঠ করুন হযরত আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে......
ছোট বাচ্চাদেরকে সালাতের অভ্যাস গড়ে তোলার কিছু সহজ টিপস.... হযরত......
কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে। . আমি......