যেভাবে অন্যের বিশ্বাস অর্জন করবেন,,,,
বিশ্বাস আমাদের বন্ধনকে দৃড় করতে সাহায্য করে। তাই বলা যায়, বিশ্বাস অদৃশ্য হলেও কিন্তু খুব শক্তিশালী। সব মানুষ চায় অন্যরা তার বিশ্বাসের অমর্যাদা না করুক। কিন্তু জীবনের প্রতিটি সময় ও ক্ষেত্রে অন্যের ওপর শুধু প্রত্যাশা করে থাকলে হবে না, নিজেকেও অন্যের কাছে বিশ্বাসী হতে হবে।
জীবনের সব ক্ষেত্রে কয়েকটি মানবিক গুণাবলীর চর্চাই অন্যদের কাছে বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। আসুন জেনে নেই বিশ্বাসী হবার কিছু উপায়।
সত্য বলুন :
সত্য সব সময় সুন্দর। তা যত নির্মম আর কঠিন হোক না কেন। তাই জীবনের প্রতিক্ষেত্রে সত্য বলার চেষ্টা করতে হবে। অন্যের কাছে বিশ্বাসী হতে হলেও সত্যকে আপন করতে হবে। আপনি মানুষ হিসেবে সকলের পছন্দের মানুষ হবেন না এটাই স্বাভাবিক। তাই কেউ পছন্দ না করলেও আপনি সত্যবাদী হলে, ঠিকই মানুষটার কাছে বিশ্বাসী হতে পারবেন। অন্যের পছন্দের মানুষ হওয়া আর বিশ্বাসী হওয়া কাছাকাছি বিষয় হলেও দুইটা ব্যাপার কিন্তু ভিন্ন।
কথা দিয়ে কথা রাখবেন :
কাউকে কথা দিলে তা রাখুন। এটি খুব সহজে অন্যের কাছে বিশ্বাসী করে তুলবে। অনেকের ধারণা, মুখে ওয়াদা বা প্রমিজ না বললে সেই কথা না রাখলেও কিছু হয় না। এটা সম্পূর্ণ ভুল। প্রমিজ না বললেও অন্যকে বলা কথা রাখা আপনার দায়িত্ব। কোনো কারণে আগে বলা যেকোনো ধরনের কথা রাখতে না পারলে ক্ষমা চান, দরকার হলে কারণসহ বলুন।
অন্যের ‘গোপন’ কথা গোপন রাখুন :
কেউ যখন আপনাকে তার জীবন বা যেকোনো বিষয় নিয়ে কিছু বলবে তা গোপন রাখুন। অন্যের গোপনীয় বিষয় তার অনুমতি ছাড়া কখনোই কাউকে বলবেন না। এমনকি কারো ফোন নম্বর, ই-মেইল, বাসার ঠিকানা সেই ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া দিবেন না।
না বলতে শিখুন :
না বলতে পারাও একটা গুণ। সবাই না বলতে পারে না, ফলে নিজের সামর্থ্যের মধ্যে না থাকার পরও অন্যকে নানা কাজে হ্যাঁ বলে দেয়। পরিবর্তে কাজ না হলে, কথা রাখতে না পারলে অন্যের চোখে সেই মানুষটা আর যাই হোক বিশ্বাসী হতে পারে না। তাই নিজের যোগ্যতা, সামর্থ্য জেনেই তবেই অন্যকে হ্যাঁ বলুন। নয়তো না বলে দিন, সঙ্গে আপনার অপারগতা জানান সুন্দর ভাবে।
নিজেকে মিথ্যা জাহির নয় :
যে সত্য কথা বলে, এই ব্যাপারটা তাদের মাঝে থাকে না। তাও নিজের আচার-আচরণ, ব্যবহারে সর্তক থাকুন। এমন কোনো আচরণ করবেন না, যা আপনার কথা আর কাজের বিপরীত হয়। এই ব্যাপারগুলো অন্যের প্রতি আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, অন্যের কাছে বিশ্বাসী হবার স্বপ্ন বা ইচ্ছা অপূর্ণই রয়ে যাবে।
আপনি যা, যেমন চিন্তাধারা আপনার সেটাই অন্যের সামনে প্রকাশ করুন। মিথ্যা জাহির করবেন না।
কাজে সৎ থাকুন :
নিজের কাজগুলো দায়িত্বের সঙ্গে পালন করুন। শুধু নিজের কাজ নয় অন্য যে কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে তা সৎ উপায়ে সুন্দর ভাবে করার চেষ্টা করুন। এটা ভুলবেন না কেউ আপনাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া মানেই সে একধরনের বিশ্বাস থেকেই আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আপনার কাজের মধ্য দিয়েই তার সে বিশ্বাসকে ধরে রাখুন।
বিশ্বাসী মানুষ সমাজ, সংসার, সম্পর্ক সকল ক্ষেত্রের জন্য অমূল্য। তাই নিজে বিশ্বাসী হবার সঙ্গে সঙ্গে অন্য মানুষের বিশ্বাস ও কাজকে সম্মান জানাতে হবে। তাহলে আপনার কাজ ও আপনাকেও মানুষ বিশ্বাস করবে।
১৪০৪
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
দরিদ্রতা আসে সাত জিনিসের কারণে.... ১। তাড়াহুড়ো করে নামায পড়ার......
প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন......
الدعاء هو العبادة. দোয়াই ইবাদত। -তিরমিযী শরীফ, পৃষ্ঠা ১২৫। ...
অাল্লাহর উপর ভরসা রাখুন •﴿ وَهُوَ يَتَوَلَّى الصّالِحينَ﴾ (নেককার লোকদের......
ইমাম বাতায়নের এই সুন্দর উদ্যোগ ও পদক্ষেপকে অামি একজন ইমাম......
সূরা ফাতিহার ফযীলত সম্পর্কে তিনটি হাদীস ১. হাদীসঃ হযরত আবু......
গবেষণার নকশা Research Design ক. পরীক্ষণমূলক গবেষণা। খ. বিশেষণমূলক গবেষণা।......
ইলমের মাধ্যমে নবীগণের উপর আল্লাহর দয়া ইলমের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের......
জ্ঞান অর্জনকারীকে স্বাগতম তালিবুল ইলমদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের......
বদর যুদ্ধের ৩১৩ জন সাহাবীর নাম ১. হযরত আবু বকর......