মানবজাতি তার দুই মূল অংশ পুরুষ ও নারীর পারস্পরিক সহযোগীতায় উন্নত হয় ও সঠিক ভাবে বেঁচে থাকে। যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য সেটিই সহজ। বড় দায়িত্বটা পুরুষের উপরই পরে। তবে তা নারীর মিশনকে বাঁধা দেয় না। কেননা নারীও সেই দায়িত্ব বহণ করে আসছে, যা তার জন্য উপযোগী।
শিশুদের দেখাশুনা ও শিক্ষাদানের তদারকি নারীই সবচেয়ে ভালো করছে। সে তাদের জন্য খাদ্য ও পোশাক-পরিচ্ছদের যত্ন নিচ্ছে। তাদেরকে স্নেহ-ভালোবাসা দিচ্ছে, অসুস্থ হলে সুস্থতা, ভয় পেলে সুস্থিরতা এনে দিচ্ছে। তাদের জন্য আনন্দ ও খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি করে। যার ফলে তারা স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠতে পারে।
নার্সারী আর কিন্ডারগার্টেনে পরিচারিকা ও শিক্ষিকা হিসেবে নারী সফলতা লাভ করেছে। এসব জায়গায় শিশু তার জীবনের পর্যায়ে নিজের ঘরের মতই তার চাহিদাসমুহের প্রতি মনোযোগ আর যত্ন পেয়ে থাকে। কোন কোন শিশুকে তার পরিচারিকা আর শিক্ষিকার সাথে নিজের মায়ের মতই সম্পর্ক রাখতে দেখছি।
রোগীর শুশ্রুষার পেশা নারী প্রকৃতির উপযোগী ও তার রুচির সাথে সংগতিপুর্ণ একটি কাজ। যুগ যুগ ধরে সে এই পেশায় নিয়োজিত থেকেছে। ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করা, আহতদের শুশ্রুষা করা ও তাদের মনে আশা ছড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি। হযরত আয়েশা (রাঃ) রসুল (সাঃ) এর খেদমতকালে এ কাজ করে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ইসলামের ইতিহাসে।
শুশ্রুষা ও ধাত্রীর কাজ এমন একটি পেশা যাতে নারী শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এক্ষেত্রে নারীর বিরাট সাফল্যের পেছনে যে শক্তি কাজ করছে তা হলো, এই কাজে সে তার মাতৃত্বের বাসনা এবং তার অন্তরে গভীর স্নেহ ও দয়ার সুপ্ত আবেগের পরিতৃপ্তি খুঁজে পায়। নারী যখন রোগের কষ্ট ভোগকারী কোন দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তখন সে সুখ অনুভব করে।
নারী শিক্ষাদানেও ভালোভাবে আয়ত্ব করেছে। যেমন হযরত আয়েশা (রাঃ) রসুল (সাঃ) এর কাছ থেকে যা কিছু শুনেছেন তা সবই মুখস্ত রাখতেন। এ জন্য সাহাবায়ে আজমাইন কোন সমস্যায় পড়লে তার নিকট জানতে চাইওতেন। মেয়েদের স্কুলে নারী একটি বিরাট শুন্যস্থান পূরুন করেছে। গার্হস্থ্য বিজ্ঞান তার একটি বড় প্রমাণ। গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে তো সে সাফল্যের এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যে রকমটি শুধু তার পক্ষেই সম্ভব।
ঘর কখনো নারীর প্রয়োজনমুক্ত নয়। যে কারনে রসুল সাঃ স্ত্রীকে গৃহকত্রী করেছেন। কারণ নারীরাই বাড়ীর সকল কাজকর্ম করেন। পরিষ্কার-পরিছন্নতা, রান্না, কাপড় পরিস্কার, ঘরের আসবাব পত্র বিন্যস্ত ইত্যাদি। মহান আল্লাহর বাণি- আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও।
মোঃ আব্দুর রউফ, খতিব, পশ্চিম মানিক পাড়া জামে মসজিদ, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট। মোবাইলঃ ০১৯১৭-৬৭৭৮৪৪,
৪২৬
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
তওবার উপকারিতাঃ তিনজন লোক হুসাইন বিন আলী (রা:) এর নিকট......
সহজে পালন করা যায় এমন কিছু সুন্নতঃ প্রিয়নবী হজরত রাসূলুল্লাহ......
ফজরের আজান হচ্ছেঃ স্ত্রীঃ এই উঠো, আজান হচ্ছে ,মসজিদে যাবে......
আবূল ইয়ামান (রহঃ).. ‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)- এর আযাদকৃত গোলাম......
ভারতবর্ষের এক দরিদ্র ছেলে রাতের বেলা কোরআন পড়ছিল। হঠাৎ তেল......
প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়াতে নানা জাতের পাখি আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। রূপ......
আত্নহত্যা মহা পাপ নিম্নোক্ত হাদিস তার প্রমাণ। হযরত আবূ হুরায়রা......
একবার তিনজন লোক পথ চলছিল, এমন সময় তারা বৃষ্টিতে আক্রান্ত......
حق المسلم على المسلم: الاسلام يدعو الى الاخوة بين المسلمين،......
রাসূল (সাঃ) এর উত্তম আচরণ ও ক্ষমার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়......