তওবা অর্থ (গুনাহ ছেড়ে) ফিরে আসা আর ইস্তেগফার অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা।
আমরা তওবা ইস্তিগফার করি, আবার গুনাহ করে ফেলি। আবার, তওবা ইস্তিগফার করি, আবারো গুনাহ করে ফেলি।
এভাবে তওবা ভঙ্গ হলে বারবার ক্ষমা পাব কি? কতবার তওবা করব
ভাই! শয়তানের সাথে আমরণ (দেহে রূহ অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত) যুুুদ্ধ চলবে। তাকে পরাজিত করে আমাকে বাচতেই হবে।
শয়তানকে পরাজিত করার প্রধান অস্ত্র হল তওবা-ইস্তিগফার।
আমি হাল ছেড়ে দিলে শয়তান জয়ী হয়ে যাবে। জান্নাতের পথ কঠিন হয়ে যাবে। তাই হাল ছাড়া যবেনা, গুনাহ থেকে বাঁচার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। গুনাহ হয়ে গেলে আবার অনুতপ্ত হয়ে মালিকের দরবারে ফিরে আসতে হবে।
অবশ্যই আমাদের মালিকের ওয়াদা সত্য, তিনি আমাদেরকে তার দরজা হতে তাড়িয়ে দিবেন না।
আমরা অধম বান্দা গুনাহ করতে ভালবাসি আর আমাদের পরম দয়ালু মালিক ক্ষমা করতে ভালবাসেন।
আমাদের গুনাহ যতই হোক তার সীমা আছে, আমার মুনিবের দয়া এত বেশি যার কোন সীমা নেই।
তিনি রহমতের হস্ত প্রসারিত করে আমাদের বারবার ক্ষমার দিকে ডাকছেন
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
"আমার কাছে তারা তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।" (সূরা মা'ইদা: ৭৪)
"যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।" (সূরা নিসা: ১১০)
"আর যারা মন্দ কাজ করে, তারপরে তওবা করে নেয় এবং ঈমান নিয়ে আসে, তবে নিশ্চয়ই তোমার পরওয়ারদেগার তওবার পর অবশ্য ক্ষমাকারী, করুণাময়।" (সূরা আরাফ: ১৫৩)
"তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না। (সূরা আলে ইমরান: ১৫৩)
"বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (সূরা যুমার: ৫৩)
এরূপ বহু আয়াত আমাদেরকে আল্লাহর অসীম দয়ার দিকে আহ্বান জানায়।
আর দেরী নয়, ফিরে আসার এখনি সময়।
- হাসনাইন মাহমুদ ছিদ্দীকী
১৬২০
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
পবিত্র কুরআনের মাঝে আল্লাহ তায়ালা নবীজীর (স) মাধ্যমে অভয় দিয়ে......
আমাদের সকল সমস্যায় আল্লাহ নিপুণ ও চমৎকার সমাধান রেখেছেন। আমরা......
শুধুমাত্র মুসলমান নয় সকল মানুষকে বিচার দিবসে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে......
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র ইবনুল ‘আস (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (স)-কে......
একজন মা তার সন্তানকে শরীরে বহন করলেন দশ মাস দশ......
আমর আন নাকিদ (রহ) আবূ ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন......
‘যে মুসলিম কর্তৃক নিরাপত্তা প্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে......
প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে। এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।......
‘তারা আল্লাহ তা‘আলার বদলে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি......
মা অনেক কষ্ট করে প্রায় দশ মাস পেটে আগলে রাখে......