কুরআনের আলোকে আদর্শ নারী
পবিত্র কুরআন মজিদে মুমিন-মুসলমানদের জন্যে আদর্শনারীর দষ্টান্ত তুলে ধরে এরশাদ হয়েছে,
-‘আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বলল, হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে যালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন। আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অত:পর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বাণী ও কিতাবকে সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয় প্রকাশকারীনীদের একজন।’ (সূরা আত-তাহরিম:১১-১২)
উপরোক্ত আয়াতে কারিমাদ্বয়ে দু’জন মহিয়সী নারীর আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম আয়াতে ফেরাউন-পত্নী হযরত আসিয়া বিনতে মুযাহিমের দৃষ্টান্ত আর দ্বিতীয় আয়াতে হযরত মারয়ামের। প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা মুফতি শফি রহ. এ প্রসঙ্গে বলেন, মূসা আ. যখন যাদুকরদের মোকাবেলায় সফল হন এবং যাদুকররা মুসলমান হয়ে যায়, তখন বিবি আসিয়া তাঁর ঈমান প্রকাশ করেন। ফেরাউন ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে ভীষণ শাস্তি দিতে চাইল।
কতক রেওয়ায়েতে আছে, ফেরাউন তাঁর চার হাত-পায়ে পেরেক মেরে বুকের উপর ভারী পাথর রেখে দিল, যাতে তিনি নড়াচড়া পর্যন্ত করতে না পারেন। এই অবস্থায় তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে আলোচ্য আয়াতে বর্ণিত দোয়াটি করেন।
কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে, ফেরাউন উপর থেকে একটা ভারী পাথর তাঁর মাথার উপর ফেলে দিতে মনস্থ করলে তিনি এই দোয়া করেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁর আত্মা কবজ করে নেন এবং পাথরটি নিষ্প্রাণ দেহের উপর পতিত হয়। তিনি দোয়ায় বলেন: ‘হে আমার পালনকর্তা, আপনি নিজের সান্নিধ্যে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন।’ আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতেই তাঁকে জান্নাতের গৃহ দেখিয়ে দেন। -(মাজহারী)
দ্বিতীয় আয়াতে হযরত মারয়াম আ. এর আলোকময় জীবন-চিত্র তোলে ধরা হয়েছে। পবিত্র কুরআনের অন্যান্য জায়গায়ও সংক্ষিপ্তাকারে তাঁর আদর্শ জীবনালেখ্য তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বাল্যকাল থেকেই পূণ্যবতী ছিলেন, নিজের সতীত্ব হেফাজত করতেন। তাঁর ঈমান ছিল খুবই শক্তিশালী। তৎকালীন নবী-রসূলদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতেন। পয়গাম্বরদের প্রতি অবতীর্ণ আল্লাহ তাআলার সহিফাসহ প্রসিদ্ধ ঐশীগন্থ যবুর ও তওরাতের প্রতিও ঈমান রাখতেন।
আয়াতে আল্লাহ পাক ‘ক্বানিত’ শদ্ব দিয়ে তাঁর প্রশংসা করেছেন। এর অর্থ নিয়মিত এবাদতকারী। এটা হযরত মারয়ামের পরিচিতি। হযরত আবু মূসা রা. বর্ণিত হাদিসে রসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকেই কামেল ও সিদ্ধপুরুষ হয়েছেন, কিন্তু নারীদের মধ্যে কেবল ফেরাউন-পত্নী আসিয়া, এমরান তনয়া মারয়াম সিদ্ধি লাভ করেছেন’। (সংক্ষিপ্ত মা‘আরিফুল কুরআন, পৃষ্ঠা: ১৩৮৯)
৪১৭
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
হযরত রাসুল সা: বলেন- তুমি দুনিয়াতে এমনভাবে থাকো, যেন তুমি......
প্রত্যেক জাতির জন্যে একজন রসূল: 'وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ......
ইবাদত করুন হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর, সিজদা কর, তোমাদের......
কুরঅানের বাণী আর তোমার পরিবার-পরিজনকে সালাত আদায়ের আদেশ দাও এবং......
মানুষ সৃষ্টি সম্পর্কে "আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।......
মানুষের পাপ গোপন রাখার গুরুত্ব রাসূল (সা) বলেন: “যে ব্যক্তি......
প্রভূ! অামাদের ক্ষমা করুন আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: (ليسأل الصادقين......
প্রতিহিংসা পরিহার করুন হিংসার প্রতিক্রিয়ায় যা সংঘটিত হয় তাকে প্রতিহিংসা......
গবেষক Researcher গবেষণা মানে অন্বেষণ বা বিশেষ দৃষ্টিতে খোঁজ করা।......
"আমি তোমাদেরকে যা বলছি, তোমরা তা অচিরেই স্মরণ করবে। আমি......