ভাগ্যবানরাই কাঁদতে পারেন
কান্না সবার আসে না। হাসতে পারে সবাই হয়ত। কিন্তু সবাই কাঁদতে পারে না। বিশেষ করে শেষরাতে। যারা পারেন তারা ভাগ্যবান। আয়েশি রাতের মখমল-অবসাদ ছেড়ে যারা আল্লাহর দরবারে দাঁড়াতে পারেন, দু’হাত তুলে চোখের পানি ছাড়তে পারেন.. তারা আরো বেশি ভাগ্যবান। হযরত উমর রা. বলতেন, দুয়া করতে পারাও আল্লাহর বিরাট এক তাওফিকের বিষয়। সবাই করতে পারে না। যাকে আল্লাহ তাওফিক দেন, কেবল সে-ই পারেন। দুয়ার কথা আল্লাহ যার হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন মনে করুন, সে বড়ই ভাগ্যবান। আল্লাহ তাকে অনেক কিছুই দিয়েছেন। ভাগ্যবানরাই কাঁদতে পারেন। শিশুর মতো অঝোরধারায় কাঁদতে পারেন। কেঁদে কেঁদে ভাসিয়ে দিতে পারেন সবকিছু। বাঁধভাঙ্গা বন্যার ন্যায় অশ্রুপাত করতে পারেন। যারা কাঁদেন না, অথবা কান্নার তাওফিক হয় না যাদের, তারা হয়ত এমন কান্নার মর্ম বুঝবেন না। ইবনু ইমরান আল-জৌনি রহ. বলেন, আমার মা আমাকে ঘরের একটা জায়গা দেখান। লক্ষ করলাম, জায়গাটি গর্ত হয়ে গেছে। গর্তের মতো জায়গাটি দেখিয়ে মা বললেন, এটা তোমার পিতার অশ্রুপাতের স্থান। অর্থাৎ চোখের পানি পড়তে পড়তে জায়গাটি রীতিমত গর্ত হয়েগেছে। যারা কাঁদেন তারা হৃদয়ে প্রচন্ড ব্যথা নিয়েই কাঁদেন। নিজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপের কথা স্মরণ করে করে কাঁদেন। অশ্রুসজল নয়নে আল্লাহর দয়া ও রহমত কামনা করেন। হযরত ‘আতা রহ.এর এক বিশেষ কক্ষ ছিল ঘরের ছাদে। সেখানে তিনি একান্তে বসে বসে আল্লাহর ইবাদত করতেন। শেষরাতে উঠে অঝোরধারায় কাঁদতেন আল্লাহর দরবারে। প্রবল কান্নায় চোখ দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যেতো। একবার হযরত ‘আতা খুব কাঁদলেন। কান্নার প্রাবাল্যে তাঁর চোখের পানির ফোটা গড়িয়ে নিচে এক চলন্ড পথিকের গায়ে গিয়ে পড়ে। লোকটি তাৎক্ষণিক চিৎকার দিয়ে বলল, হে ঘরের বাসিন্দা! তোমাদের এ পানি কি পাক (পবিত্র)? তখন ঘরের ভিতর থেকে হযরত ‘আতা উচ্চস্বরে জবাব দিলেন, ধুয়ে ফেলো। কারণ ওঠা এক গোনাহগারের অশ্রুফোটা।
=রুহবানুল লাইল, খ-:১, পৃষ্ঠা: ৬৬০-৬৬২।
৩৪১
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
ইয়া রব অামাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন হে আল্লাহ, আমরা......
হযরত আবু উমামাহ(রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি......
জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন সেই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হোন অবিচল......
তাহাজ্জুদ সালাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ হযরত রাসুল (সা:)বলেন : ফরয সালাতের......
নামাজ অাদায় করতেই হবে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন......
গবেষণা বার্তা- ০৩ কুরঅানুল কারীম হলো অবিনশ্বর চিরস্থায়ী মু'জিযা যা......
বিদ'অাতের পরিচয় বিদ'অাত শব্দটির অর্থ নব সৃষ্টি, দৃষ্টান্তবিহীন উদ্ভাবন। পরিভাষায়......
'''হে প্রতিদান দিবসের মালিক, আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং......
বিপদ-অাপদে তারা বলে, অামরা অাল্লাহর কাছ থেকে এসেছি তারই কাছে......
কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত থাকলেই জান্নাত! যে ব্যক্তি নিজের রবের সামনে......
To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam
অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭
কারিগরি সহায়তায়: 
