সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

প্রকাশঃ : বৃহস্পতিবার ১৯/০৭/২০১৮


তামাত্তু ও কিরান হজ্জ যাত্রীদের জন্য প্রথমেই উমরাহ পালন

তাওয়াফ ও সা’ঈ সম্পাদনের জন্য সময় নির্বাচনঃ তাওয়াফ ও সা’ঈ সম্পাদনের জন্য প্রায় ২ ঘন্টা সময় প্রয়োজন। আপনি এমনভাবে সময় নির্বাচন করুন, যাতে এর মধ্যে নামাজের জামাতের সময় না হয় এবং ভির তুলনামূলকভাবে কম হয়। অবশ্য নামাজের জামাত শুরু হলে তাওয়াফ বা সা’ঈ ছেড়ে দিয়ে জামাতে সামীল হওয়া এবং জামাত শেষ হলে যেখান থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, সেখান থেকে পূনরায় শুরু করে তাওয়াফ বা সা’ঈ সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে, তবে তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাওয়াফ ও সা’ঈ সহজে সম্পন্ন করার জন্য আপনি নিম্নোক্ত ক্রমধারা অবলম্বন করতে পারেন।

(১) কাবা ঘরের আদবঃ আপনার হোটেল থেকে অজু-গোসল সেরে তালবিয়া পড়তে পড়তে আপনি মাসজিদুল হারমের দিকে এগিয়ে যান। মাসজিদে প্রবেশের সময় আপনি বলুনঃ

بِسْمِ اللهِ وَ الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُوْلِ الله

(আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দুরূদ ও সালাম)
অতঃপর বলুনঃ

أَعُوْبِاللهِ الْعَظِيمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرِّجِيْمِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِىْ أبْوَا بَ رَحْمَتِكَ
অথবা শুধু বলুনঃ

اللَّهُمَّ افْتَحْ لِىْ أبْوَا بَ رَحْمَتِكَ

অতঃপর ডান পা দিয়ে প্রবেশ করুন। মনে মনে খেয়াল করুন-ইয়া আল্লাহ! যতক্ষণ আমি মাসজিদে থাকব, ততক্ষণের জন্য ইতিকাফের নিয়াত করছি। অতঃপর ধীরে ধীরে আপনি কাবাঘরের দিকে এগিয়ে যান। যে মুহুর্তে কাবাঘরের উপর আপনার দৃষ্টি পড়বে, সেখানেই কাবার দিকে মুখ করে দাড়িয়ে যান। তাকবির-তাহলিল পাঠ করুন এবং দু’হাত তুলে আল্লাহর দরবারে প্রান খুলে দোয়া করুন। তাকবির-তাহলিল পাঠ করার নিয়মঃ 

اللهُ أكْبَرُ - لاَ إلَهَ إلاَّ اللهُ  = তিনবার পাঠ করুন অথবা নিম্নোক্ত তাকবিরও পাঠ করতে পারেন

اللهُ أكْبَرُ اللهُ أكْبَرُ - لاَ إلَهَ إلاَّ اللهُ وَ اللهُ أكْبَرُ - وَ لِلهِ إلْحَمْدُ
 
কাবা শরীফ প্রথম দর্শনে যে দোয়া করা সে দোয়াই কবুল। তাই পলক না ফেলে  প্রথমেই দোয়া করুন-ইয়া আল্লাহ! যতদিন আমি আপনার ঘরের পাশে থাকব ততদিনের আমার সমস্ত প্রার্থনা আপনি কবুল করে নিন।

(২) তাওয়াফঃ মাসজিদুল হারামে ঢুকে প্রথম কাজই হল কাবা ঘর তাওয়াফ করা। এখানে কোন তাহিয়্যাতুল মাসজিদ বা দুখুলুল মাসজিদ নামাজ নাই। তাওাফের শুরুতেই আপনি হজরে আসওয়াদের দিকে অগ্রসর হোন এবং আল্লাহর কাছে মনে মনে প্রার্থনা করুন- ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার ঘর তাওয়াফ করতে এসেছি, আপনি আমার পক্ষ থেকে এই তাওয়াফকে কবুল করে নিন এবং আমার জন্য সহজসাধ্য করে দিন। 

আলোর নির্দেশিকা মোতাবেক হজরে আসওয়াদের বরাবর এসে আপনি হজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে দাড়িয়ে নামাজের (তাকবির তাহরিমার ন্যায়) কাঁধ বরাবর হাত তুলে বলুনঃ

بِسْمِ اللهِ وَ اللهُ أكْبَرُ - وَ لِلهِ إلْحَمْدُ অথবা শুধু بِسْمِ اللهِ وَ اللهُ أكْبَرُ

অতঃপর হজরে আসওয়াদকে চুম্বন বা স্পর্শ বা ইস্তিলাম (স্পর্শ করার মত হাত বাড়িয়ে দেয়া ও হাতে চুম্বন করা) করুন। ইস্তিলাম করে তাওয়াফের দিকে ঘুরে যান এবং তাওয়াফ শুরু করুন। কতিপয় উলামা বলেন, ইস্তলামের জন্য শুধু হাত দিয়ে ইশারা করাই যথেষ্ট, হাতে চুম্বনের কোন প্রয়োজন নাই। 

কাবা ঘর একবার প্রদক্ষিণ করে আবার হজরে আসওয়াদের নিকট আসলে এক চক্কর হবে। পরবর্তী চক্করসমূহে হজরে আসওয়াদের দিকে ঘুরে দাড়ানো যাবে না, শুধু মুখ ঘুরিয়ে উল্লেখিত তাকবির বলে ও হজরে আসওয়াদ ইস্তিমাল করে সাত চক্কর পূর্ণ করতে হবে। সপ্তম চক্কর হজরে আসওয়াদের কাছে এসে শেষ হবে। এ সময় অষ্টমবারের মত হজরে আসওয়াদ ইস্তিলাম করতে হবে, তবে তখন তাকবির বলতে হবে না। শুধু প্রথম শুরু ব্যাতিত সাত চক্করের মধ্যে কখনোই কাবা ঘরের দিকে ঘুরে দাড়ানো বা বুক ফেরানো যাবে না, তাহলে ঐ চক্করটি বাতিল হবে এবং অতিরিক্ত চক্কর দ্বারা ক্ষতিপূরণ করতে হবে। হজরে আসওয়াদ কাবা ঘরের যে কোনে অবস্থিত তার আগের কোনকে বলা হয় রুকনে ইয়ামানী। প্রতি চক্করের মাঝে রুকনে ইয়ামানীর নিকট থেকে অতিক্রম কালে রুকনে ইয়ামানী ইস্তিলাম করতে হবে, তবে কোন তাকবির বলতে হবে না। কেহ কেহ বলেন-প্রথম বারের পরে প্রতি চক্করেই শুধু আল্লাহু আকবার বললেই চলবে। উমরাহ এর তাওয়াফে ও হজ্জের তাওয়াফে একবার পুরুষদের জন্য রমল-ইজতিবা করতে হয়। হজ্জের মাঝে তাওয়াফে কুদুমে রমল ও ইজতিবা করা হলে তাওয়াফে জিয়ারত ও তাওয়াফে বিদায় কোন রমল-ইজতিবা নাই। মহিলাদের জন্য কোন তাওয়াফেই রমল ইজতিবা নাই। এ ছাড়া নফল তাওয়াফেও কোন রমল-ইজতিবা নাই।

তাওয়াফ কালীন যে কোন মাসনুন দোয়া করা যায়। তবে দু’টি দোয়া বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য। তাওয়াফ শুরু করে আপনি পাঠ করতে পারেনঃ

سُبحَانَ اللهِ وَالـحَمدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكبَرُ وَلَا حَولَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ

আর রুকনে ইয়ামানী থেকে হজরে আসওয়াদ পর্যন্ত পথ অতিক্রম কালে আপনি নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করুনঃ

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَ فِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

(৩) ওয়াজিবুত্তাওয়াফ নামাজঃ সাত চক্কর শেষ করে হজরে আসওয়াদ অষ্টমবারের মত ইস্তিমাল করে আপনি মাকামে ইব্রাহীমের পেছনে ২ রাকাত ওয়াজিবুত্তাওয়াফ নামাজ আদায়ের জন্য অগ্রসর হবেন। আর এ সময় আপনি পাঠ করুন সেই কুআনের বানীঃ

وَاتَّخِذُوامِنْ مَقَامِ إبْرَاهِيْمَ مُصَلَّى

যদি মাকামে ইব্রাহীমের কাছে নামাজ আদায় করার সুযোগ না হয়, তাহলে মাসজিদের যে কোন জায়গায় আদায় করা যায়। মনে রাখবেন! এক তাওয়াফ = সাত চক্কর + ২ রাকাত নামাজ।

(৪) জমজমের পানি পানঃ তাওয়াফ শেষে আপনি জমজমের কাছে যাবেন এবং পানি পান করবেন। আপনি মাথায়ও কিছু পানি দিতে পারেন। জমজমের পানি আদবের সাথে কিবলামুখী হয়ে দাড়িয়ে পান করতে হয় এবং পান করার সময় একটি মাসনুন দোয়া আছে। মুখস্থ থাকলে আপনি বিসমিল্লাহ সহ দোয়াটি পাঠ করুন আর মুখস্থ না থাকলে শুধু বিসমিল্লাহ বলে পান করুন।

সা’ঈ সম্পাদনঃ জমজমের পানি পান করে আপনি সা’ঈ সম্পাদনের জন্য হজরে আসওয়াদের কাছে ফিরে আসুন। মনে মনে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করুন- ইয়া আল্লাহ আমি সাফা-মারওয়া সা’ঈ করতে যাচ্ছি, ইহা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে কবুল করে নিন। অতঃপর নবমবারের মত হজরে আসওয়াদ ইস্তিলাম করে বলুন বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর অথবা শুধু আল্লাহু আকবর এবং সা’ঈ এর দিকে অগ্রসর হোন এবং নিম্নোক্ত ধারাবাহিকতা অনুসরণ করুন।

(১) সাফা-মারওয়া মূল মাসজিদুল হারামের বাইরে অবস্থিত, যদিও মাসজিদ বড় করার কারণে বর্তমানে তা মাসজিদুল হারামের কাঠামোর অন্তর্গত একটি বারান্দার মত। তাই সাফা-মারওয়া সা’ঈ এলাকায় প্রবেশকালে মূল মাসজিদুল হারামের বাইরে বের হতে হয়, বিধায় এ সময়ে মাসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া পাঠ করা হয়। অতএব সাফা-মারওয়ার সীমায় প্রবেশকালে আপনি পাঠ করুনঃ

بِسْمِ اللهِ اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ
اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
অথবা
بِسْمِ اللهِ وَ الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُوْلِ الله
اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

(২) অতঃপর সাফা পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হোন। অগ্রসর হতে হতে আপনি পাঠ করুন মহান আল্লাহর বানীঃ

إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ = এক বার

(৩) যখন আপনি  সা’ঈ এর জন্য সাফায় গিয়ে পৌছবেন,তখন একবার পাঠ করুনঃ

إبْدَإُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِهِ

(৪)এখন সাফা পাহাড়ে কিছুদুর আরোহণ করুন, যাতে কাবা ঘর নজরে পড়ে। সাবধান! কখনোই চূড়া পর্যন্ত উঠবেন না। এবার কাবার দিকে ফিরুন এবং নিম্নোক্ত দোয়াসমূহ একবার করে পাঠ করুন। এভাবে মোট তিন দফা পাঠ করুন। এবং একদফা পাঠ করার পর আর এক দফা পাঠের মধ্যবর্তী সময়ে নিজের ব্যক্তিগত দোয়া মাতৃভাষায় আল্লাহর দরবারে পেশ করুন।

إلْحَمْدُ لِلهِ وَلاَ إلَهَ إلاَّ اللهُ وَ اللهُ أكْبَرُ   অথবা   اللهُ أكْبَرُ - اللهُ أكْبَرُ - اللهُ أكْبَرُ  অথবা
لاَ إِلَهَ إلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَشَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَي ءٍ قَدِيْرٌ

অতঃপর

لاَ إِلَهَ إلاَّ الله وَحْدَهُ أَنْجَزَوَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الأَ حْزَابَ وَحْدَلاَ إِلَهَ إلاَّ الله وَحْدَهُ أَنْجَزَوَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الأَ حْزَابَ وَحْدَهُ

অতঃপর দুরূদ শরীফঃ দুরুদে ইব্রাহীম

(৫) অতঃপর ধীরে-সুস্থে মারওয়ার দিকে আল্লাহর নামে (بِسْمِ اللهِ وَ الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُوْلِ الله) যাত্রা শুরু করুন। পথে সবুজ বাতি দ্বারা চিহ্নিত অংশে একটু দ্রুতগামী হোন। মহিলাগণের জন্য দ্রুতগামী হওয়ার প্রয়োজন নাই। ওপাশে গিয়ে আবার ধীরে-সুস্থে মারওয়ার দিকে হাটুন, যাতে আপনার সাথী মাহরাম মহিলা যেন আপনাকে অনুসরণ করতে পারে আর হারিয়ে না ফেলে। মারওয়াতে পৌঁছে আপনার এক সাঈ সম্পন্ন হল। সাফা পাহাড়ের কিছুটা উপরে উঠে কাবা ঘরের দিকে ফিরে উল্লেখিত দোয়াগুলো পুর্বের ন্যায় তিন দফা পাঠ করুন। একদফা পাঠ করার পর আর এক দফা পাঠের মধ্যবর্তী সময়ে নিজের ব্যক্তিগত দোয়া মাতৃভাষায় আল্লাহর দরবারে পেশ করুন। এরপর একই নিয়মে মারওয়া থেকে সাফার দিকে যাত্রা শুরু করুন। সাফায় পৌঁছে আপনার দুই সা’ঈ সম্পন্ন হবে। এভাবে সাত সা’ঈ সম্পন্ন করতে হবে। প্রত্যেকবার সাফা ও মারওয়ায় পৌঁছে উল্লেখিত দোয়াসমুহ বর্ণিত নিয়মে তিনবার পাঠ করতে হবে। সপ্তম সা’ঈ মারওয়ায় শেষ হবে অতঃপর যথানিয়মে উল্লেখিত দোয়াসমূহ পাঠ করে সা’ঈ শেষ করতে হবে।

(৬) সা’ঈ শেষ করার পর যদি আপনি সাফা-মারওয়া করিডোরের বাহিরের গেট দিয়ে বের হয়ে আসেন, তবে আর কোন দোয়া পড়তে হবে না। আর যদি মাসজিদুল হারামের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করেন, তবে যথানিয়মে মাসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া পাঠ করতে হবে। 

(৭) অতঃপর ইহরামমুক্ত হওয়ার জন্য পুরুষদের মাথা মুন্ডাতে বা চুল খাটো করতে হবে, তবে মুন্ডানোই উত্তম। মহিলাগণের সাথী কোন মহিলা বা মাহরাম পুরুষ চুল মুঠি করে ধরে অগ্রভাগ থেকে এক ইঞ্চি পরিমান ছেঁটে দিলেই হবে। আপনার হজ্জে তামাত্তু এর উমরাহ এভাবেই সম্পন্ন হবে। আর যারা হজ্জে কিরান করবেন তারা ইহরাম থেকে মুক্ত হবেন না বরং ইহরামের হালতেই থেকে যাবেন এবং হজ্জের শেষের দিকে কুববানী করার পর একই নিয়মে হালাল হবেন।

তামাত্তু হজ্জ সম্পাদনকারীগণের ইহরামমূক্ত অবস্থাঃ উমরাহ পালনের পর ইহরামমুক্ত অবস্থায় তামাত্তু হজ্জ সম্পাদনকারীগণ হারাম এলাকায় অবস্থান করবেন। মীকাতের বাইরে যাবেন না। অনেকে তায়েফ গমন করেন, যা মীকাতের বাইরে অবস্থিত- এ অবস্থায় নতুন করে মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে মিকাতের মধ্যে প্রবেশ করতঃ পূনরায় উমরাহ সম্পাদন করতে হবে। অনেক তামাত্তু হজ্জ যাত্রী উমরা সম্পাদনের ইহরামমুক্ত অবস্থায় মদীনায় যান এবং হজ্জের পূর্বে মদীনাবাসীর মীকাত জুল-হুলাইফা থেকে হজ্জের ইহরাম বেঁধে হারামে ফিরে আসেন, তাদের বিষয়ে ইতিপূর্বে হজ্জ প্যাকেজের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। উমরাহ পালনের পর কিরান হজ্জ সম্পাদনকারীগণ ইরহামের হালতে থাকবেন আর ইরহামের হালতে মীকাত অতিক্রম করলেও কিরান ভংগ হবে না।

৩২২

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭