আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। আমরা পদে পদে আল্লাহ পাকের সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হই। আমরা প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ পাকের বিধান লঙ্ঘন করি, নিষিদ্ধ পথে চলি, গোনাহে লিপ্ত হই। আমরা আল্লাহ পাকের নেয়ামতের কথা ভুলে যাই। তাঁর শোকর আদায় করি না, নাফরমানী করি। এরপরও আল্লাহ পাক আমাদের প্রতি কত দয়ালু! ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করে দেন। তওবা করলে গোনাহ মাফ করে দেন। নবী-রাসূলগণ ছাড়া দুনিয়ার কেউই তো নিষ্পাপ নয়। তাই আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার করা উচিত।
হযরত উকবা ইবনে আমের রাযি. একবার রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন—নাজাতের উপায় কী? কোন পথে চললে আমি নাজাত পেতে পারি? রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে তিনটি আমলের কথা বললেন— أملك عليك لسانك، وليسعك بيتك، وابك على خطيئتك এক. তুমি তোমার যবান হেফাজত করো। দুই. যেখানেই থাকো না কেন, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হোয়ো না। তিন. গোনাহর জন্য আল্লাহর দরবারে কাকুতি-মিনতি করে কান্না-কাটি করো। -তিরমিযী শরীফ ইস্তেগফারের অনেক ফযীলত ও উপকারিতার হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— من لزم الاستغفار جعل الله له من كل ضيق مخرجا ومن كل هم فرجا ورزقه من حيث لا يحتسب যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তেগফার করবে, গোনাহের জন্য আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করবে তাকে আল্লাহ তাআলা সকল সমস্যা ও মুসিবত থেকে বেরিয়ে আসার পথ করে দেবেন, তার সকল দুশ্চিন্তা দূর করে দেবেন এবং এমন স্থান থেকে তার জন্য রিযিকের ব্যবস্থা করবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। -মিশকাত শরীফ এক হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন— يا أيها الناس توبوا إلى الله فإنى أتوب في اليوم إليه مائة مرة হে লোকসকল, তোমরা আল্লাহর দরবারে তওবা করো। আমি প্রতিদিন আল্লাহর দরবারে একশ বার তওবা করি। -মুসলিম শরীফ অপর এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন— إني لأستغفر الله في اليوم سبعين مرة আমি প্রতিদিন সত্তর বার ইস্তেগফার করি। -তিরমিযী শরীফ কোনো বান্দা যখন আল্লাহর দরবারে তওবা করে, গোনাহ মাফ চায় তখন আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত খুশি হন। আল্লাহ তাআলা কতটা খুশি হন—রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি উপমার মাধ্যমে বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন। উপমাটি এরূপ—এক ব্যক্তি কোথাও সফরে বের হলো। সঙ্গে তার বাহন আর বাহনের পিঠেই তার খাদ্য-দ্রব্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। সফরের একপর্যায়ে সে ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের নিচে শুয়ে পড়ল। ঘুম ভাঙার পর দেখল বাহনটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খুঁজে পেল না। ভাবনায় পড়ে গেল, এ নির্জন মরুভূমিতে বাহন হারিয়ে গেল। অন্য কোনো বাহন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সঙ্গে খাবার নেই। প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নেই। সবই বাহনের সঙ্গে হারিয়ে গেছে। সে একেবারে নিরাশ হয়ে গেল, মৃত্যু ছাড়া আর কোনো পথ নেই। একপর্যায়ে সে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম ভাঙার পর দেখতে পেল বাহনটি খাবার-পানীয় ও অন্যান্য পাথেয়সহ তার সামনে হাজির। সঙ্গে সঙ্গে বাহনের লাগাম টেনে ধরল।
আনন্দের আতিশয্যে বলে উঠল— اللهم أنت عبدي وأنا ربك অর্থাৎ, হে আল্লাহ, তুমি আমার বান্দা আর আমি তোমার রব! এখানে বলা দরকার ছিল, তুমি আমার রব আর আমি তোমার বান্দা। কিন্তু আনন্দের আতিশয্যে উল্টো বলে ফেলেছে। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এ লোকটি তার হারানো বাহন ফিরে পেয়ে যতটুকু না খুশি হয়েছে আল্লাহ তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি খুশি হন যখন বান্দা তওবা করে তাঁর কাছে ফিরে আসে। -মুসলিম শরীফ আমাদের গোনাহের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। তাই ইস্তেগফারও করতে হবে সীমা-পরিসীমা ছাড়া। এ জন্য বুযুর্গানে দীন সকালে একশবার এবং সন্ধ্যায় একশবার ইস্তেগফার পড়তে বলেন। আমরা সকাল-সন্ধ্যায়, নামাযের পরে, ঘুমের সময় এবং যখনই সুযোগ হয় বেশি বেশি তওবা করব, ইস্তেগফার পড়ব। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন। মুহাম্মদ শাহ জাহান কুতুবী শিক্ষক আধুনগর ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা লোহাগারা,চট্টগ্রাম ।
১২৪০
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত &&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&& পুরো কুরআন শরীফের গুরুত্বপূর্ণ......
সবর কী? ---------------------- সবরের আভিধানিক অর্থ বাধা দেয়া বা বিরত......
কোরবানির হুকুম কি ? **********-**---******* ওয়াজিব না সুন্নত ? এ......
ইহরাম কি? ********** ُ (ইহরাম) শব্দটি حَرَامٌ (হারাম) শব্দ থেকে......
হজের প্রকার ----------------- হজ তিন প্রকার যথা : এক. হজে......
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত &&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&& পুরো কুরআন শরীফের গুরুত্বপূর্ণ......
অজুর মাক্রুহ সমুহ ; ****************** ১. অযুর সুন্নত সমুহের যে......
ঈমান নষ্ট হওয়া কয়েকটি আমল ********-----********** ১. গায়রুল্লাহর কাছে দোয়া......
কোরবানি কি: ***************** কোরবানি এটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলঃ......
অজুর ফরজ সমুহ ঃ ******************** ১. সমস্ত মুখমন্ডল একবার ধোয়া।......