স্বামীর উত্তমতা বিবেচনায় স্ত্রীর সনদ
خيركم خيركم لأهله
বিবাহিত কিন্ত এখনো সন্তান হয় নি যার, তার জন্য 'আহল' হলো তার স্ত্রী। আবার অন্য দিকে 'আহল' দ্বারা আরব পন্ডিতদের মতে স্ত্রীকেও বুঝানো হয়। তাছাড়া সমর্থ বুঝানর জন্য নবীজী (সঃ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিতে সরাসরি স্ত্রীদের কথা বলেছেন। হাদিস টি হলোঃ اكمل المؤمنين ايمانا أحسنهم خلقا و خياركم خياركم لنسائهم অর্থাৎ তোমাদের মাঝে চারিত্রিক দিক থেকে যে সর্বোত্তম, সেই হলো পরিপূর্ণ ইমানদার। আর যে তার স্ত্রীর প্রতি উত্তম, সে তোমাদের মাঝে উত্তম। (তিরমিযী, হাসান সাহীহ)।
এ জন্য উলামায়ে কিরাম 'আহল' দ্বারা প্রথমত স্ত্রীকে বুঝান, এরপরে যেহেতু স্ত্রীরা পরিবারের (বৈবাহিক সূত্রে) ফাউন্ডেশন, তাই তাদের সন্তানগণও এই আহলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হন।
সনদের দায়িত্ব স্ত্রীরা নন, এটা বাস্তব। এবং আমিও মনে করি সমাজের বহুল প্রচলিত তরজমা টা গলদ। তবে স্বামীরা এখানে নিজের সনদ নিজেই লিখতে পারেন। অবশ্যই তাকে একটি লাইফ টাইম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তাহলো স্ত্রী, পুত্র-পরিজনের প্রতি তাঁর দায়িত্ব বোধের পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় সে পাশ করেছে কিনা তা কিন্ত অনেক পুরুষের জানা নাও থাকতে পারে। শুধু নারীরা অনেক বিখ্যাত স্বামীর ব্যাপারে নেগেটিভ তা নয়, বরং অসংখ্য বিখ্যাত স্বামীও আল্লাহ্র দুনিয়ায় আছে যারা স্ত্রী ও পরিবারের ব্যাপারে উদাসীন। এ ক্ষেত্রে তাদের সনদের ভেলিডেশন করাতে হবে স্ত্রী ও সন্তানদের দ্বারা। হাদীসের মাফহূম (মর্ম) এটাও হতে পারে।
আর যে নারী আপনার কিংবা আমার সনদ লিখতে পারবে না তাঁকে আমরা কেনইবা বিয়ে করবো? তিনি তো বাসর ঘর থেকে হাশরের ময়দানের ও সাক্ষি। তাকে বাদ দিলে আমার ‘নিসফু দ্বীন’- ধর্মের প্রথম অর্ধেক চাপা পরে যায়। আর তা কি সম্ভব?
স্ত্রীর দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের বিশাল অংশ দেখার দায়িত্ব স্বামীর উপর। বিদায় হজ্জের ভাষণে নবীজী স্ত্রীদেরকে ‘আল্লাহ্র আমানত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি অন্যত্র বলেছেন ‘ আমি দু’জন দুর্বলের ব্যাপারে শংকিত। তারা হলো ইয়াতীম ও স্ত্রী’। কারণ কি? ইয়াতিম হারিয়েছে পিতাকে,আর স্ত্রী আপনজন কে ছেড়েছে। সে এখন তোমার জীবন সাথী। এই সাথীর প্রতি তোমার রয়েছে নানান দায়িত্ব। মহরানা, ডিগনিটী, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সকল বেসিক নীড পুরণ করতে হবে। এগুলো পালনের মাধ্যমেই তার প্রতি স্বামীর সদাচারন প্রতিফলিত হয়। এটি অসামান্য পরীক্ষা। এতে পাশ করা সহজ নয়।
আর আমাদের স্ত্রী যোগ্য হোক বা নাই হোক, তার সাথে আমাদের জীবনের পরীক্ষা যে দিতে হচ্ছে, তাতে কোন গোঁজামিলের সুযোগ নেই।
আরেকটি জিনিস মনে রাখা দরকার, তাহলো সমাজের উত্তমতার শুরু হলো আপনার আমার রুট (শুরু) যেখানে। আর তাহলো পরিবার। আর ইসলামে সে পরিবারের ভিত্তি হলো বৈবাহিক সম্পর্ক।
৪৫৭
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
নামাজের নিষিদ্ধ সময় ছাড়া সম্ভব হলে যখনই অযূ অবস্হায় মসজিদে......
কিয়ামতের নিদর্শন গান-বাজনা,নর্তকী,মদ,সূদ,রেশম কাপড় ইত্যাদিতে যুক্ত অভাগাদের জন্য সতর্কবার্তা। হযরত......
মজলুমের বদদোয়াকে ভয় করুন মু‘আয ইবন জবল রা. যখন ইসলাম......
ইস্তিন্জা দুই প্রকার ১. ছোট ইস্তিন্জা, ২. বড় ইস্তিন্জা। পেশাব......
আল্লাহর অনুগ্রহে আশা রাখার গুরুত্ব আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلْ يَا......
******* মিসওয়াকের ১০ টি উপকারীতা ******* ১/ মিসওয়াক করলে মুখ......
তওবা কী? কেন করতে হয়?? কিভাবে করতে হয় ??? নিজের......
রাসুল (সাঃ) ঘুমানোর পূর্বে যে আমল করতেন ১- দুই হাতের......
অাখিরাতের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকুন وفي ذلك فاليتنافس المتنافسون দুনিয়ার ক্ষেত্রে......
প্রশ্ন : যে ইমাম হক হালাল চিনেন না তার পেছনে......