প্রশ্নঃ হিজড়রাদের ইবাদত সম্পর্কে আল্লাহ এবং তার রাসূল সাঃ কি বলেন ?
ওনারা মারা গেলে ওনাদের দাফন কাফন সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি ?
সহীহ হাদিস অনুসারে জবাব দিয়ে আমাদেরকে বাধিত করবেন ।
==================================
জবাবঃ কুরআন বা হাদীসে সুষ্পষ্ট কোন বিধান এ ব্যাপারে বর্ণিত হয়নি। তবে ফুক্বাহায়ে কেরাম মূলনীতির আলোকে উক্ত বিষয়টির সমাধান বের করেছেন।
ইবাদতের হুকুম ও বিধানের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ যেমন কোন পার্থক্য নেই। তেমনি পার্থক্য নেই হিজড়াদের বেলায়ও। মৌলিকভাবে মানুষ দুই শ্রেণীর হয়, এক হল নারী। দ্বিতীয় হল পুরুষ। সকল প্রকার ইবাদতের ক্ষেত্রে উভয়ের জন্যই সমান বিধান, কিছু কিছু মাসআলা ছাড়া। আর ইবাদত আদায়ের পদ্ধতিতে নারী পুরুষের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। যা সবার কাছেই স্পষ্ট।
আর হিজড়াদের ক্ষেত্রে বিধান হল তাদের নারী বা পুরুষের যে কোন একটি ক্যাটাগরিতে ফেলতে হবে। রাসূল সাঃ এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেটা হল, দেখতে হবে হিজড়ার প্রস্রাব করার অঙ্গটি কেমন? সে কি পুরুষদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? না নারীদের মত গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? গোপনাঙ্গ যাদের মত হবে হুকুম তাদের মতই হবে। অর্থাৎ গোপনাঙ্গ যদি পুরুষালী হয়, তাহলে পুরুষ। যদি নারীর মত হয়, তাহলে নারী। আর যদি কোনটিই বুঝা না যায়। তাহলে তাকে নারী হিসেবে গণ্য করা হবে।
.
সুতরাং দাফন করার সময় দেখতে হবে পুরুষের ক্যাটাগরিতে অন্তুর্ভূক্ত না নারীর? যেটার অন্তুর্ভূক্ত সে অনুযায়ী দাফন হবে। আর যদি কোন ক্যাটাগড়িতেই না পরে, তাহলে নারীর মত কাফন দাফন করা হবে। তবে এক্ষেত্রে ফুক্বাহায়ে কেরাম একটি পার্থক্যের কথা বলেন যে, এরকম হিজড়াকে গোসল দেয়া হবে না। বরং তায়াম্মুম করানো হবে, যদি রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় থাকে, তাহলে সে তাকে তায়াম্মুম করাবে। না থাকলে অন্যরা হাতে পট্টি লাগিয়ে তায়াম্মুম করাবে।
.
ﺃﻥ ﻋﻠﻴﺎ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺳﺌﻞ ﻋﻦ ﺍﻟﻤﻮﻟﻮﺩ ﻻ ﻳﺪﺭﻱ ﺃﺭﺟﻞ ﺃﻡ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻓﻘﺎﻝ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻳﻮﺭﺙ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﻳﺒﻮﻝ
.
হযরত আলী রাঃ কে এমন বাচ্চা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যার ছেলে বা মেয়ে হওয়া পরিস্কার নয়। তখন হযরত আলী রাঃ বললেন, সে যেভাবে পেশাব করে সে হিসেবে মিরাস পাবে।
.
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১২৯৪, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩০৪০৩, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৯২০৪}
.
#তথ্যসূত্রঃ
হেদায়া-২/৭০১
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া-২০/১৯৬
নসবুর রায়াহ-৪/৪১৭
ফাতাওয়া আলমগীরী-১/১৬০-১৬১}
তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-৫৭৩
ফাতহুল কাদীর-১০/৫৪৮-৫৪৯
ফাতাওয়া শামী-৩/৯৯
আল বাহরুর রায়েক-২/৩০৫
বাদায়েউস সানায়ে-৬/৪১৮
৭৭৩
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
ইবাদতের উদ্দেশ্য যখনই অযূ করবে তখনই সুন্নাত নামাযের নিয়্যতে দু'রাকাত......
মধু পানের উপকারিতা ১. বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়। ২.ত্বক সুন্দর করে। ৩.গলার......
তওবা কী? কেন করতে হয়?? কিভাবে করতে হয় ??? নিজের......
******* মিসওয়াকের ১০ টি উপকারীতা ******* ১/ মিসওয়াক করলে মুখ......
নামাজের নিষিদ্ধ সময় ছাড়া সম্ভব হলে যখনই অযূ অবস্হায় মসজিদে......
মসজিদের পনেরোটি অাদব মোহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী ১. মসজিদে প্রবেশকালে ডান......
মাসঅালা - মাসায়েল আবূ ন’আইম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে......
তাকওয়া অর্জনই রোজার মূল উদ্দেশ্য মাওলানা এম সোলাইমান কাসেমী অাল্লাহকে......
প্রশ্ন :এক ব্যক্তি প্রস্রাব শেষ করে প্রস্রাবের স্থান ধৌত করে......
রাসুল (সাঃ) ঘুমানোর পূর্বে যে আমল করতেন ১- দুই হাতের......