১৪ ই ফেব্রুয়ারি একান্তই পৌত্তলিক ও কৃষ্টানদের ধর্মীয় দিবস
'
১৪ ই ফেব্রুয়ারি সাধু ভ্যালেন্টাইন দিবস বর্তমানে "বিশ্ব ভালবাসা দিবস" নামে ব্যাপক উদ্দীপনার সাথে আমাদের দেশে পালিত হয়। মূলত দিবসটি ছিল প্রাচীন ইউরোপীয় গ্রীক-রোমান পৌত্তলিকদের একটি ধর্মীয় দিবস। ভারতীয় আর্যদের মতই প্রাচীন রোমান পৌত্তলিকগণ মধ্য ফেব্রুয়ারি বা ১লা ফাল্গুন ভূমি ও নারী উর্বরতা এবং নারীদের বিবাহ ও সন্তান কামনায় প্রাচীন দেবদেবীদের বর লাভ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বিভিন্ন নগ্ন ও অশ্লীল উৎসব পালন করত, যা লুপারকালিয়া উৎসব (Feast of Lupercalis) নামে প্রচলিত ছিল ইউরোপে কৃস্টান ধর্মের প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র ধর্মের মর্যাদা লাভের পরেও এ সকল অশ্লীল উৎসব অব্যাহত থাকে। পরে একে 'কৃস্টীয়' রূপ দেওয়া হয়। ইউরোপে কৃস্টান ধর্মের প্রতিষ্ঠার পরে ধর্মের নামে, বিশ্বাসের নামে, ডাইনী শিকারের নামে, অবিশ্বাস বা ধর্মীয় ভিন্নমতের অভিযোগে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা ও আগুনে পুড়িয়ে মারা হলেও, বিভিন্ন প্রকারের অশ্লীলতা, পাপাচার, মুর্তিপূজা সাধুপূজা ইত্যাদির প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
,
৫ম-৬ষ্ঠ 'কৃস্টীয়' শতকে লুপারকালিয়া উৎসব কে 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে' বা সাধু ভ্যালেন্টাইনের দিবস নামে চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে মূল কথা হলো লুপারকালিয়া উৎসবকে কৃস্টান রূপ প্রদান করা। এভাবে আমরা দেখছি যে, এ দিবসটি একান্তই পৌত্তলিক ও কৃষ্টানদের ধর্মীয় দিবস।
,
বর্তমান যুগে "বিশ্ব ভালোবাসা দিবস" নাম দিয়ে এটিকে "ধর্ম নিরপেক্ষ" বা সার্বজনীন রূপ দেওয়ার একটি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত কার্যকর। যে দিবসটির কথা কয়েক বৎসর আগে দেশের কেউই জানত না, এখন সে দিবসটির কথা জানেনা এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমেই এরূপ করা সম্ভব হয়েছে।
,
এ চক্রান্তের উদ্দেশ্য "ভালোবাসা দিবসের" নামে যুবক-যুবতীদেরকে মাথিয়ে ব্যাপক 'বানিজ্য' করা, যুবক-যুবতীদের নৈতিক ও চারিত্রিক ভিত্তি নষ্ট করে দেওয়া এবং তাদেরকে ভোগমুখী করে স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক 'বানিজ্যিক' সাম্রাজ্যবাদের অনুগত করে রাখা।
'
ভালোবাসার একটি বিশেষ দিক নারী ও পুরুষের জৈবিক ভালোবাসা। আন্তর্জাতিক বেনিয়া সাম্রাজ্যবাদীরা 'বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের' নামে সুধু যুবক-যুবতীদের এরূপ জৈবিক ও বিবাহেতর বেহায়াপনা উস্কে দিচ্ছে। যুবক-যুবতীদের বয়সের উম্মাদনাকে পুঁজি করে তারা তাদেরকে অশ্লীলতার পঙ্কিলতার মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে তাদের সাম্রাজ্যবাদী ও বানিজ্যিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।
মহান আল্লাহ বলেছেন
قل انما حرم ربي الفواحش ما ظهر منها وما بطن
বল, আমার প্রতিপালক হারাম করেছেন সকল প্রকার অশ্লীলতা, তা প্রকাশ্য হোক বা অপ্রকাশ্য হোক।
ولا تفرقوا الزنا انه كان فاحشة وساء سبيلا
তোমরা নিকটবর্তী হয়ো না ব্যাভিচারের, নিশ্চয়ই তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।
ولا تقربوا الفواحش ما ظهر منها وما بطن
তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কোন প্রকারের অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না।
,
যারা অশ্লীলতা ছড়ায় তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে
,
মহান আল্লাহ বলেছেন-
ان الذين يحبون ان تشيع الفاحشة في الذين امنوا لهم عذاب اليم في الدنيا و الاخرة والله يعلم وانتم لا تعلمون .
سورة: النور- ١٩.
যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার /অশ্লীলতা/বেহায়াপনা প্রসার লাভ করুক তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।
সূরা : আন নূর ১৯।
৪৩৪
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
জ্ঞান ও অজ্ঞতা সমান নয়। وما يستوي الاعمي واليصير -......
মহান আল্লাহ বলেছেন والذين امنوا اشد حبا لله ঈমানদারগণ আল্লাহর......
সন্দেহ থাকলে অবশ্যই আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে কোন কিছু খাওয়া......
সূরা আল বাকারা-২, আয়াত ১৩০ ' সন্তানদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক......
দোয়ার মুকুট تاج الدعاء """""""""""""""""""""""""""""""""" খাদেমুন নবী হযরত আনাস রা......
যারা অশ্লীলতা ছড়ায় তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে মহান আল্লাহ......
তাকওয়ার হক সমূহঃ তাকওয়ার হক কি এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে হযরত......
শর্তহীন অতি সহজ এবাদত / আমল আল্লাহ পাকের জিকির قال......
আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার বিকাশে মুসলমানদের অবদান ছিল ব্যাপক '......
পিতা-মাতার জন্য দোয়া মহান আল্লাহ পিতা-মাতার জন্য দোয়া করতে মানবজাতিকে......