স্বাধীনতা আল্লাহর নিয়ামত
'
২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
'
মহান আল্লাহ মানূষের জীবনে জাগতিক যত নিয়ামত প্রদান করেছেন তার অন্যতম নিয়ামত হল স্বাধীনতা।
আমাদের স্বাধীনতার সাথে জড়িত অন্যতম দিবসগুলি হলো ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।
'
আল্লাহ পাক সকল মানূষকে সমান করে সৃষ্টি করেছেন। ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল বা অন্য কোনো কারণে কোনো জনগোষ্ঠীকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার বা শোষণ করার অধিকার কারো নেই। জুলুম, বঞ্চনা বা শোষণ থেকে আত্মরক্ষা করা এবং নিজের অধিকার আদায় করার জন্য সক্রিয় ও সচেষ্ট হওয়া মুমিনের দায়িত্ব ও অধিকার বলে কোরআন করিমে ঘোষণা করা হয়েছে। মু'মিনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন:
والذين اذا اصابهم البغي هم ينتصرون.
এবং যারা অত্যাচারিত হলে প্রতিরোধ করেন।
'
১২০৪ খৃস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার বাংলায় প্রথম স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। কালক্রমে বাংলায় অনেক স্বাধীন মুসলিম সোলতান রাজত্ব করেন। মাঝে মাঝে দিল্লির কেন্দ্রীয় শাসনের অধীন হলেও, অধিকাংশ সময় বাংলা স্বাধীন ছিল। অনার্য "গন্ডারিডাই" জাতি আর্য ধর্ম প্রত্যাখ্যান করে দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথে সৌহার্দ্য ও শান্তিতে বসবাস করেন।
'
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রে ১৭৫৭ খৃস্টাব্দের ২৩ শে জুন পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। মুসলিম প্রধান পূর্ববঙ্গের মানূষদেরকে অধিকতর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ও সামাজিক সুযোগে দানের জন্য ১৯০৫ সালের ১৬ ই অক্টোবর বৃটিশ শাসকরা বাংলা ভেঙ্গে পূর্ব বাংলা ও আসাম রাজ্য গঠন করে এবং ঢাকা পূর্ব বাংলার রাজধানী হয়। এতে পূর্ব বাংলা বা বর্তমান বাংলাদেশের জনগণের অধিকার লাভের সুযোগ ঘটে। কিন্তু উগ্র ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হিন্দু নেতৃবৃন্দ বাংলা মায়ের খন্ডিত করণ রোধে "বন্দেমাতরম" বা মা তোমার বন্দান বা পূজা করি" শ্লোগান দিয়ে জোরালো আন্দোলন করেন। এক পর্যায়ে তারা সন্ত্রাস ও উগ্রতার পথ বেঁছে নেন। ৩০ শে এপ্রিল ১৯০৮ সালে ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী বড়লাটকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে পরে প্রফুল্ল আত্মহত্যা করে এবং ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়। এক পর্যায়ে ১৯১১ সালে বৃটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করে। তবে এ বঙ্গভঙ্গের ধারাবাহিকতাতেই পূর্ব বঙ্গের মুসলিম প্রধান বাঙালী জনগোষ্ঠী রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন তার ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সালে আমরা বৃটিশ উপনিবেশের অধীণতা থেকে স্বাধীনতা লাভ করি।
আমাদের দায়িত্ব:
১. আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
২. যে সব মানূষের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, প্রশংসা করা, তাদের আলোচনা করা, স্মরণ করা ও দোয়া করা।
রাসুল সা বলেছেন,
من لم يشكر الناس لم يشكر الله
৪২১
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
মজলুম ও জালেমকে সাহায্য কর প্রসঙ্গে عن انس رضي الله......
দোয়ার মুকুট تاج الدعاء """""""""""""""""""""""""""""""""" খাদেমুন নবী হযরত আনাস রা......
সূরা: বাকারা-২ আয়াত-১২৮ ক্ষমা ও অনুগত বংশধর এর জন্য ইব্রাহিম......
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ইমাম বাতায়নে' এ সপ্তাহের সেরা কনটেন্ট দাতা......
জ্ঞান অর্জন করা নর-নারী সবার জন্য ফরজ عن انس رضي......
তাকওয়ার হক সমূহঃ তাকওয়ার হক কি এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে হযরত......
রাসূল সা বলেছেন যেসব নারী-পূরুষ পরস্পরের বেশভূষা গ্রহণ করে তোমরা......
واتوا النساء صدقاتهن نحلة . স্ত্রীদের প্রাপ্য মহরানা তাদের আদায়......
রাসুল সাঃ ধীরে আস্তে স্পষ্ট করে কথা বলতেনঃ عن عائشة......
ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরে দোয়া / জিকির عن حذيفة قال......