জিল হজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ফযীলতঃ
***********************************************
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন:
(ما العملُ في أيامِ العشْرِ أفضلَ من العملِ في هذه . قالوا : ولا الجهادُ ؟ قال : ولا الجهادُ، إلا رجلٌ خرجَ يخاطِرُ بنفسِه ومالِه، فلم يرجِعْ بشيءٍ -(أخرجه البخاري , باب فضل العمل في أيام التشريق
‘জিল হজ্জ্বের প্রথম দশকের চাইতে উত্তম এমন কোন দিন নেই, যে দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহ্র নিকট অধিক পছন্দনীয়।’ সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন: আল্লহ্র পথে জিহাদও নয় হে রাসূলুল্লাহ্? তিনি বললেন: ‘আল্লাহ্র পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদ ব্যক্তির কথা ভিন্ন যে স্বীয় জান-মাল নিয়ে জিহাদে বেরিয়ে পড়ে, আর উহার কিছুই নিয়ে প্রত্যাবর্তন করে না।’ (বুখারী, অনুচ্ছেদ: আইয়ামে তাশরীকের দিন গুলোতে আমল করার ফযীলত)
অন্য বর্ণনায় ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে এসেছে- ‘তোমরা এই দিনগুলোতে অধিক হারে তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠ কর।’ (আহমদ)
১, হজ্জ্ব ও উমরাহ্ পালন করাঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, বাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন: “এক উমরাহ্ থেকে অপর উমরাহ্র মাঝে সংঘটিত পাপ-সমূহ এমনিই বিমোচিত হয়। আর মাকবুল হজ্জ্বের বিনিময় নিশ্চিতভাবে জান্নাত।” (বুখারী ও মুসলিম)
২। যাবতীয় সৎ কাজ অধিক হারে আদায় করাঃ যেমন- নামাজ, রোজা, সাদকাহ্ (দান), কুরআন তেলাওয়াত, যিকির, নিকটাত্মীয়ের সাথে সদাচার, সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ, তওবা, ইস্তেগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা) ইত্যাদি। কেননা সৎ আমলের প্রতিদান এইদিন গুলিতে যেমন অধিক হারে বৃদ্ধি পায়, তেমনি সৎ আমলই অল্লাহ্র মাগফিরাত ও রহ্মতকে নির্দিষ্ট করে।
৩ ।রোজা রাখাঃ ইমাম নবুবী (রঃ) বলেন: ‘এই দিনগুলিতে রোজা পালন করা মুস্তাহাব। বিশেষ করে যে ব্যক্তি হজ্জ্বে যায়নি তার জন্য আরাফাত দিবস তথা ৯ই জিলহজ্জ্বে রোজা রাখা মুস্তাহাব।’ হযরত আবু ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, বাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন: ‘আরাফাত দিবসের রোজা আগত এবং বিগত এক বছরের পাপ বিমোচন করে।’ (সহীহ্ মুসলিম)
৪ ।কুরবানী করাঃ ঈদের দিন বা আইয়ামে তাশরীকে (জিল হজ্জ্বের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ) ক্বুরবানী করা। ক্বুরবানী আমাদের পিতা ইব্রাহিম (আঃ)-এর সুন্নত, যখন আল্লাহ্ তাঁকে ঈসমাইল (আঃ) এর বিনিময়ে একটি বিরাট কুরবানী দান করেছিলেন। আল্লাহ্ বলেন: فصللربكوانحر ‘আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন ও ক্বুরবানী করুন।’(কাউছার-৩)
৪। নখ ও চুল কাটা থেকে বিরত থাকা: রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন: ‘তোমাদের কেহ যদি জিলহজ্জ্বের চাঁদ দেখে এবং ক্বুরবানী করার ইচ্ছা করে তাহলে সে যেন ক্বুরবানী পর্যন্ত স্বীয় চুল, নখ ইত্যাদি কর্তন থেকে বিরত থাকে।’ (মুসলিম)
৫ । তাকবীর বলাঃ নির্দিষ্ট এবং অনির্দিষ্ট তাকবীর উঁচু আওয়াজে বলা। মহিলাগন নীচু আওয়াজে বলবে। তাকবীর এককভাবে বলা সুন্নত, দলবদ্ধ হয়ে সমস্বরে বলা অবৈধ। কেননা এরূপ তাকবীর বলা বাসূলুল্লাহ্ (সাঃ), তাঁর সাহাবা এবং পূণ্যাত্মা পূর্বসূরীদের থেকে প্রমানিত নয়
২০৭
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
অসং্খ্য ধন্যবাদ জনাব মাহাদি হাসান স্যরকে, ইমাম বাতায়নে আমার সমস্যা......
জিল হজ্জ মাস শুরু হলে যে ব্যক্তি কুরবানী করবে তার......
পবিত্র কাবা শরীফের গিলাফ পাঁচটি খন্ডে তৈরী করা হয়। চারদিকের......
মৃত্যুর পরও যে সব আমলের সাওয়াব অব্যাহতভাবে পেতে থাকে ব্যক্তির......
কিছু নিষিদ্ধ কাজ, যা আমরা প্রায়-সময় করে থাকি ************************ (১)......
আল হামদুলিল্লাহ, ৪র্থ বারের মত " ইমাম বাতায়নে" "সেরা কন্টেন্ট......
ইমাম বাতায়নে পর পর দুইবার (দুই সপ্তাহ) "সেরা কন্টেন্ট দাতা"......
রাসুল (স.) এর একটা হাদিস: *******----------******* আবু হোরাইরা (র.) থেকে......
ইমাম বাতায়নে নতুন সদস্য হতে পারাই সবাই কে শুভেচ্ছা । ...
আমি ইমাম বাতয়নে নতুন সদস্য হলাম। ইমাম বাতায়ন পরিবারের সবাইকে......