আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর ইবাদতের জন্য বানিয়েছেন এবং মেহেরবানী করে প্রত্যেক ইবাদতের একটা সময় ও সুরত, একটা আঙ্গিক কাঠামো নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নামাযের আলাদা সূরত ও সময় রয়েছে, রোযার রয়েছে, হজের রয়েছে। ইবাদত করতে হলে এই সব সূরতের ভিতর, আঙ্গিক কাঠামোর ভেতর করতে হবে, এর বাইরে ইবাদত হয় না। এর মাঝে মাঝে কিছু সময় তিনি আবার অন্যান্য কাজেরও অনুমতি দিয়ে রেখেছেন।
আল্লাহর মেহেরবানী, আল্লাহর ফজল ও করম এটা। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে হুকুম করতে পারতেন, যে তুমি তো কোনো মুহূর্তই আমার ধ্যান থেকে খালি থাকবে না। আল্লাহ তা’আলা ইবাদতের নামে কিছু মুহূর্ত আমাদেরকে দিয়ে দিয়েছেন এবং চান, যে এই ইবাদতের সময়টা, এই মুহূর্তগুলোয় আমার ধ্যান থেকে যেন আল্লাহ গায়েব না থাকেন। আমি যেমনভাবে আল্লাহ তা’আলার নিগাহবানীর ভিতরে আছি, ঠিক আমার ধ্যানের বাইরেও যেন আল্লাহ তা’আলা না থাকেন। এই ইবাদতগুলো এক দিকে যেমন বান্দার গোলামীর প্রকাশ, আরেকদিকে হলো গোলামের পক্ষ থেকে মালিকের জন্য কিছু হাদিয়া, উপহার। আল্লাহ তা’আলাকে কিছু খাদ্যদ্রব্য উপহার দেয়া সম্ভব নয়, একটা ফুল দিয়ে আল্লাহ তা’আলাকে ভালোবাসা দেখালামÑ তা হয় না। বান্দার পক্ষ থেকে ইবাদাতগুলো এই যে নামায বলুন, রোযা বলুন এইগুলো হলো, এক দিকে যেমন তার গোলামীর প্রকাশ, আরেক দিকে হলো এগুলো আল্লাহ তা’আলার সামনে বান্দার পক্ষ থেকে একেকটা হাদিয়া। হে আল্লাহ! তোমাকে তো আর কিছু দিবার আমার নেই, আমি যে গোলাম এ স্বীকৃতির প্রকাশটুকুই তোমার সামনে আমি হাদিয়া হিসেবে পেশ করছি, উপঢৌকন হিসেবে, উপহার হিসেবে দিচ্ছি।
৩১৮
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
পবিত্র রমজান মাস লাইলাতুল কদরের রাত্রি বেশী বেশী ইবাদত করবে। ...
১। নারী পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা করা ফরজ। ২। বেপর্দা......
লাইলাতুল কদরের রাত্রে বেশী বেশী ইবাদত করবে। ...
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর ইবাদতের জন্য বানিয়েছেন এবং মেহেরবানী করে......