ছোটদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা ইসলামের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহপাক ছোট সন্তান সন্ততিকে লালন পালন করা শিক্ষা দীক্ষা ও আদব কায়দা তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া পিতা মাতার উপর অপরিহার্য করে দিয়েছেন। পিতা মাতার অবর্তমানে বড় ভাইয়ের উপর এ দায়িত্ব বর্তায় । তাদের কে উপযুক্ত লালন পালন ভবিষ্যত প্রজন্ম কে করে সমৃদ্ধ ও সৌভাগ্যবান। এ জন্য ইসলামের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোটদেরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভাল বেসেছেন। ভালবাসার জন্য দিয়েছেন জোড় তাগিদ। হাদিসে ঘোষণা দিয়েছেন ليس منا من لم يرحم صغيرنا অর্থাৎ ঐ ব্যক্তি আমাদের দলভূক্তই নয় মানে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্তই নয়, যে আমাদের ছোটদের প্রতি অনুগ্রহ বা করুণা করেনা। কি সে করুণা ? তা হচ্ছে শিশুদের কে তাদের সাধীন ইচ্ছার উপর বাঁধা না দেয়া। কারণ তারা নিজেদের মত করে বড় হতে না পারলে তারা সংকীর্ণমনা হয়ে বেড়ে উঠবে। তারা অনুকরণ প্রিয়। তাই তাদের কাছে মনুষ্যত্বের সেরা ব্যবহারগুলো উপস্থাপন করতে হবে। দেখুন ইসলামে গান বাজনা সম্পূর্ণ হারাম। কিন্তু নবীজি এক বাড়িতে গিয়ে দেখলেন শিশু কিশোর বালক বালিকারা নাচগান করতেছে। আল্লাহর নবীকে দেখে কেউ কেউ তাদের কে বাঁধা দিতে লাগলেন। আল্লাহর নবী তাদেরকে বারণ করে বললেন শিশুদেরকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। এ হাদিস দ্বারা কিন্তু গান বাজনার বৈধতার দলিল প্রদান করা যাবেনা। কারণ বর্ণিত ঘটনা কোন মোকাল্লাফ বিস শরিয়ত দ্বারা হয় নি। হয়েছে অবোধ বাচ্চাদের দ্বারা, যাদের উপর শরিয়তের হুকুম আহকাম বর্তায় না। কাজেই বড়দের দায়িত্ব হল ছোটদেরকে ভালবাসা। ছোটরা যেহেতু বড়দেরকে দেখে দেখে কিছু করে সেহেতু বড়রা ভাল ভাল আচরণগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করবে। ছোটদের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে গুরুত্ব দিবে। হযরত উমর (রাঃ) খিলাফতের মসনদে সমাসীন থাকাবস্থায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ (রাঃ) কে ডেকে এনে পবিত্র কালামে পাকের বিভিন্ন সূরা ও আয়াতের তাফসীর জিজ্ঞাসা করতেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) ছিলেন বালক বয়সের। ইবনে আব্বাস ও সেই ধাছে গড়ে ওঠা বালক ছিলেন। তাই তিনি বলতেন আপনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা বয়োজেষ্ট শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। আপনি আমার কাছে তাফসীর জিজ্ঞাসা করেন আমার লজ্জা লাগে। এটা ছিল ইবনে আব্বাসের বড়দের প্রতি নম্রতার বহিঃপ্রকাশ। কারণ ইসলামের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও্যাসাল্লাম এও তো বলেছেন - ليس منا من لم يرحم صغيرنا ولم يوقر كبيرنا অর্থাৎ .........সেও আমাদের দল ভূক্ত নয় যে বড়দের কে সম্মান করে না ।হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলতেন -ইবনে আব্বাস তোমার মূখে কোরানের তাফসীর আমার বড় ভাল লাগে । সুতরাং ছোটদের কে ভাল বেসে তাদের কে উপযুক্ত করে গড়ে তুলার মধ্যেই রয়েছে ব্যক্তি ,সমাজ ও জাতির জন্য প্রভূত কল্যাণ।
৬১০
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আল্লাহ পাক আজ্জা ওয়া জাল্লাহ বিভিন্ন সময় নবী এবং রাসূল......
# আলহামদুলিল্লাহ্ দীর্ঘ বছর পরও স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণে অতুলনীয়......
আল্লাহ তায়ালা বনি ইসরাইলের প্রতি যে সব নিয়ামত দান করেছিলেন......
পরকালের বিশ্বাস ও মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রতি ইমান আনয়ন ইসলামের......
হযরত সালমা ইবনে আকওয়া ( রা:) বলেন এক ব্যক্তি হুজুর......
ইসলাম সকল দিক বিবেচনায় একটি শক্তিশালী ধর্ম। এর কিতাব তথা......
خلق الله ادم علي صورته "আল্লাহ আদমকে তার সূরতে সৃষ্টি......
গান বাজনা খেল তামাশা চরিত্র বিনষ্ট করণের বড় এক উপকরণ।......
"তওবা করার গুরুত্ব,ফযিলত ও নিয়ম-কানুন৷"** তওবা করার পদ্ধতি: পবিত্রতা অর্জন......
আশূরার সঠিক ইতিহাস ও ফজিলতঃ ========================= মহান আল্লাহ আমাদের জন্য......