সৎ কাজে আদেশ দান ও অসৎ কাজে বাধা প্রদান ইসলামের মৌলিক একটি বিষয় । আরবীতে বলা হয় -الامر با المعروف و النهي عن المنكر । মানূষকে মহান আল্লাহ বিবেক বিবেচনা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন । ন্যায় অন্যায় ভাল মন্দ পার্থক্য করার ক্ষমতা কেই বলা হয় বিবেকবোধ । এ বিবেকবোধ কেবল মানুষ ও জিনকে দেয়া হয়েছে বলেই এ দুজাতির বিচার হবে ময়দানে ক্বিয়ামতে । মানুষ এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে । তাই মানুষকে আশরাফুল মাখলুক্বাত বা সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়েছে । আর এজন্যই মহান আল্লাহ মানুষের মধ্য থেকে রাসূল বানিয়ে মানুষের শ্রেষ্টত্ব কে জানান দিয়েছেন । বলেছেন الله يصطفي من الملاءكة رسلا و من الناس অর্থাৎ আল্লাহ ফেরেশতা থেকে এবং মানুষ থেকে রাসূল নির্বাচন করেন ।
এখানে ফেরেস্থার রাসূল ফেরেশতার জন্য সম্মানীত । তারা কেবল হুকুম তামিল করার জন্য সৃষ্ট । তাদের হুকুম (আল্লাহর) তামিলের মধ্যে কোন গড়মিল নাই । তাছাড়া তাদের কে সৃষ্টির নিযাম বা শৃংখলার জন্য বানানো হয়েছে । কিন্তু মানব জাতিকে বানানো হয়েছে ভাল মন্দ পার্থক্য করে চলার জন্য । বিবেক দিয়ে দূ'টির যে কোন একটি বেছে নেয়ার ক্ষমতা ও দেয়া হয়েছে । এবার বিবেকের চ্যুতি ঘটলে হবে শাস্থি । এ জন্যই মানুষকে শ্রেষ্ট সৃষ্টি বলা হয়েছে । উতকৃষ্টতার মানদণ্ড নিরূপন করা হয়েছে বিবেকবোধ দিয়ে । এর উতকৃষ্টতম বাহক হচ্ছেন উম্মতে মোহাম্মদির ঐ সকল মানুষ ,যারা সৎ কাজে আদেশ করেন অসৎ কাজে বাধা প্রদান করেন । এদের পরিচয় দিতে যেয়ে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন -كنتم خير امة اخرجت للناس تامرون با المععوف و تنهون عن المنكر অর্থাৎ - তোমরাই উত্তম জাতি তোমাদের কে মানুষের মংগলের জন্য বের করা হয়েছে ।তোমরা সৎ কাজে আদেশ করবে আর অসত কাজে বাঁধা প্রদান করবে ।
অত্র আয়াতে স্পষ্ট করে উত্তম বলা হয়েছে উম্মতে মুহাম্মদির ঐ সকল মানুষ কে যারা সৎ কাজে আদেশ প্রদান ও অসত কাজে নিষেধ প্রদান করেন । এ উম্মতকে বের করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে মানুষের মঙ্গল করা ।সুতরাং শ্রেষ্ট হওয়ার মাপকাটি হল মানুষের মঙ্গল করা ও সৎ কাজের আদেশ দান এবং অসত কাজে বাঁধা প্রদান । এ গুণে গুনান্বিত হ্ওয়ার মধ্যে রয়েছে মানব জনম সফলতার নির্দেশনা । নিজেকে নিয়ে ব্যস্থ যারা সার্থপর ,অলস।নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষ এরা । অপরের কল্যাণ ব্রতে যে মানুষ, সে সেরা । এ জন্য ইসলামের নবী হাদীছ করেছেন -من راء منكم منكرا فاليغير بيده فان لم يستطيع فبلسانه فان لم يستطيع فبقلبه هذا اضعف الايمان অর্থাৎ - তোমাদের মধ্যে কেহ কোন গর্হিত কাজ হতে দেখলে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে ।তা সম্ভব না হলে সে যেন মূখ দিয়ে প্রতিবাদ করে ।তাও সম্ভব না হলে সে যেন অন্তর দিয়ে তার নিন্দা করে ।এটা দূর্বল ঈমান ।
অতএব মানুষের মনুষ্যত্ব কে ঠিকিয়ে রাখতে হলে শ্রেষ্টত্বের অভিধায় সিক্ত হতে গেল মানুষ কে ভাল কাজে আদেশ দান উদ্ভূদ্ধ করণ ও মন্দ কাজে নিষেধ ও নিরুতসাহিত করণের মিশনে হতে হবে সদা অটল অবিচল । তাহলেই মানব জনম হবে সার্থক ও অর্থ বহ ।
৩৭৬
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আল্লাহ বলেন "ওয়াবিল ওয়ালিদাইনি ইহসানা "। অর্থাৎ - পিতামাতার সাথে......
স্বাধীনতার মাসে বাংগালী হৃদ হাসে কত চিত্রভাসে স্বাধীন এ পতাকার......
রসনা বা কথা বার্তা বলার ইচ্ছা ও বাসনা মানুষের অন্যতম......
আল্লাহ পাক আজ্জা ওয়া জাল্লাহ বিভিন্ন সময় নবী এবং রাসূল......
আজ দিনের শেষে রাতের পবিত্র এক মুহূর্তে সুন্দর শুভক্ষণে সেই......
"তওবা করার গুরুত্ব,ফযিলত ও নিয়ম-কানুন৷"** তওবা করার পদ্ধতি: পবিত্রতা অর্জন......
ফেরাউনি সৈনিকদের হাত থেকে শিশু মূছা ( আ:) কে সুরক্ষা......
(৩৭) আল্লাহ তা'লা ঘোষণা করেন -والذين امنوا با الله و......
নামাজে নাভীর নীচে হাত বাঁধা প্রসংগে অনেক কথা বার্তা শুরু......
ইসলাম সকল দিক বিবেচনায় একটি শক্তিশালী ধর্ম। এর কিতাব তথা......