সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

পবিত্র লাইলাতুল মিরাজের শুভক্ষনের স্মরণিকা।
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : শনিবার ১৪/০৪/২০১৮

 

আজ দিনের শেষে রাতের পবিত্র এক মুহূর্তে সুন্দর শুভক্ষণে সেই স্মরণিকা আমাদের সামনে উপস্থিত হতে যাচ্ছে, যখন নুরের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর দাওয়াতে প্রভূত্বের নিদর্শনাবলীর চাক্ষুস পরিদর্শনের জন্য মালায়ে আ'লায় গমন করে  সম্বর্ধিত হয়েছিলেন মাবুদের তত্তাবধানে। সাতাইশজন সাহাবী রেদ্বওয়ানুল্লাহি তা' লা আলাইহিম আজমাইন এর ধারা ভাষ্যে 
বর্ণিত হয়েছে সে বিস্ময়কর ঘটনা। সরাসরি  দেহাত্বার 
সমন্বয়ে সংঘটিত সে কাহিনী ইসলামের অনবদ্য এক
 দলিল। মো'জিজা খ্যাত দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বিতীয় বৃহত্তম মো'জিজা এটি। মো'জিজাতুন আরবী শব্দটি ইসমে ফায়েলের সিগাহ। 
বাবে ইফয়াল থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ - অক্ষম কারী।
পরিভাষায় মো'জিজা হচ্ছে ঐ  সকল সংঘটিত বিষয়া
বলী, যা জ্ঞান বিবেক, চিন্তা চেতনা ও হিসাব নিকাশকে সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষম করে দেয়। যেখানে মানবীয় জ্ঞান পৌঁছা তো দূরের কথা, হয়রান হয়ে যেতে বাধ্য। যেমন- সাত আসমান অতিক্রম করে সিদরাতুল মুনতাহা পাড়ি দিয়ে আরশে আযিমে বিনা হিযাবে মা'বুদের সাক্ষাতে
 নব্বই হাজার কথা বলে জান্নাত জাহান্নাম পরিদর্শন
শেষে নবীজি মক্কার মসজিদুল হারামে এসে দেখেন দরজার করা নড়তেছে,সবে মাত্র ওযুর পানি গড়িয়ে যাচ্ছে !  তাই এ অবাক করা বিস্ময়ের এ কাহিনী  বর্ণনা  করতে স্বয়ং প্রভূ ই 'সোবহান' শব্দটি প্রথমে ব্যবহার করলেন। বিস্ময়কর কিছু ঘটলে বা শুনলে আমরা যে
 "সোবহানাল্লাহ " বলে থাকি। সেটা শিখিয়েছেন 
আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 
আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন -" সোবহানাল্লাজি আসরা বিয়াব্দিহি লাইলাম মিনাল মাসজিদিল হারাম ইলাল মাসজিদিল আক্বসাল্লাজি বারাক্বনা হাওলাহু লিনুরিয়াহু 
মিন আয়াতিনা। ইন্নাহু হুয়াস সামিউম বাছির"।অর্থাৎ
 পবিত্রতম সে সত্ত্বা যিনি তার বান্দাকে রাতের কিয়দাংশে মাসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্বসায় ভ্রমন করিয়েছেন  যার চতুশপার্শ্ব আমি বরকতময় করেছি
 যেন আমি দেখাতে পারি আমার নিদর্শনাবলী। নিশ্চয়  তিনি সর্বশ্রুতা ও সর্ব দ্রষ্টা। (বনি ইসরাইল-১)
বোখারী সহ বিভিন্ন সহিহ হাদীছ গ্রন্থের ভাষ্য মতে এক রাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবা শরিফের হাতিমে শুয়েছিলেন। এ সময় জিবরাইল ও মিকাইল (আলাইহিমাস সালাম) আগমন করে বললেন আমাদের সংগে চলুন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বোরাক নামক বাহনে সওয়ার করানো হল। এটা জান্নাতি বাহন যা খচ্ছর হতে ছোট গাধা হতে বড়। গতি ছিল দৃষ্টিসীমা জোরে এককদম। এমন দ্রুততার সাথে তাকে মসজিদুল আক্বসায় নেয়া হল। মাদায়েন ও বায়তুল লাহামে যথাক্রমে মূছা ও ইবরাহিম আলাইহিমাস সালামকে দেখলেন তারা নিজ নিজ কবরে দাঁড়িয়ে নবীজিকে সালাম দিচ্ছেন। মসজিদুল আক্বসায় সকল নবীগণ কাতারবদ্ধ হয়ে নামাজেরর অপেক্ষায় রয়েছেন।   সেখানে সকল নবী ও ফেরেশতা মিলে দয়াল নবীকে অব্যর্থনা জানালেন। নবীজি ফরমান " ফাম্মানী জিবরাইলু "। জিবরাইল আমাকে ইমামতির জন্য দাড় করিয়ে দিলেন।
এরপর একে একে সবগুলো আকাশে দয়াল নবিজিকে ভ্রমন করালেন। প্রথম আসমানে আদম ( আ:)  এর সাক্ষাত পেলেন। দ্বিতীয় আসমানে হযরত ইসা(আ:) ও ইদ্রিস ( আ:) এর সাথে মোলাক্বাত হল। তৃতীয় আসমানে হযরত ইউসুফ ( আ:) চতুর্থ আকাশে হযরত ইয়াহিয়া (আ:) ও পঞ্চম আকাশে হযরত হারুন (আ:), ষষ্ট আকাশে হযরত মুসা (আ:) ও সপ্তম আকাশে হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর সাক্ষাতকার হল। ফেরেস্থাগণ সহ সকল নবীগণ নবিজিকে অব্যর্থনা প্রদান করলেন।
এখান থেকে নবি সিদরাতুল মুন্তাহার দিকে অগ্রসর হলেন। পথে হাউজে কাওসার অতিক্রম করে জান্নাতে প্রবেশ করলেন। জান্নাতে অবারিত সুখ সমৃদ্ধির এমন সব বিষয়াবলী প্রত্যক্ষ করলেন কোন চোখ  যা কোনদিন দেখেনি। এমন সব শুনলেন, যা কোন কান কোনদিন শ্রবন 
করেনি।সিদরাতুল মুন্তাহায় জিবরাইলের শেষ সীমা।

নবীজি বিশেষ  বাহনে করে আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্যে পৌছলেন। যাকে বলা হয় ক্বাবা ক্বাওসাইন। এমন নৈকট্য যে,  দুই ধনুকের খালি জায়গা বরং তার চেয়ে ও আরও নিকটে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান- " রায়াইতু রাব্বি আজ্জা ওয়া জাল্লা ফি আহসানি সুরাতি---"।

আমি আমার প্রভুকে অতি উৎকৃষ্ট  আকৃতিতে দেখেছি।
তার কুদরতি দস্থ মোবারক আমার বাজুতে রাখলে আমি তার শীতলতা আমার হৃদয়ে উপলব্দি করি। (বোখারী)

৩১৬

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭