ইভটিজিং এর পরিচিতি : ' ইভ' শব্দের অর্থ আদি মাতা অর্থাৎ হাওয়া (আ:) আর ' টিজিং শব্দের অর্থ - উত্যক্ত করণ। অতএব ইভটিজিং শব্দের অর্থ নারী জাতিকে উত্যক্ত করণ।
রাস্তাঘাটে, হাটেবাজারে, বাড়িতে, চাকুরীক্ষেত্রে বা যে কোন স্থানে নারীর প্রতি নরের যে কোন উত্যক্ত করণ তথা, রাস্তার গতিরোধ, অবৈধ অঙ্গভংগী, কুপ্রস্তাব, অশালীন মন্তব্য, শীষদেয়া, আক্রমন করা মা দৈহিক মানসিক হেনস্থা করা এসবই ইভটিজিং এর পর্যায়ভূক্ত।
ইভটিজিং এর কারন: নারীর প্রতি নরের, নরের প্রতি নারীর প্রবৃত্তিগত একটা আকর্ষণ থাকে। এটা আল্লাহর সৃষ্টির অপার কৌশল। মূলত এ আকর্ষণ বিকর্ষণের মধ্যেই নিহিত আল্লাহর অনুপম সৃষ্টির সৌন্দর্য ও চরম শান্তি। কিন্তু বোধ বিবেকহীন অশিক্ষিত কুশিক্ষিত অকর্মন্য প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষেরা উক্ত আকর্ষণ বিকর্ষণের বৈধ ব্যবহার জানেনা কিংবা জেনে ও কুপ্রবৃত্তির কাছে হার মেনে ইভটিজিং এর মত গর্হিত কাজে প্রবৃত্ত হয়। তা ছাড়া ও নারীরা অশালীন পোশাকে-আশাকে উগ্র ভাব ভংগিতে চলা ফেরার সময় বখাটেরা ক্ষনিকের জন্য নারীকে নিয়া ইঞ্জয়ম্যান্ট করার নেশায় মেতে উঠে। ইভটিজিং এ রত হয়। মনূষ্যত্বের শিক্ষা ও খোদা ভীতির জ্ঞান তার মধ্যে না থাকার কারনে ইভটিজিং করে। বিশেষত অলস অকর্মণ্য বখাটেরা ইভটিজিং করে বেশী।কারন কর্মহীন মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা।
ইভটিজিং রোধের উপায় : ইংরেজিতে একটা কথা আছে :-" প্রিভেনশন ইজ দা বেটার দেন কিউর" রোগের চিকিতসার চেয়ে রোগের প্রতিরোধ উত্তম"। এখানে ও ঠিক একই কথা প্রযোজ্য।
অপরাধের শাস্তি বিধানের চেয়ে অপরাধ প্রবনতা প্রতিরোধ করা ভাল। এ জন্য ইভটিজিং রোধে আমরা নিম্নলিখিত বিষয়াবলি বাস্তবায়ন করতে পারি।
* সকল প্রকারের শিক্ষায় নীতিজ্ঞান শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
* ইসলামের আলোকে নারীর মর্যাদা উপলব্ধিতে নিয়ে আসার যাবতীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থার ভূমিকা মূখ্য হতে পারে। আলেম সমাজ রাখতে পারেন মৌলিক ভূমিকা।
* জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সামাজিকভাবে সমাজের নেতৃস্থানীয় লোকেরা এ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
* নারীরা শালীন পোশাকে ভদ্রবেশে চলাফেরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
* অপরাধীর প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শনের মানসিকতা ছেড়ে দিতে হবে।
* ইসলামে নারী পুরুষের চালচলনের বিধান জনসমক্ষে বুঝিয়ে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। আলিম ও খতিবগণ এ দায়িত্বে মৌলিক ভূমিকা পালন করতে হবে।
ইভটিজিং প্রতিকারের উপায় : ইভটিজিং প্রতিকারে আইনী প্রয়োগ যথার্থ হতে হবে।
* সামাজিকভাবে ইভটিজিংকারীকে বয়কট করতে হবে।
*রাষ্ট্রীয়ভাবে ইভটিজিংকারীদেরকে পূনর্বাসন করতে হবে।
* অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনুকম্পা গ্রহনযোগ্য হবে না ।
সর্বোপরি আল্লাহর ভয় পরকালীন ভয় ও বিচার সম্পর্কে মানুষের মনে বিশ্বাস ও ধারণা বদ্ধমূল করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৫৩৮
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
দোয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ: অভিধান বেত্তাগণ বলেন দোয়া শব্দটি বাবে......
ঃঃপশুকে খাসী করানো প্রসংগে । ************************************* পশুকে খাসী করানো সাধারণ......
এই কান্না থামবে কবে? জান্তা হবে ক্ষান্ত? আর কত রক্ত......
ভাষা নিয়ে লিখবো এবার, এটি আল্লাহর শ্রেষ্ট দান। মাতৃভাষায় হাসি......
মিথ্যা এমন একটি দোষণীয় বিষয় যা মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে......
হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময়......
যারা দরীদ্র অসহায় ও দূর্বলদেরকে দেখে কে ই নাক ছিটকান......
ফিরাউনের কাছে গনকেরা আসল,গননা করে তারা বলতে লাগল ওহে আমাদের......
عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله......