সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

নারীর অধিকার
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : সোমবার ৩০/১০/২০১৭

সুচনাঃ অধিকার শব্দটির আরবী হচ্ছে হক্বঅর্থ সত্য,ন্যায্য পাওনা, বাস্থবায়ন ইত্যাদিযেমন পবিত্র কালামে পাকে আছে لينذر من كان حيا و يحق القول علي الكافرين (المعجم الوسيط অর্থাৎ -যেন ভয় দেখাতে পারেন যারা জীবিত আর কাফেরদের ব্যপারে যেন কথা বাস্থবায়িত করতে পারেন

ইসলামের পরিভাষায় হক্ব বা অধিকার হচ্ছে- যে যা সত্যাসত্যি ভাবে পাওয়ার যোগ্য তাকে তা প্রদান করাসুতরাং এ অর্থে নারী অধিকার বা হুক্বুকুন্নিসা বলতে নারী হিসেবে একজন মহিলা যা পাওয়ার যোগ্য তাকে তদানুরূপ প্রদান করা বুঝায়

ইসলাম প্রদত্ত নারী অধিকারঃইসলাম ফিতরাত বা সভাব জাত ধর্ম হওয়ায় নারীকে তার সৃষ্টিগত উপযুক্ততার ভিত্তিতে যা পাওয়ার দরকার তার সব অধিকার ই নিপূন ভাবে প্রদান করেছেআশরাফুল মাখলুক্বাত মানুষ হিসেবে নারীকে সীকৃতি দান করেছেজাহেলিয়াতের নারী বিদ্বেষী সকল প্রকারের ঘৃণ্য আচরনের মূলে কুঠারঘাত করে নারীকে নরের অর্ধাংগীনি ঘোষণা করেছেযেখানে নারীকে জীবন্ত কবর দেয়া হত,ভোগ বিলাসের উপকরন মনে করা হত,সম্পদ থেকে নিষ্ঠূর ভাবে বঞ্চিত করা হত,সেখানে ইসলামের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীকে গোটা মানবতার অর্ধেক ঘোষণা করে পরম মর্যাদার আসনে সমাসীন করলেনপিতা,ভাই স্বামীর সম্পদে নারীর সুনির্দিষ্ট অংশ নির্ধারণ করে দিলেনস্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণ পোষণ অপরিহার্য করে নারীর কষ্টের বোঝা লাঘব করে দিলেনতদুপরী স্ত্রীর প্রাপ্য মোহরকে একান্ত ভাবে স্ত্রীর নিজস্ব সম্পদ হিসেবে ধার্য করে দিলেনমানব জাতির বিকাশে পারিবারিক বন্দনে নারীকে অনস্বীকার্য অংশ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আসলেন الرجال قومون علي النساء আয়াতে কোরাআনী দ্বারা পুরুষদেরকে নারীর তত্ত্বাবধায়ক বানালেন নারীর অধিকার সংরক্ষনের জন্য ই।কারন নারীরা সৃষ্টিগত ভাবেই কোমল, নম্র,দুর্বল।মাঠে ময়দানে কাজ করার যোগ্যতা ও শক্তি মত্তা তাদের নেই।নিজের কমনীয়তা রক্ষা করার শক্তি সাহস ক্ষীণ।কঠিন কাজের দায়,মানসিক চাপ সহ্য করার যোগ্যতাই তাদের অতি অল্প।তদুপরী জন্মগত কিছু বিষয় তাদের কে আরো শারিরিকও মানসিক দূর্বল করে রাখে মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিন।বিধায় পুরুষের মত কাজ কর্ম তাদের কাছ থেকে আদায় করার প্রবনতা ই ইনসাফের খেলাফ।তাই মহান প্রভূ সৃষ্টিগত ভাবেই তাদের কর্ম ক্ষেত্র চিহ্নিত করে দিয়েছেন।সেটা হল পারিবারিক বন্দন।যা নারী ছাড়া কল্পনা ও করা যায় না। আর বাচ্ছা ধারণ?পৃথীবির কোন নর কি তার পেটে বাচ্ছা নিতে পারবে? সুতরাং এ ক্ষেত্রে নারী মা। ইসলাম যাকে পিতার চেয়ে তিন গুন বেশী মূল্যায়ন করেছে। তার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত ঘোষণা দিয়েছে।

নারী পুরুষে সমতাঃনারী পুরুষে সমতার অর্থ নারীকে নরের সমান কাজ করার দায় চাপিয়ে দেয়া নয়। পাওনার সমতাকে বুঝায়।এ বিষয়ে নিম্ন বর্ণিত হাদীছ প্রযোজ্য। আসমা বিন্তে ইয়াজিদ বিন আনসারী বর্ণিত হাদীছের সারমর্ম হচ্ছে-তিনি নবীজিকে তাঁর রিসালতের স্বীকৃতি প্রদান করে জানতে চাইলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ!,আপনাদেরকে জুময়া জামাত,রুগির সেবা, হজ্জের পর হজ্জ এমনকি জিহাদের অধিকার দিয়ে অনেক সওয়াবের ভাগিদার করা হয়েছে।পক্ষান্তরে আমরা মহিলারা পুরুষের ঘরে বসে ,বাচ্ছা ধারন করে ,পারিবারিক বিষয়াবলী আঞ্জাম দিয়ে আমরা কি সে ছওয়াবের ভাগি হব? আল্লহর রাসুল জবাবে জানিয়ে দিলেন হা তোমরা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করলে অনুরূপ সাওয়াবের মালিক হবে।

নারীর স্বাধীনতাঃ মহিলাকে তার নিজস্ব সম্পদে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। আর বিয়ের ক্ষেত্রে তার ইচ্ছার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে দেয়া যাবে না।নবীজি এরূপ একটি বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিলেন ।

সর্বোপরি মহিলা কে সর্ব ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ।চাই সে মা হোক, বোন হোক কিংবা স্ত্রী হোক। যাকে ছাড়া মানব জাতির অস্তিত্বের কল্পনা করা যায় না ,কিন্তু যে যে কাজের যোগ্য না সে কাজে তাকে প্রবৃত্ত করা বা চাপিয়ে দেয়ার নাম সমানাধিকার নয় ।

৩২২

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭