তাওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ ফিরে আসা। প্রত্যাবর্তন করা ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় তাওবা হচ্ছে পাপরাশীর জন্য অনুতপ্ত হয়ে পাপ থেকে পূণ্যের পথে ফিরে আসা এবং পুনরায় সে পাপে ফিরে না যাওয়ার ঐকান্তিক সংকল্পকে তাওবা বলা হয়। এটি মু'মিন জীবনের আদর্শিক গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম একটি গুণ। আল্লাহপাক ঐ ব্যক্তিকে ভালবাসেন যে পাপ করে পরক্ষণেই তার জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে পংকিলতা মুক্ত রাখার চেষ্টা করে কায়মনোচিত্তে। পবিত্র কালামে পাকের বিভিন্ন আয়াতে কারিমায় আল্লাহ পাক মু'মিনকে তাওবার নির্দেশ প্রদান করেন। " ইয়া আইয়্যুহাল লাজিনা আমানু তু-বু ইলাল্লাহি তাওবাতান নাসুহা"।
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে খাটিভাবে তাওবা কর। তাওবায়ে নাসুহা করো। (সূরা তাহরীম। আয়াত -৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতা'লা এরশাদ করেন-- তুবু ইলাল্লাহি জামিয়ান আইয়্যুহাল মু'মিনুনা লায়াল্লাকুম তুরহামুন।
হে মুমিনগন তোমরা সকলেই আল্লাহর দরবারে তাওবা করো যেন তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা নুর-৩১)
তাওবার মাধ্যমে বান্দা নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পন করবে যেন আর পাপরাশী তার জীবনে অনুষ্টিত না হয়। আল্লাহ পাক তার তাওবার কারণে বান্দার প্রতি স্বীয় করুণা বশে মনোনিবেশ করেন। তাই হাদীছে পাকে দেখিতে পাই যে নবিজি বলেন - আততায়িবু ইলাল্লাহে মিনাজ জাম্বে কামান লা যানবা লাহু(ইবনে মাজা ) আল্লাহর কাছে গোনাহ থেকে তাওবা করা যেন তার কোন গুনাহই নাই।
মুসলিম ফের এক বর্ণনায় হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'লা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান - তোমাদের কেহ কোন হারানো পশু পেলে যেরূপ খুশি হয়, তোমাদের তাওবা দ্বারা আল্লাহ তা'লা সে পরিমান আনন্দিত হয়ে যান। আনন্দিত হয়ে যান।
তাওবার দরজা খোলা থাকে সব সময়ের জন্য। আল্লাহর নবী মিরাজ রজনীতে আল্লাহর সান্নিধ্যে গেলে আরশে আযিমে লেখা দেখতে পান "ইন্না রাহমাতি সাবাক্বাত আলা গাদ্বাবী" অর্থাৎ আমার রাহমাত আমার গজবকে অতিক্রম করে গিয়েছে। সুতরাং বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহ অতিশয় দয়ালু ও করুণাশীল। হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আল্লাহর হাবীব এরশাদ ফরমান - যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়ের পূর্বে (কিয়ামতের পূর্বে) তাওবা করবে আল্লাহ তায়ালা তার তাওবা কবুল করে নিবেন। (মুসলিম শরীফ)
হযরত আব্দুল কাদির জিলানী বলেন -যে ব্যক্তি গোনাহ করার পর তাওবা করে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে ; তবে তার এ লজ্জিত হওয়া ও অনুতাপ করাটা তার গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। হযরত হাসান বসরী (রাঃ) এর মতে তাওবার চারটি স্তর রয়েছে।
১. মৌখিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা
২.অন্তরে লজ্জিত হয়ে অনুতপ্ত হওয়া
৩.সব ধরনের অংগ প্রত্যংগ গোনাহ থেকে বিরত রাখা। ভবিষ্যতে কখনো গুনাহ না করার সংকল্প করা।
৭০০
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
রসনা বা কথা বার্তা বলার ইচ্ছা ও বাসনা মানুষের অন্যতম......
অল্পে তুষ্ট থাকা : মুমিন মাত্রেরই করণীয় হচ্ছে অল্পে তুষ্ট......
হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময়......
(৩৭) আল্লাহ তা'লা ঘোষণা করেন -والذين امنوا با الله و......
স্বাধীনতার মাসে বাংগালী হৃদ হাসে কত চিত্রভাসে স্বাধীন এ পতাকার......
ফেরাউনি সৈনিকদের হাত থেকে শিশু মূছা ( আ:) কে সুরক্ষা......
عن انس رضي الله تعالي عنه قال لعن رسول الله......
সালামের সাওয়াবের পর্যায় عن عمران بن هصين رضي الله تعالي......
খাতিমুল মুফাসসীরিন আল্লামা জালাল উদ্দীন সুয়ূতি ( রা:) বলেন -......
...