আল্লাহ তাআলা বলেন: فَأَمَّا الْيَتِيمَ فَلَا تَقْهَرْ ﴿9﴾ ( الضحى : 9) অর্থ: সুতারাং তুমি এতিমদের প্রতি কঠোর হবে না। (সূরা দোহা: ৯) আহার্য্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দীকে আহার্য্য দান করে এবং (তারা বলে) আমারা তোমাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে খাদ্য প্রদান করি। অতএব তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান ও ধন্যবাদ চাইনা। (সূরা ইনসান: ৮) নবী(সা:) বলেন, "আমি ও ইয়াতীমদের লালন-পালনকারী বেহেশতে এভাবে একত্রে থাকবো|(এই বলে)তিনি নিজের তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন এবং দু’টোর মাঝখানে ফাঁক করলেন|"(বুখারী, রিয়াদুস সালেহীন ১:২৬২) যে তৃপ্তি অবস্থায় কালাতিপাত করে এবং তার পার্শ্ববর্তী লোকেরা ভুখা থাকে ঐ ব্যাক্তি আমার উপর ঈমান আনায়ন করেনি। (তাবরানী শরীফ : 1/59) كن لليتيم كالأب الرحيم এতিমের তরে তুমি দয়াবান পিতার ন্যায় হয়ে যাও। (ইবনে কাসীর: ৪/৬৭৬) রাসুলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন : যে ব্যক্তি এই আশা করে যে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন কঠিন পেরেশানি থেকে মুক্তি দেবে সে যেন অভাবগ্রস্ত কে অবকাশ বা মুক্তি দান করে। (মুসলিম : 1563) 11 যে বিধবা আর গরীব মানুষদের দেখা শুনা করবে ও তাদের জন্য কাজ করবে, সে যেন ঐ ব্যক্তির মত যে আল্লাহর পথে যুদ্ধরত, অথবা ঐ ব্যক্তির মত যেসারাদিন রোজা রাখে এবং সারা রাত নামায পড়ে।"বুখারী ৭৩/৩৫ রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন : এমন কোন দিন অতিবাহিত হয়না যে আল্লাহর বান্দার নিকট দুই জন ফেরেশতা অবতরণ করেনা। এক ফেরেশতা বলতে থাকে: হে আল্লাহ! তুমি দানকারিকে দিতে থাক এবং দান করা থেকে বিরতকারীকে ধবংস করো। "যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে তাকে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।"[মুসলিম : ৭০২৮; আবূ দাঊদ : ৪৯৪৮; তিরমিযী :১৪২৫] মুসলিমদের ঐ বাড়ীই সর্বোত্তম যে বাড়ীতে এতিম রয়েছে এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঐ বাড়ী যে বাড়ীতে এতিম আছে, অথচ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়।(ইবনে মাজাহ) যদি তুমি তোমার হৃদয় নরম করতে চাও তাহলে দরিদ্রকে খানা খাওয়াও এবং এতিমের মাথা মুছে দাও। (মুসনাদে আহমাদ: ২/৩৮৭) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ছেলে অথবা মেয়ে এতিমের মাথায় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হাত বুলিয়ে দেয়, মাথার যত চুল দিয়ে তার হাতটি অতিক্রম করবে তার তত সওয়াব অর্জিত হবে।(মুসনাদে আহমদ) যে ব্যক্তি মাতা পিতা মারা যাওয়া কোনো মুসলিম এতিমকে (তাকে আল্লাহ তাআলা স্বাবলম্বী করা অবধি) নিজ পানাহারে শামিল করে। ঐ ব্যক্তির জন্য অবশ্যই জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। ( মুসনাদ আহমাদ: ৩৯/২৫) মিসকিনকে দান করায় একটি সাওয়াব এবং আত্মীয়কে দান করায় দুইটি সওয়াব হাসিল হয়, একটি দানের সাওয়াব এবং অপরটি আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার সাওয়াব। (বর্ণনায় সুনান আন-নাসায়ী) 1.হযরত জুবাইর ইবনে মত'ঈম (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ (দঃ) ইরশাদ করেছেন,আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা(বুখারী ও মুসলিম) 2.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসুল (দ) ইরশাদ করেন,উপকার করে খোঁটাদানকারী,পিতামাতার অবাধ্য এবং মদ্যপানকারী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা( নাসায়ী ও দারেমী) 3.হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত,রাসুল (দঃ) ইরশাদ করেছেন"যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করেনা,আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেনা(বুখারী ও মুসলিম)
৪৪৩
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আল্লাহ তাআলা বলেন: فَأَمَّا الْيَتِيمَ فَلَا تَقْهَرْ ﴿9﴾ ( الضحى......