শুদ্ধভাবে, সঠিকভাবে পুরো নাম উচ্চারণ করুন। নাম বিকৃত করা গুনাহের কাজ ।
**************-**-********************
নাম বিকৃত করা আমাদের সমাজের স্বাভাবিক চিত্র। এই বিকৃতিকরণটা শুধু অপমানজনক হয়, বিষয়টা এমন নয়। কখনো আদর করেও নামের বিকৃতি হয়। যেমন ছোট বোনের নাম রোজিনা। ঘরের সবাই ডাকে ‘রোজি’ বলে! এমন ডাকাটা অপরাধ নয়। নামের ভাব অর্থ ও ব্যক্তির প্রতি সম্মান বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত করা বা নামের অংশ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু কাউকে অপমানমূলক বা হেয় করার জন্য কিংবা সাধারণ দুষ্টুমি করে বিকৃত নামে ডাকা হয়! এবং সেই ডাকার কারণে নামের অর্থ-ভাব-মর্যাদা নষ্ট হয় তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে কাজটি গুনাহের তালিকাভুক্ত। যেমন শফিকুর রহমান নামের সুস্থ সবল মানুষটিকে ‘সইখ্যা’ বলে ডাকা! আব্দুর রাহমান, আব্দুর রাহিম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রাযযাক ইত্যাদি আল্লাহর গুণবাচক নামগুলো আমরা ‘আবদ’ যোগ না করে রাহমান ভাই, রাহিম ভাই, খালেক ভাই, রাযযাক ইত্যাদি নামে সরাসরি ডাকি। যা চরম অন্যায়। কেন অন্যায়! রহমান অর্থ দয়ালু। আবদ অর্থ গোলাম। আবদুর রহমান অর্থ- আল্লাহর গোলাম। রহমানটা আল্লাহর গুণবাচক নাম। এখন যদি কেউ শুধু রহমান বলে ডাকে! তাহলে একজন মানুষকে সে আল্লাহর নামে ডাকছে! আল্লাহর নামে নামকরণ করছে। সন্দেহ নেই এভাবে ডাকাটা অপরাধ। সমাজে এটাও দেখা যায়, মানুষের মূল নাম বাদ দিয়ে ভিন্ন নামে ডাকেন এটাও ঘৃণিত। * যখন আপনি কারও নাম সঠিক ভাবে উচ্চারণ করেন বা লেখেন তখন তার অবচেতন মনে একধরনের ধারনা সৃষ্টি হয় যে, আপনি তার বিষয়ে যথেষ্ঠ যত্নশীল। এতে তিনি আপনার প্রতি খুশি হন এবং প্রভাবিত হন। * কখনও কখনও বন্ধু-বান্ধবরা মজা করতে যেয়ে একে অপরকে উপনাম অথবা বিকৃত নামে ডেকে থাকে। মজা করতে যেয়েও এই ধরনের উপনাম অথবা বিকৃত নামে কাউকে ডাকা উচিত নয়। কারন মজা করার জন্য হলেও কোনো মানুষের অবচেতন মন এটাকে ভাল জিনিস হিসেবে গ্রহণ করে না। এই বিকৃত মজা নিতে যেয়ে কাউকে উপনাম অথবা বিকৃত নামে ডাকলে আসলে তা আপনার নিজের ব্যক্তিত্বের আকর্ষনটাই নষ্ট করবে। তাই সঠিক ভাবে নাম লিখুন এবং উচ্চারণ করুন। আল্লাহ তায়ালা বলছেন, হে মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই জালেম। (সুরা: হুজুরাত : ১১) আয়াতে কারও সামনে, আড়ালে নিন্দা না করা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যঙ্গ ও তুচ্ছজ্ঞান করে এমন নাম বা উপনামে ডাকার ব্যাপরে নিষেধ করা হয়েছে।
মুহাম্মদ শাহ জাহান কুতুবী
শিক্ষক
আধুনগর ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা লোহাগারা,চট্টগ্রাম
১১৬৯
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
মৃত্যু চিন্তা মানুষকে আল্লাহভীরু ও সৎকর্মশীল বানায় : হযরত ওছমান......
কঠিন ঈমানী পরীক্ষা দিলেন ফেরাউন কন্যার চুল আঁচড়ানোর কাজে নিয়োজিত......
ঈমান অনন্ত পরকালীন জীবনে মুক্তি ও সাফল্যের রাজপথ । ঈমান......
শুদ্ধভাবে, সঠিকভাবে পুরো নাম উচ্চারণ করুন। নাম বিকৃত করা গুনাহের......
শিক্ষানিয় গল্প : না দেখে বিয়ে, অতঃপর বাসরঘরে যা দেখলেন......
একজন আর্দশ স্ত্রীর গল্প শোনি! !!!!!!!!!! ************************************* স্বামী তার স্ত্রীকে......
অন্তর (ক্বালব) কঠিন হয়ে যায় কেন? """"""""""""""""""""""""""""""""""! মুসলিম উম্মাহ আজ......
মৃত্যুর পরও যে সব আমলের সাওয়াব অব্যাহতভাবে পেতে থাকে **************************************......
ঈমান বৃদ্ধির ১০টি উপায়: *-****************** ১) আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নাম......
হে মানুষ! মৃত্যু আসার আগেই প্রস্ত্ততি গ্রহণ করো। দুনিয়ার চাকচিক্যে......