সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

আলাহর উপর যথাযথ তাওয়াক্কুল (ভরসা)
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : রবিবার ২৪/০৯/২০১৭

আলাহর উপর যথাযথ তাওয়াক্কুল (ভরসা) ******************************

জাবের (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি নজদ অঞ্চলের কাছে এক স্থানে নবী কারীম (সা:) এর নেতৃত্বেৃ জিহাদ করেছেন। এরপর রাসূল (সা:) যখন ফিরে আসলেন, তিনিও তাঁর সাথে ফিরে আসলেন। দুপুরে তারা সকলে একটি ময়দানে উপস্থিত হলেন, যেখানে প্রচুর কাঁটাবিশিষ্ট গাছপালা ছিল। রাসুল (সা:) সেখানে অবস্থান করলেন। লোকেরা গাছের ছায়া লাভের জন্য এদিক সেদিক ছড়িয়ে পড়ল। রাসুল (সা:) একটি বাবলা গাছের ছায়ায় অবস্থান গ্রহণ করে নিজ তরবারীটি গাছে ঝুলিয়ে রাখলেন। আমরা সকলে কিছুটা ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ রাসুল (সা:) আমাদের ডাকলেন। সে সময় তার কাছে ছিল এক বেদুইন। তিনি বললেন, আমি ঘুমিয়ে আছি আর এ লোকটি আমার উপর তরবারি উত্তোলন করেছে। আমি জেগে দেখি তার হাতে খোলা তরবারি। সে আমাকে বলল, আমার হাত থেকে কে তোমাকে বাঁচাবে? আমি তিন বার এর উত্তরে বললাম, “আল্লাহ”। রাসুল (সা:) তাকে কোনো শাস্তি দিলেন না। তিনি বসে পড়লেন। (বুখারি ও মুসলিম) উমর রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলকে (সা:) বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “তোমরা যদি আলাহর উপর যথাযথ তাওয়াক্কুল (ভরসা) কর তাহলে তিনি তোমাদেরকে এমনভাবে রিযক দেবেন যেমন তিনি রিযক দেন পাখিদের। তারা সকালে খালি পেটে বের হয়ে যায় আর সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে।” (বর্ণনায় : তিরমিজি) আবু বকর সিদ্দীক রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা (হিজরতের সময়) গুহায় অবস্থানকালে আমি মুশরিকদের পা দেখতে পেলাম, যখন তারা আমাদের মাথার উপর ছিল। আমি তখন বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! তাদের কেউ যদি এখন নিজের পায়ের নীচে তাকায় তাহলে আমাদের দেখে ফেলবে। তিনি বললেন, “হে আবু বকর! এমন দু ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার কি ধারণা, যাদের ততৃীয় জন হচ্ছেন আল্লাহ?”(বুখারি ও মুসলিম) কবি আহমদ শাওক্বী বলেছেন-যখন আল্লাহর সাহায্যের দৃষ্টি তোমর উপর পড়ে তখন তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাও, কেননা তখন যা কিছু ঘটবে সবই নিরাপদ।” আল্লাহ বলেন- কেননা তুমি আমার নজরে আছ।”(সুরা আত তুর-৪৮) তাই পরিস্থিতি যতই প্রতিকুল আর বিপদ সংকুল হোক না কেন। আল্লাহর উপরই ভরসা করতে হবে। তাওরাত শরীফে বর্ণিত হয়েছে-” যা ঘটবে বলে ভয় করা হয় তার অধিকাংশই কখনো ঘটেনা।” “আর মুমিনগণ যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল তখন তারা বলল, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল আমাদের যে ওয়াদা দিয়েছেন এটি তো তাই। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সত্যই বলেছেন’। এতে তাদের ঈমান ও ইসলামই বৃদ্ধি পেল।” (৩৩: ২২) আজ অনেক মুসলমানের নিকট আল্লাহ তায়লার উপর তাওয়াক্কুল আর সাহায্য পাওয়ার শিক্ষা অনুপস্থিত। তাই আমরা কখনও অমুক-তমুকের সাহায্য সহযোগিতার প্রত্যাশি হয়ে পড়ি। মনে রাখতে হবে এই দূর্বলতা গুলোই আল্লাহ সাহায্য না পাওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বের পরাশক্তিগুলো জোটবদ্ধ হয়ে আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে, তখন ভীত-বিহ্বল হয়ে যাই, হীনমন্য হয়ে পড়ি। আবার তাদের অনেকে সন্তুষ্ট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ইসলাম ও ঈমানকে মুলতবী করার চেষ্টা করি। অথচ এ পথের পথিকদের জন্য পরীক্ষা অবধারিত তা যেন ভুলেই যাই। এ সবই আজ মুসলিম উম্মাহর মানসিক বিপর্যয়। মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত জাতি শক্তিশালী হলেও শত্রুকে পরাজিত করতে পারে না। আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ এমন সংকটকালে তারা আরো দৃঢ় ঈমানের পরিচয় দিবে। বাতিলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ঈমানি দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করবে। তাই সত্যপন্থীদের চুড়ান্ত বিজয়ের জন্য আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করেই সামনে এগুতে হবে। আল্লাহর ঘোষণা ” সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত, সত্যের বিজয় অবস্যম্ভাবী। তা আজ সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সেই বিপ্লবী আহবান জানিয়েছেন এভাবে-”আবু বকর উসমান উমর আলী হায়দর দাঁড়ি যে এ তরণীর, নাই ওরে নাই ডর। কান্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা, দাঁড়ি-মুখে সারি গান---লা শরীক আল্লাহ ॥

মুহাম্মদ শাহ জাহান কুতুবী

শিক্ষক

আধুনগর ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা লোহাগাড়া ,চট্টগ্রাম ।

৪০০

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭