সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস ইসলাম কী বলে ?
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : শনিবার ১৬/১২/২০১৭

মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস ইসলাম কী বলে ? ১৬ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশের মানুষের জন্য আনন্দের দিন। আমাদের স্বাধীনতার বিজয় দিবস। মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হল, তার ভূখন্ড, মাতৃভূমিকে ভালবাসা। এটাই প্রিয় নবীজীর সা. এর উত্তম আদর্শ। মহানবী সা. যখন স্বীয় মাতৃভূমি মক্কা নগরী ত্যাগ করে পাড়ি জমাচ্ছিলেন ইয়াছরিবের (মদীনার পূর্বনাম) প্রতি, তখন তাঁর চোখ থেকে অশ্রুর বন্যা বয়ে যাচ্ছিল এবং মনে মনে বলে ছিলেন, হে মক্কা! আমি তোমাকে ভালবাসি। কাফেররা নির্যাতন করে যদি আমাকে বের করে না দিত, কখনো আমি তোমাকে ত্যাগ করতাম না। [ইবনে কাসীর ৩/৪০৪] হাদিসের বর্ণনায় আছে, নবীজী সা. মদিনা নগরীকে খুব ভালবাসতেন। কোন সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকালেমদিনার সীমান্তে ওহুদ পাহাড় চোখে পড়লে নবীজীর চেহারাতে আনন্দের আভা ফুটে উঠত এবং তিনি বলতেন, এই ওহুদ পাহাড় আমাদেরকে ভালবাসে, আমরাও ওহুদ পাহাড়কে ভালবাসি। [বুখারি শরিফ ২/৫৩৯,৩/১০২৮, মুসলিম শরিফ ২/৯৯৩] সুতরাং দেশপ্রেম, রাষ্ট্রের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা হচ্ছে মুসলমানদের চরিত্র। রাষ্ট্রের সাথে কোন সত্যিকার ঈমানদার গাদ্দারি করতে পারে না। সুতরাং এদেশের বিজয় দিবস আমাদের গৌরব, অহংকার। এখন জানার বিষয় হলো, বছরের চাকা ঘুরে যখন ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ আসবে, তখন সে দিনগুলোতে কুরআনÑসুন্নাহর দৃষ্টিতে আমাদের করণীয় কী ? বিজয় দিবস কুরআন কী বলে ? প্রশ্ন জাগে, এ দিবসে কি করতে হবে, এটাও কি কুরআন বলে? হ্যাঁ, মানব জীবনে এমন কোন বিষয় নেই, যার বর্ণনা কুরআনÑসুন্ন্াতে নেই। বিজয় সম্পর্কে কুরআনের দুটি সুরা আমাদের সামনে পড়ে। একটি সুরাতুল ‘ফাতাহ’ (বিজয়) আরেকটি সুরার নাম ‘আন-নাসর’ (মুক্তি ও সাহায্য)। সুরা নাসর-এ মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং বিজয় আসবে এবং দলে দলে লোকেরা ইসলামে প্রবেশ করবে,’ তখন মুসলমানদের কী করণীয় ? পবিত্র কুরআনের সূরায়ে নাসর-এ বিজয় দিবসের তিনটি কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। ‘১. এই দিনে তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও বড়ত্ব বর্ণনা কর। ২. আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর। ৩. মুক্তিযুদ্ধের সময়, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়,বা জিহাদ চলাকালীন সময় যদি ভুল-ত্র“টি হয়ে থাকে, তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চাও। বিজয় দিবসে এই তিনটিই আমাদের জাতীয় কর্মসূচী। ১৬ই ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ যখন আসবে, মুসলমানদের জন্য আল্লাহর শাহী দরবারে বিনয় এবং নম্রতার সাথে শুকরিয়া প্রকাশ করা দরকার যে, হে আল্লাহ! হে রাব্বুল আলামীন! তুমি আমাদেরকে স্বাধীন ভূখন্ড দান করেছ, সে কারণে তোমার শুকরিয়া আদায় করছি, তোমার প্রশংসা করছি। তোমারই নিকঠ জানা অজানা সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই করুনায় স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তুমি আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের হেফাজত কর। ইজ্জতের সাথে যেন এ বসুন্ধরায় টিকে থাকতে পারি, সে তাওফিক দান কর। এটাই হচ্ছে আমাদের আজকের দিনের শপথ এবং দোআ। স্বাধীনতা দিবস সুন্নাহর দৃষ্টিতে বিজয় দিবসের করণীয় সম্পর্কে আল্লাহর নবীর আদর্শ কী ছিল ? যে মক্কা নগরী থেকে আল্লাহর নবী বিতাড়িত হলেন, ১০ বছর পর শত-সহস্র সাহাবায়ে কেরামের বিশাল বহর নিয়ে যখন পবিত্র মক্কা নগরীতে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি বিজয় মিছিল-শোভাযাত্রা কিছুই করেননি। গর্ব-অহংকার করেননি, বাদ্য-বাজনা বাজাননি। নবীজীর অবস্থা কি ছিল ? আল্লাহর নবী একটি উষ্ট্রীর উপর আরোহণাবস্থায় ছিলেন, তাঁর চেহারা ছিল নিম্নগামী। (অর্থাৎ, আল্লাহর দরবারে বিনয়ের সাথে তিনি মক্কায় প্রবেশ করেন) সর্বপ্রথম তিনি উম্মে হানীর ঘরে প্রবেশ করেন। সেখানে আট রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। এই নামাজকে বলা হয় বিজয়ের নামাজ। এরপর নবীজী সা. হারাম শরিফে এসে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, হে মক্কার কাফের সম্প্রদায় ! তের বছর ধরে আমার উপর, আমার পরিবারের উপর, আমার সাহাবাদের উপর নির্যাতনের যে স্টিম রোলার চালিয়েছ, এর বিপরীতে আজকে তোমাদের কি মনে হয়, তোমাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব? তারা বলল, হ্যা,ঁ আমরা কঠিন অপরাধী। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, আপনি আমাদের উদার ভাই, উদার সন্তান, আমাদের সাথে উদারতা, মহানুভবতা প্রদর্শন করবেন। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। আল্লাহর নবী সা. বললেন- হ্যা,ঁ আমি আজ তোমাদের সকলের জন্য হযরত ইউসুফ আ. এর মত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলাম। যাও তোমাদের থেকে কোন প্রতিশোধ নেওয়া হবেনা। [সুনানে বাইহাকীÑ৯/১১৮] এখানেই ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব, অনবদ্যতা, অনন্যতা। শান্তিপূর্ণভাবে মক্কা বিজয় করে মহানবী সা. পুরো বিশ্বকে এই ম্যাসেজ দিলেন যে, আমরা শান্তির পক্ষে, বোমাবাজি, খুনাখুনি, ত্রাস এবং লুন্ঠনের বিপক্ষে। মুহাম্মদ শাহ জাহান কুতুবী শিক্ষক আধুনগর ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা লোহাগারা,চট্টগ্রাম ।

৫৭৪

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭