ই'তেকাফ সম্পর্কে কুরআন মজিদের ঘোষণা:
١- وعهدنا الى ابراهيم واسماعيل ان طهرا بيتي الطائفين والعاكفين والركع السجود. البقرة- ١٢٥.
٢- ولا تباشروهن وانتم عاكفون فى المساجد .
তোমরা যতক্ষণ ই'তেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর ততক্ষণ স্ত্রীগণের সাথে মিশো না।
অর্থাৎ ই'তেকাফকারী সাধারণ রোজাদারের ন্যায় পানাহার করতে পারবে । তবে স্ত্রী সহবাস করতে পারবে না।
ই'তেকাফ এর অর্থ:
الاعتكاف هو الليث فى المسجد الذي تقام فيه الجمأعة بنية الاعتكاف. الفقه الميسر.
রমযানের শেষ দশ দিনের অন্যতম ইবাদত হল ই'তেকাফ করা। ই'তেকাফ অর্থ হলো সার্বক্ষণিকভাবে মসজিদে অবস্থান করা। অযু, ইস্তিনজা, পানাহার ইত্যাদি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের না হওয়া। মসজিদে অবস্থান কালে ঘুমানো, বসে থাকা বা কথা-বার্তা বলা যায়।
ই'তেকাফ তিন প্রকার,
১. ই'তেকাফ ওয়াজিব: মানতের ই'তেকাফ। কেহ যদি ই'তেকাফ করার মানত করে, তবে তার উপর ই'তেকাফ ওয়াজিব।
২. ই'তেকাফ সুন্নতে মু'য়াক্কাদা কেফায়া: রমযানের শেষ দশ দিনের ই'তেকাফ।
৩. ই'তেকাফ মোস্তাহাব: মানতের ই'তেকাফ ও রমযানের শেষ দশ দিনের ই'তেকাফ ব্যতীত অন্যগুলি মু্স্তাহাব॥
তবে ই'তেকাফরত অবস্থায় যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে, সকল জাগতিক চিন্তা, কথা-বার্তা ও মেলামেশা বাদ দিয়ে সাধ্যমত আল্লাহর জিকির ও এবদত বন্দেগিতে রত থাকা। না হলে নীরব থাকা।
ই'তেকাফ এর গুরুত্ব:
' ই'তেকাফ মূলত ই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তদুপরি লায়লাতুল কদরের ফজিলত লাভের জন্যই এ সময়ে ই'তেকাফ এর গুরুত্ব বাড়ে।
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা রা: বলেন,
ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يعتكف العشر الاواخر من رمضان حتى توفاه الله ثم اعتكف ازواجه من بعده.
البخاري المسلم.
রাসুল সা রমযান মাসের শেষ দশ দিন ই'তেকাফ করতেন। তিনি তার ওফাত পর্যন্ত এভাবে ই'তেকাফ করতেন। অত:পর তার স্ত্রীগণ তার পরে ই'তেকাফ করেন।
'
আমাদের সকলেরই চেষ্টা করা দরকার রমদানের শেষ দশ দিন সুন্নত ই'তেকাফ আদায় করার। না হলে নফল-মুস্তাহাব হিসেবে ২/১ দিনের জন্যও ই'তেকাফ করা যায়।
রাসূল সা থেকে বর্ণিত রয়েছে,
من مشى فى حاجة أخيه كان خيرا له من اعتكافه عشر سنين. ومن اعتكف يوما ابتغاء وجه الله جعل الله بينه وبين النار ثلاث خنادق كل خندق ابعد مما بين الخافقين.
الحاكم، مجمع الزوائد.
যদি কেউ তার ভাইয়ের প্রয়োজন মেটাতে হাটে, তবে তা তার জন্য দশ বছর ই'তেকাফ করার চেয়েও উত্তম।
আর যে ব্যক্তি এক দিন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ই'তেকাফ করবে আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মধ্যে তিনটি পরিখার দুরত্ব সৃষ্টি করে দেন। আর প্রত্যেক পরিখার প্রশস্ততা দুই দিগন্তের চেয়েও বেশি।
হাকেম॥
যে কারণে ই'তেকাফ ভেঙ্গে যায়:
১. শরয়ী ও ওজর ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে।
২. হায়চ বা নেফাস হলে। মাসিক রক্তস্রাব বা প্রসব জনিত স্রাব জারী হলে।
৩. সহবাস করলে বা সহবাসের দাবীমূলক কাজ করলে। যেমন- উত্তেজনা সহকারে স্ত্রীকে চুম্বন করলে বা স্পর্শ করলে।
ই'তেকাফ অবস্থায়
মসজিদ থেকে বের হওয়ার বৈধ ওজর ৩ টি:
১. পেসাব-পায়খানা ও (স্বপ্নদূষের কারণে) ফরজ গোসলের জন্য। কাযায়ে হাজতের সময় পরিমাণ বাহিরে অবস্থান করা যাবে।
২. শরয়ী কারণে। যেমন জুমা আদায়ের জন্য।
৩. মসজিদে অবস্থান করলে জান মালের ভয় থাকলে।
* তবে মসজিদ ভেঙ্গে গেল বের হয়ে দ্রুত অন্য মসজিদে চলে যাবে।
* ই'তেকাফকারী মসজিদে পানাহার এবং প্রয়োজন স্বাপেক্ষে মাল উপস্থিত ব্যতীত ক্রয়-বিক্রয়ও করতে পারবে।
ই'তেকাফ এর আদাব:
১. ভালো কথা ব্যতীত অন্য কিছু না বলা।
২. ই'তেকাফ এর জন্য সর্বোত্তম মসজিদ মনোনীত করা। মক্কা শরীফ থাকলে মসজিদে হারাম অতপর মসজিদে নববী মদিনা শরীফ থাকলে, বায়তুল মুকাদ্দিস থাকলে মসজিদে আকসা অতপর জামে মসজিদ।
৩. কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, দরুদ শরীফ ও দ্বীনি পুস্তক পাঠে রত থাকা।
৩২৯
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
হযরত শেখ ফরিদ রহ: বলেন می فزاید آبرواز پنج چیز......
হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাঃ এর পূর্বে কারো জন্য জন্নত খুলা......
নতুন কাপড় পরিধান কালে জিকিরঃ الحمد لله الذي كسانه هذا......
জুমাবারে প্রত্যেকেই সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ' রাসূল সা বলেছেন: ما......
অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করা বৈধ নয় =========================== আল্লাহ পাক নির্দেশ দিচ্ছেন-......
দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখাই নিরাপদ """"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""" রাসুল সা: বলেছেন- من ستر......
মহান আল্লাহ বলেছেন, ولا ينفقون نفقة صغيرة ولا كبيرة ولا......
ই'তেকাফ সম্পর্কে কুরআন মজিদের ঘোষণা: ١- وعهدنا الى ابراهيم واسماعيل......
নীরবে খুৎবা শোনা , রাসূল সা বলেছেন: ١- من اغتسل......
জুমার দিনের ফজিলত-৩ ' জুমার দিনের বৈশিষ্ট্য ' রাসূল সা......