সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

রোজার ফজিলত
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : রবিবার ০৯/০৭/২০১৭

মহান আল্লাহ মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁরই ইবাদতের জন্য। এ মর্মে আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি জিন ও মানবজাতিকে আমারই ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’ (সূরা জারিয়াত : ৫৬)। ইবাদতের মাধ্যমেই বান্দাহ মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভে ধন্য হতে পারে। প্রতিটি নেক কাজেই রয়েছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদানপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা। নেক ইবাদতের প্রতিদান প্রসঙ্গে মহানবী সা: বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা যেকোনো নেক আমলই করবে, আমার কাছে তার ১০ গুণ সাওয়াব প্রস্তুত আছে।’ (হাদিসে কুদসি)। ১০ গুণ সাওয়াব দেয়ার এই ওয়াদা দুনিয়ার কোনো মানুষের নয়, বরং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই করা হয়েছে। আর এটিকে কোনো বিশেষ নেকির সাথেও সীমাবদ্ধ করা হয়নি; বরং বলা হয়েছে যেকোনো ধরনের নেকি, হোক তা ফরজ কিংবা নফল। হোক একবার সুবহান আল্লাহ বলা কিংবা আলহামদু লিল্লাহ বলা। তার সাওয়াব ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে।
মহান আল্লাহর একান্ত ইচ্ছা তাঁর প্রত্যেক বান্দাহ তাঁরই ইবাদত সম্পন্ন করার মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে। ইবাদত মূলত দুই প্রকার। ফরজ ইবাদত, যেমন- নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। নফল ইবাদত- নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, দান-খয়রাত, নফল রোজা রাখা ইত্যাদি।
মানবজাতি মূলত তখনই মহান আল্লাহর নিকট প্রকৃত সম্মানিত ও প্রিয় হবে যখন তার প্রতিটি কাজ হবে একমাত্র তাঁরই উদ্দেশে। সুখ-দুঃখে একমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে, তাঁকেই ভালোবাসবে। তাঁরই নৈকট্য লাভের চেষ্টায় সব সময় ব্যস্ত থাকবে। ফরজ ইবাদত সম্পন্ন করার সাথে সাথে নফল ইবাদতে অধিক মনোযোগী হবে। নফল ইবাদতগুলোর মধ্যে নফল রোজা বান্দাকে অতি সহজেই মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছে দেয়। কারণ রোজা এমন একটি ইবাদত, যা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঢালস্বরূপ এবং এর প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ নিজে দেবেন। 
মহানবী সা:-এর বাণী : মুসলমান ব্যক্তি যাতে শুধু রমজানের রোজা রেখেই থেমে না যায়, বরং অল্প কিছু রোজা রেখে পুরো বছরের রোজা রাখার মর্যাদা লাভ করতে পারে তার এক মহাসুযোগ করে দিয়ে মহানবী সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে ফরজ রোজা পালন করল, অতঃপর শাওয়াল মাসে আরো ছয় দিন রোজা পালন করল, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।’ (সহি মুসলিম)। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি যখন রমজান মাসের রোজা রেখে তার সাথে সাথে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখল, সে এই রোজার কারণে মহান আল্লাহর দরবারে পূর্ণ একটি বছর রোজা রাখার সাওয়াব পেয়ে গেল। অপর এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে শাওয়াল মাসে ছয় দিন রোজা রাখবে, সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।’ (মুসনাদে আহমদ, দারেমি)।
বিশ্লেষণ : যদি কোনো ব্যক্তি রমজান মাসের ৩০টি রোজা রাখে, তাহলে তার ১০ গুণ ৩০০ রাত হবে। আর শাওয়ালের ছয় রোজার ১০ গুণ ৬০ হবে। এমনিভাবে সব রোজার সাওয়াব মিলে ৩৬০ দিন হয়ে গেল। আর আরবি দিনপঞ্জির হিসেবে ৩৬০ দিনেই তো বছর পূর্ণ হয়। 
শিক্ষা : হাদিস দু’টি থেকে আমরা যে শিক্ষা পেয়ে থাকি তা হলো-
শাওয়ালের ছয়টি রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত অবগত হওয়া গেল। ক্ষুদ্র আমল কিন্তু অর্জন বিশাল। 
বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর সীমাহীন দয়ার বহিঃপ্রকাশ। অল্প আমলেই অধিক প্রতিদান প্রাপ্তির নিশ্চয়তা।
কল্যাণকর কাজে প্রতিযোগিতাস্বরূপ এই ছয় রোজার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা মুস্তাহাব, যাতে রোজাগুলো ছুটে না যায়। কোনো ব্যস্ততাই যেন পুণ্য আহরণের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। 
নফলগুলো ফরজের ত্রুটিগুলোর ক্ষতিপূরণ করে। অর্থাৎ জ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাতসারে রোজাদার কর্র্তৃক যে ভুলত্রুটি হয়ে থাকে নফল রোজা তা দূর করতে সহায়তা করে।
কখন এবং কিভাবে রাখব : শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখা যাবে মাসের শুরু-শেষ-মাঝামাঝি সব সময়। ধারাবাহিকভাবে বা বিরতি দিয়ে যেভাবেই করা হোক, রোজাদার অবশ্যই এর সাওয়াবের অধিকারী হবেন। এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, শাওয়ালের ছয় রোজার সাথে রমজানের কাজা রোজা আদায় হবে না। উভয় রোজাই আলাদা আলাদা রাখতে হবে। প্রথমে রমজানের কাজা রোজা রাখতে হবে, তারপর ছয় রোজা রাখতে হবে। যদি পুরো মাসই কাজা রোজায় শেষ হয়ে যায় এবং নফল রোজা রাখার সুযোগ না পাওয়া যায়, তবুও মহান আল্লাহ বান্দার মনের আকাক্সক্ষার কারণে তাকে ওই ছয় রোজারও সাওয়াব দেবেন বলে আমরা আশা করি। উল্লেখ্য, শাওয়ালের রোজা হচ্ছে নফল আর রমজানের রোজা হচ্ছে ফরজ। আর রমজানের কাজা রোজা আদায় করাও ফরজ।
শেষ কথা : প্রত্যেক সুস্থ সবল ব্যক্তির উচিত শাওয়াল মাসের ফজিলতপূর্ণ ছয়টি রোজা রেখে মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভে ধন্য হওয়া এবং পূর্ণ এক বছর রোজা রাখার সমান সাওয়াব হাসিল করা। কোনো ভাই যদি তার অপর কোনো ভাইকে এই রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন এবং সে যদি তার পরামর্শে রোজা রাখেন, তবে উদ্বুদ্ধকারী রোজাদারের সমান সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য, কেউ নফল রোজা রেখে ভেঙে ফেললে তার কাজা আদায় করা ওয়াজিব।মহান আল্লাহ মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁরই ইবাদতের জন্য। এ মর্মে আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি জিন ও মানবজাতিকে আমারই ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’ (সূরা জারিয়াত : ৫৬)। ইবাদতের মাধ্যমেই বান্দাহ মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভে ধন্য হতে পারে। প্রতিটি নেক কাজেই রয়েছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদানপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা। নেক ইবাদতের প্রতিদান প্রসঙ্গে মহানবী সা: বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা যেকোনো নেক আমলই করবে, আমার কাছে তার ১০ গুণ সাওয়াব প্রস্তুত আছে।’ (হাদিসে কুদসি)। ১০ গুণ সাওয়াব দেয়ার এই ওয়াদা দুনিয়ার কোনো মানুষের নয়, বরং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই করা হয়েছে। আর এটিকে কোনো বিশেষ নেকির সাথেও সীমাবদ্ধ করা হয়নি; বরং বলা হয়েছে যেকোনো ধরনের নেকি, হোক তা ফরজ কিংবা নফল। হোক একবার সুবহান আল্লাহ বলা কিংবা আলহামদু লিল্লাহ বলা। তার সাওয়াব ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে। মহান আল্লাহর একান্ত ইচ্ছা তাঁর প্রত্যেক বান্দাহ তাঁরই ইবাদত সম্পন্ন করার মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে। ইবাদত মূলত দুই প্রকার। ফরজ ইবাদত, যেমন- নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। নফল ইবাদত- নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, দান-খয়রাত, নফল রোজা রাখা ইত্যাদি। মানবজাতি মূলত তখনই মহান আল্লাহর নিকট প্রকৃত সম্মানিত ও প্রিয় হবে যখন তার প্রতিটি কাজ হবে একমাত্র তাঁরই উদ্দেশে। সুখ-দুঃখে একমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে, তাঁকেই ভালোবাসবে। তাঁরই নৈকট্য লাভের চেষ্টায় সব সময় ব্যস্ত থাকবে। ফরজ ইবাদত সম্পন্ন করার সাথে সাথে নফল ইবাদতে অধিক মনোযোগী হবে। নফল ইবাদতগুলোর মধ্যে নফল রোজা বান্দাকে অতি সহজেই মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছে দেয়। কারণ রোজা এমন একটি ইবাদত, যা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঢালস্বরূপ এবং এর প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ নিজে দেবেন। মহানবী সা:-এর বাণী : মুসলমান ব্যক্তি যাতে শুধু রমজানের রোজা রেখেই থেমে না যায়, বরং অল্প কিছু রোজা রেখে পুরো বছরের রোজা রাখার মর্যাদা লাভ করতে পারে তার এক মহাসুযোগ করে দিয়ে মহানবী সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে ফরজ রোজা পালন করল, অতঃপর শাওয়াল মাসে আরো ছয় দিন রোজা পালন করল, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।’ (সহি মুসলিম)। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি যখন রমজান মাসের রোজা রেখে তার সাথে সাথে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখল, সে এই রোজার কারণে মহান আল্লাহর দরবারে পূর্ণ একটি বছর রোজা রাখার সাওয়াব পেয়ে গেল। অপর এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে শাওয়াল মাসে ছয় দিন রোজা রাখবে, সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।’ (মুসনাদে আহমদ, দারেমি)। বিশ্লেষণ : যদি কোনো ব্যক্তি রমজান মাসের ৩০টি রোজা রাখে, তাহলে তার ১০ গুণ ৩০০ রাত হবে। আর শাওয়ালের ছয় রোজার ১০ গুণ ৬০ হবে। এমনিভাবে সব রোজার সাওয়াব মিলে ৩৬০ দিন হয়ে গেল। আর আরবি দিনপঞ্জির হিসেবে ৩৬০ দিনেই তো বছর পূর্ণ হয়। শিক্ষা : হাদিস দু’টি থেকে আমরা যে শিক্ষা পেয়ে থাকি তা হলো- শাওয়ালের ছয়টি রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত অবগত হওয়া গেল। ক্ষুদ্র আমল কিন্তু অর্জন বিশাল। বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর সীমাহীন দয়ার বহিঃপ্রকাশ। অল্প আমলেই অধিক প্রতিদান প্রাপ্তির নিশ্চয়তা। কল্যাণকর কাজে প্রতিযোগিতাস্বরূপ এই ছয় রোজার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা মুস্তাহাব, যাতে রোজাগুলো ছুটে না যায়। কোনো ব্যস্ততাই যেন পুণ্য আহরণের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। নফলগুলো ফরজের ত্রুটিগুলোর ক্ষতিপূরণ করে। অর্থাৎ জ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাতসারে রোজাদার কর্র্তৃক যে ভুলত্রুটি হয়ে থাকে নফল রোজা তা দূর করতে সহায়তা করে। কখন এবং কিভাবে রাখব : শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখা যাবে মাসের শুরু-শেষ-মাঝামাঝি সব সময়। ধারাবাহিকভাবে বা বিরতি দিয়ে যেভাবেই করা হোক, রোজাদার অবশ্যই এর সাওয়াবের অধিকারী হবেন। এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, শাওয়ালের ছয় রোজার সাথে রমজানের কাজা রোজা আদায় হবে না। উভয় রোজাই আলাদা আলাদা রাখতে হবে। প্রথমে রমজানের কাজা রোজা রাখতে হবে, তারপর ছয় রোজা রাখতে হবে। যদি পুরো মাসই কাজা রোজায় শেষ হয়ে যায় এবং নফল রোজা রাখার সুযোগ না পাওয়া যায়, তবুও মহান আল্লাহ বান্দার মনের আকাক্সক্ষার কারণে তাকে ওই ছয় রোজারও সাওয়াব দেবেন বলে আমরা আশা করি। উল্লেখ্য, শাওয়ালের রোজা হচ্ছে নফল আর রমজানের রোজা হচ্ছে ফরজ। আর রমজানের কাজা রোজা আদায় করাও ফরজ। শেষ কথা : প্রত্যেক সুস্থ সবল ব্যক্তির উচিত শাওয়াল মাসের ফজিলতপূর্ণ ছয়টি রোজা রেখে মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভে ধন্য হওয়া এবং পূর্ণ এক বছর রোজা রাখার সমান সাওয়াব হাসিল করা। কোনো ভাই যদি তার অপর কোনো ভাইকে এই রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন এবং সে যদি তার পরামর্শে রোজা রাখেন, তবে উদ্বুদ্ধকারী রোজাদারের সমান সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য, কেউ নফল রোজা রেখে ভেঙে ফেললে তার কাজা আদায় করা ওয়াজিব।

২৯৪

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭