সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে ইচ্ছাকৃতভাবে পান, আহার ও যৌন তৃপ্তি থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলা হয়। প্রত্যেক আকেল (বোধ সম্পন্ন), বালেগ (বয়সপ্রাপ্ত) ও সুস্থ নর-নারীর উপর রমজানের রোজা রাখা ফরজ।
ছেলে-মেয়ে দশ বৎসরের হয়ে গেলে তাদের দ্বারা (শাস্তি দিয়ে হলেও) রোজা রাখানো কর্তব্য। এর পূর্বেও শক্তি হলে রোজা রাখার অভ্যাস করানো উচিত।
রোজার নিয়তের মাসায়েল:
* রমজানের রোজার জন্য নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত ব্যতীত সারাদিন পানাহার ও যৌনতৃপ্তি থেকে বিরত থাকলেও রোজা হবে না।
* মুখে নিয়ত করা জরুরী নয়। অন্তরে নিয়ত করলেই যথেষ্ট হবে, তবে মুখে নিয়ত করা উত্তম।
* মুখে নিয়ত করলেও আরবীতে হওয়া জরুরী নয়; যে কোন ভাষায় নিয়ত করা যায়। নিয়ত এভাবে করা যায়, আরবীতে, নাওয়াইতো বিসাওমিল ইয়াওমি।
বাংলায়, আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম।
* সূর্য ঢলার দেড় ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত রমজানের রোজার নিয়ত করা দুরস্ত আছে, তবে রাতেই নিয়ত করে নেয়া উত্তম। [জাওয়াহেরে ফিক্বহ, খ. ১]
* রমজান মাসে অন্য যে কোন প্রকার রোজা বা কাযা রোযার নিয়ত করলেও এই রমজানের রোজা আদায় হবে। অন্য যে রোজার নিয়ত করবে সেটা আদায় হবে না।
* রাতে নিয়ত করার পরও সুবহে সাদেকের পূর্ব পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস জায়েয। নিয়ত করার সাথে সাথেই রোজা শুরু হয় না, বরং রোজা শুরু হয় সুবহে সাদেক থেকে।
সেহরীর মাসায়েল:
* সেহরী খাওয়া জরুরী নয় তবে সেহরী খাওয়া সুন্নাত, অনেক ফজীলতের আমল, তাই ক্ষুধা না লাগলে বা খেতে ইচ্ছে না করলেও সেহরীর ফজীলত হাছিল করার নিয়তে যাই হোক কিছু পানাহার করে নিবে।
* নিদ্রার কারণে সেহরী খেতে না পারলেও রোজা রাখতে হবে। সেহরী না খেতে পারায় রোজা না রাখা অত্যন্ত পাপ।
২৬৬
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে ইচ্ছাকৃতভাবে পান, আহার......