তাওয়াফ করার নিয়ম :
%%%%%%%%%%%%%%
হজে গমনকারীরা হজের কার্যাবলী সম্পন্ন করার পর সবচেয়ে বেশি তাওয়াফ করে থাকেন।
কারণ আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন বাইতুল্লাহর প্রতি ১২০টি রহমত নাজিল করেন। তন্মধ্যে অর্ধেক রহমত নাজিল করেন বাইতুল্লাহ তাওয়াফকারীদের জন্য। তাছাড়া বাইতুল্লাহ তাওয়াফ হজের তিনটি রুকনের মধ্যে তৃতীয়।
তাই বাইতুল্লাহ তাওয়াফের নিয়ম জানা অত্যন্ত জরুরি। বাইতুল্লাহ তাওয়াফের নিয়ম তুলে ধরা হলো
-তাওয়াফহাজরে আসওয়াদ যে কোনায় অবস্থিত, সেখান থেকে তাওয়াফের জায়গার ওপর দিয়ে মসজিদে হারামের দিকে একটা দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া আছে। সে দাগে দাঁড়িয়ে বাইতুল্লাহর দরজার দিকে অগ্রসর হওয়া। অগ্রসর হওয়ার সময় নামাজের নিয়তের মতো করে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার` বলে প্রদক্ষিণ শুরু করা এবং তাওয়াফের দোয়া পড়া।
তাওয়াফ আদায়কালে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে, তাহলো
১. ইযতিবা করাবীর-বাহাদুরিসূলভ চাদর পরিধান করা। এতে চাদরের মধ্যভাগ থাকবে ডান বগলের নিচে। অর্থাৎ গায়ের চাদরটি বিশেষ কায়দায় গায়ে জড়ানোর নাম হলো ইযতিবা। অর্থাৎ গায়ের চাদরটি একটি প্রান্ত বাম পাশের বুকের ওপর রেখে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে পেছনের দিকে নিয়ে ডান বগলের নিচ দিয়ে সামনে এনে অপর প্রান্তটি আবার বাম কাঁধের ওপর দিয়ে পেছনের দিকে ফেলা।সহজ কথায় চাদরটিকে মাফলারের মতো করে ডান বগলের নিচ দিয়ে প্যাচ দিয়ে বাম কাঁদের ওপর দিয়ে সামনে এক মাথা ফেলা এবং পিছনের দিকে এক মাথা ফেলা।
২. হাতিমে কাবাসহ তাওয়াফরুকনে শামিতে অবস্থতি অর্ধবৃত্তাকার অংশটিকে হাতিমে কাবা বলা হয়। বাইতুল্লাহ তাওয়াফকালে হাতিমে কাবাকেও প্রদক্ষিন করা। কারণ হাতিমে কাবাও তাওয়াফের অন্তর্গত।৩. হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু এবং শেষতাওয়াফ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু হয়ে মুলতাযেম, কাবা শরিফের দরজা, হাতিমে কাবা হয়ে রুকনে শামি শেষ করে রুকনে ইয়েমেনি অতিক্রম করে আবার হাজরে আসওয়াদে এসে শেষ করা। এভাবে বাইতুল্লাহকে সাতবার প্রদক্ষিন করা।
যখনই হাজরে আসওয়াদের নিকট পৌছবে তখনই তাকবির বলে হাজরে আসওয়াদে চুমু খাওয়া। প্রত্যেকবার হাজরে আসওয়াদ থেকে প্রদক্ষিন শুরু করতে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠিয়ে শুরু করা। ভিড়ের কারণে চুম্বন করতে না পারলে ইশরা করে আবার প্রদক্ষিন শুরু করা।বাইতুল্লাহ প্রদক্ষিন করার সময় রুকনে ইয়েমেনি কর্ণার অতিক্রমকালে সম্ভব হলে চুম্বন করা বা হাতে স্পর্শ করা। ভিড় থাকলে প্রয়োজন নেই।
৪. রমল করাবাইতুল্লাহকে সাতবার প্রদক্ষিনের মাধ্যমে তাওয়াফ সমাপ্ত হয়।
এ সাত চক্কর দুইভাগে বিভক্ত।
প্রথম তিন চক্বরকে রমল বলে। অর্থাৎ বীর দর্পে দ্রুততার সঙ্গে তাওয়াফ করা।
পরবর্তী চার চক্কর স্বাভাবিকভাবে হেটে সমাপ্ত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্দরভাবে বিশ্বনবির মতাদর্শ অনুযায়ী বাইতুল্লাহকে তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুন।
১০১৭
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
তাওয়াফ করার নিয়ম : %%%%%%%%%%%%%% হজে গমনকারীরা হজের কার্যাবলী সম্পন্ন......
ঈমান নষ্ট হওয়া কয়েকটি আমল ********-----********** ১. গায়রুল্লাহর কাছে দোয়া......
সবর কী? ---------------------- সবরের আভিধানিক অর্থ বাধা দেয়া বা বিরত......
হজ্জের পরিচয় ঃ --------------------------- হজ্ব এর আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ:......
ব্লু হোয়েল গেমস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা......
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত &&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&& পুরো কুরআন শরীফের গুরুত্বপূর্ণ......
যে সব কারণে অজু ভংগ হয়ঃ ***************************** ১. প্রসাব বা......
ইহরাম কি? ********** ُ (ইহরাম) শব্দটি حَرَامٌ (হারাম) শব্দ থেকে......
সুরা ইখলাস পাঠের ফযিলত @@@@@@@@@@@@ ১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে......
কোরবানি কি: ***************** কোরবানি এটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলঃ......