সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

আপনার সন্তানকে সালাতেরনির্দেশ দিন
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : সোমবার ১০/০৭/২০১৭

আপনার সন্তানকে সালাতেরনির্দেশ দিন রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকেবর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছি, তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর সবাই তোমরাজিজ্ঞাসিত হবে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে। ইমাম তথা জনতারনেতা একজন দায়িত্বশীল; তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কেজিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ দায়িত্বশীল তার পরিবারের; সেজিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। স্ত্রী দায়িত্বশীল তারস্বামীর গৃহ ও সন্তানের; সে জিজ্ঞাসিত হবে তাদের দায়িত্বসম্পর্কে। মানুষের (দাস) ভৃত্য দায়িত্বশীল মুনিবেরসম্পদের, সে জিজ্ঞাসিত হবে তার মুনিবের সম্পদসম্পর্কে। অতএব, সতর্ক থেকো, তোমরা সবাই দায়িত্বশীলআর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে।’ (বুখারী :৭১৩৮; মুসলিম : ৪৮২৮; আবূ দাউদ : ২৯৩০) ইমাম নববী রহ. বলেন, তিনিই পূর্ণ ‘দায়িত্বশীল’, যিনিরক্ষণাবেক্ষণকারী, বিশ্বস্ত, নিজ দায়িত্ব ও নজরাধীন বিষয়েরকল্যাণ ও স্বার্থ সম্পর্কে সজাগ। এ থেকেই বুঝা যায়, তারনজরাধীন যত বিষয় রয়েছে, তার কাছে সে বিষয়ে ইনসাফকাম্য। তার দুনিয়া ও আখিরাত এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কল্যাণকাম্য। আজকাল অনেক বাবা-মাই মনে করেন সন্তানেরখাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা পর্যন্তইতাদের দায়িত্ব সীমিত। কখনো খেলাধুলা ও বস্তুগত আরওকিছুকে এর সঙ্গে যোগ করা হয়। অথচ তারা তাদের সার্বিককল্যাণ বয়ে আনতে পারেন না। কারণ তাদের গুরুত্বেরসবটুকু জুড়ে থাকে শারীরিক প্রতিপালন, কখনো বুদ্ধিবৃত্তিকলালনকেও এর সঙ্গে যোগ করা হয়। তবে রুহ তথা আত্মারখোরাক সম্পর্কে উদাসীনতা দেখানো হয়। অথচ বাস্তবেমানুষ প্রথমে রূহ, তারপর বুদ্ধি অতপর দেহ। সন্তানকে দুনিয়াদারির সঙ্গে সঙ্গে আখিরাতের প্রস্তুতিরশিক্ষা দিতে হবে। জাগতিক সব শিক্ষা-দীক্ষার পাশাপাশিপারলৌকিক জ্ঞানও দিতে হবে। শরীয়তের যাবতীয় হুকুম-আহকামের ইলম শেখাতে হবে। শুধু ধারণা দেয়াই যথেষ্ট নয়;সার্বিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে তার অনুশীলনও করাতে হবে।মৌলিক দীনী জ্ঞান এবং আমল-ইবাদত শেখাতে হবে। আরঈমানের পর সবচে গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক চর্চিত আমল হলোসালাত। সন্তানকে তাই সালাত আদায় করা শেখাতে হবে।শিক্ষা দিতে হবে সালাত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ইলম। সালাতের অপরিসীম গুরুত্বের কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম শৈশব-কৈশোর থেকেই সন্তানকেসালাতে অভ্যস্ত করাতে বলেছেন। অথচ সাধারণ মুসলিমরাতো দূরের কথা, আমরা যারা নিয়মিত সালাত আদায় করি,শরীয়তের গণ্ডির মধ্যে থেকে জীবন যাপনের চেষ্টা করি,তারাও এ ব্যাপারে কর্তব্যে অবহেলা করি। নিজে ঘুম থেকেজেগে ফজরের সালাত আদায় করতে মসজিদে যাই অথচপাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা সন্তানকে ডেকে সঙ্গে নিয়ে যাই না। অনেকে সন্তানের ঘুম ভাঙ্গানোকে ভালোবাসার অন্তরায়ভেবে এ ব্যাপারে উদাসীনতা দেখান। তারা কি জানেন,সাহাবীদের বাণী হিসেবে অনেক সময় বলা হয়েথাকে, কিয়ামতের দিন সন্তানরা পিতামাতার পেছনে লেগেথাকবে। তারা চিৎকার করে বলবে, হে পিতা, আপনিআমাকে ধ্বংস করেছেন কেন?!!তারপরও কিভাবে পিতা-মাতারা কলিজার টুকরা সন্তানদের জাহান্নামের জ্বালানিহিসেবে বেড়ে উঠতে দেন?!! বরং তারা জাহান্নামে পৌঁছারসব সামগ্রী তাদের জন্য ক্রয় করে দেন। এমনটি হবার কারণসাধারণ পিতা-মাতার ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা আর যারাইসলাম সম্পর্কে জানেন, তাদের ইসলামের নির্দেশনা মতোসন্তানের লালন-পালন সম্পর্কে না জানা। এর সিংহভাগইসন্তানের প্রতি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে। এ কারণেই পিতৃত্ব ওমাতৃত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক দায়িত্ব, যা সীমাহীনগুরুত্বের দাবি রাখে। তাই মুসলিম নর-নারীকে এ দায়িত্বেরজন্য নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত। মুসলিম বিদ্যালয়গুলোরকর্তব্য আগামী প্রজন্মকে এ দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত হিসেবেগড়ে তোলা। তাদেরকে এ দায়িত্বের সঙ্গে যথাযথভাবেপরিচিত করা। কখন সন্তানকে সালাতেরনির্দেশ দেয়া হবে আমর বিন শুয়াইব তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনাকরেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের সন্তানদের সাত বছর হলে তাদের সালাতেরনির্দেশ দাও, তাদের বয়স দশ বছর হলে এ জন্য তাদেরপ্রহার করো এবং তাদের পরস্পরে বিছানা পৃথক করেদাও।’ (আবূ দাউদ : ৪৯৫; মুসনাদ আহমদ : ৬৬৮৯) মু‘আয বিন আব্দুল্লাহ বিন হাবীব আল-জুহানী সূত্রে হিশামবিন সা‘দ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা হিশামের কাছে গেলাম। তিনি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেসকরলেন, শিশু কখন সালাত আদায় করবে? তিনিবললেন, আমাদের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলতেন তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করাহয়েছিল। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘যখন সে তার ডানকে বামথেকে আলাদা করতে পারবে, তখন তাকে সালাতের নির্দেশদাও’।’ (আবূ দাউদ : ৪৯৭; বাইহাকী, সুনান আল-কুবরা :৫২৯৬) ‘অর্থাৎ শিশু যখন ডান ও বামের মাঝে পার্থক্য করতেপারবে। আর সাধারণত এ যোগ্যতা সপ্তম বছরে পৌঁছারপরই হয়।’ (আউনুল মা‘বুদ : ২/১৬৫) আব্দুল মালেক বিন রবী‘ বিন সাবরা তার বাবা থেকে এবংতিনি দাদা সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলেন, ‘বাচ্চাকে সালাত শিক্ষা দাও যখন সে সাত বছর বয়সী হয়এবং এর জন্য তাকে প্রহার করো যখন সে দশ বছর বয়সীহয়।’ (তিরমিযী : ৪০৭; ইবন খুযাইমা :১০০২; তাবরানী, আল-মু‘জামুল কাবীর : ৬৪১৮।) কাতারে বাচ্চাদের অবস্থান আবূ মালেক আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু তা‌’আলা আনহু থেকেবর্ণিত, ‘আমি কি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরসালাত সম্পর্কে বলব না? তিনি বলেন, অতপর তিনি সালাতকায়েম করেন। পুরুষদের কাতার করেন, তাদের পেছনেবাচ্চাদের কাতার করেন এবং তাদের নিয়ে সালাত আদায়করেন। অতপর তিনি তাঁর সালাতের উল্লেখ করেন এবংবলেন, এমনই সালাত। আব্দুল আ‘লা বলেন, আমার মনেতিনি বলেছেন, (এমনই) আমার উম্মতের সালাত। (আবূদাউদ : ৬৭৭; তাবরানী) হাদীসটি এ কথা প্রমাণ করে যে, পুরুষের কাতার হবেশিশুদের কাতারের আগে আর শিশুদের কাতার হবেনারীদের কাতারের আগে। তবে শিশুর সংখ্যা দুই বাততোধিক হলে এ কথা প্রযোজ্য। অন্যথায় শিশু একজনহলে সে পুরুষদের কাতারে ঢুকে পড়বে। কাতারের পেছনেসে একা দাঁড়াবে না। ইমাম সাবকী এই মত প্রদান করেছেন। শিশুকে কখন সালাত শেখাতেহবে বলাবাহুল্য যে শিশুকে সালাতের নির্দেশ দানের আগে তাকেতা শেখাতে হবে। সে যা চেনে না আমরা তার নির্দেশ দেই কীকরে? তাইতো ইবন আবিদ্দুনইয়া রহ. আবদুল্লাহ ইবন উমররাদিয়াল্লাহু তা‌’আলা আনহু সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনিশিশুদের সালাত শেখাতেন যখন তারা ডান থেকে বামশিখত। জুনদুব বিন আবী ছাবেত থেকে বর্ণিত, তিনিবলেন, (সাহাবীদের) শিশুরা যখন বিশ পর্যন্ত গুনতে শিখতোতখনই তাঁরা তাকে সালাত শিক্ষা দিতেন। (আল-ইয়াল : ১/৪৭৩।) শিশু পঞ্চম বছরে পৌঁছলে তাকে অযূর ফরয, সালাতেররুকন শেখাতে হবে। সূরা ফাতিহা মুখস্থ করাতে হবে। রুকূ‘ ওসিজদা শেখাতে হবে। শিশু হলো আদর্শ অনুকরণকারী। সেযখন তার পিতামাতাকে সালাত আদায় করতে দেখবে, তখনসেও তাদের অনুকরণ করতে শুরু করবে। এ জন্যপিতামাতার উচিত নিজেদের সালাতকে শুদ্ধ করা এবংসুন্নত তরীকায় ও সঠিক পদ্ধতিতে সালাত আদায় করা। সাত বছরে কেন সালাতেরনির্দেশ? সাত বছর বয়সে মানুষ তার জীবনের দ্বিতীয় পর্ব শুরুকরে। একে বলা হয় শৈশবের সমাপ্তিকাল অথবা বুদ্ধিরবিকাশকাল। এ পর্বের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।যেমন : ১. বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিশুর বুদ্ধির দিগন্ত প্রসারিতহয়। সে নিত্য অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং তার সামাজিকপরিবেশের ব্যপ্তি ঘটে। ২. এ পর্বে শিশু প্রশংসা ও স্তুতি পছন্দ করে। এ প্রশংসা ওধন্যবাদ পেতে সে তার বড়দের (পিতামাতা, শিক্ষক) সন্তুষ্টকরতে চায়। বোধসম্পন্ন শিশুকে যা মুরুব্বিদের সামনেবিনম্র করে। সে তাদের অবাধ্য হয় না। বরং গুরুত্ব দিয়েতাকে যা নির্দেশ দেয়া হয় সে তা বাস্তবায়ন করে। ৩. জীবন সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় সম্পর্কে সে জানতেপারে। ধারণা পেতে থাকে সে চারিত্রিকমাপকাঠি, মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি গঠন, দায়িত্ব বহনের জন্যপ্রস্তুতি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণসহ প্রভৃতি বিষয়। এ জন্যই এপর্বকে সামাজিক অধ্যয়নের সবচে উপযুক্ত পর্ব হিসেবে গণ্যকরা হয়। ৪. সাত বছরের সমাপ্তি অবধি পিতা-মাতা পর্যন্তই শিশুরশিক্ষাগ্রহণ সীমিত থাকে। প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম শ্রেণী পর্যন্তশিশু তার শিক্ষকের চেয়ে পিতামাতা থেকেই বেশি গ্রহণ করেথাকে। বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত শিশু তার পিতা-মাতারকাছ থেকে তার সব কৌতূহল নিবারণ করতে চায়। ফলেতার পিতা-মাতা তাকে যা-ই বলেন, সেটাকে সে সঠিক বলেইমনে করে। এ পর্বের পর শিশু ক্রমশ পিতামাতার সুদৃঢ়প্রভাববলয় থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। অষ্টম ও নবমবছরে পৌঁছে স্বার্থক শিক্ষকের প্রভাব পিতা-মাতার প্রভাবেরসমান হয়ে যায়। আর বয়োসন্ধির সূচনায় পিতামাতার কর্তৃত্বথেকে তার স্বাধীন হয়ে যাওয়াই প্রমাণ করে যে সেদিনেরশিশুটি আজ সাবালক হয়ে পড়েছে। ৫. যেহেতু সপ্তম বছরে পদার্পণ করে শিশু ভালো-মন্দেরপার্থক্য বুঝতে শুরু করে এবং প্রশংসা ও সুনাম কুড়ানোরমানসে পিতামাতাকে সন্তুষ্ট করতে সচেষ্ট হয়, তাই এ বয়সেযদি তাকে সালাতের নির্দেশ প্রদান করা হয়, তবে সে হৃষ্টচিত্তে ও খুশি মনে নির্দেশ বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবে। পক্ষান্তরেএকাদশ ও তার পরবর্তী বছরগুলোতে বিনা বাক্য ব্যয়েপিতা-মাতার নির্দেশ মেনে নেয়াকে সে এখনো শিশু থাকারপ্রমাণ বলে ভাবে, যা সে ছেড়ে আসতে চায়। আর সাবালকহবার পর অনেক সন্তান তার পিতামাতার বিরুদ্ধাচারণকেতাদের যৌবন ও তারুণ্যের প্রতীক মনে করে। ৬. শৈশবের সূচনা ও সমাপ্তিকাল অতিক্রমকালে শিশু চায়বড়দের অনুকরণ করে নিজেকেও বড় হিসেবে প্রকাশকরতে। এ সময় তাকে ছোট বলা হলে সে ব্যথিত হয়। একারণে আপনি তাদের দেখবেন তারা সতীর্থদের সঙ্গেবিদ্যালয়ে যেতে এবং বড়দের মতো মসজিদে গিয়ে সালাতআদায় করতে আগ্রহী থাকে। সালাতের গুরুত্ব আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ওপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্তসালাত ফরজ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের যা-ইনির্দেশ দিয়েছেন, তার সুফল ও উপকারিতা আমরা দুনিয়া ওআখিরাত উভয় জগতে লাভ করি। সালাতের উপকারিতারমধ্যে রয়েছে : আত্মিক প্রতিপালন, খাদ্য ও পানীয় দেহেরবৃদ্ধি ঘটায়। আর রূহের বৃদ্ধি ঘটে যখন সে তার স্রষ্টার সঙ্গেযোগাযোগ স্থাপন করে সালাত, কুরআনতিলাওয়াত, রোজা, হজ, জিকির, দু‘আ ও ইবাদতেরমাধ্যমে। আর সালাত হলো আত্মার পরিচর্যার সর্বোত্তম মাধ্যম। একারণে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ওপর দিন-রাতে পাঁচওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছেন। যাতে রূহের সঙ্গে তাররবের যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন থাকে এবং তা দুর্বল না হয়েপড়ে। সাথে সাথে যাতে দেহ তার কামনা ও রিপুসহ ব্যক্তিরওপর বিজয়ী না হয়।আল্লাহ তা‘আলা দেহকে সৃষ্টি করেছেনরূহের একটি বাহন হিসেবে। রূহ যখন মানুষের দেহকেপরিচালনা করে তখন মানুষ সত্যিকার মানুষে পরিণত হয়।পক্ষান্তরে রূহ যখন দেহের অনুগত হয়ে পড়ে মানুষ তখনতার মনুষ্যত্ব থেকে শূন্য হয়ে পড়ে। এখানেই সালাতের গুরুত্ব নিহিত। সালাত তাই দীনেরস্তম্ভ। যে ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ত্যাগ করে সে যেন কাফিরহয়ে পড়ে। এ থেকেই সন্তানকে সালাতের প্রশিক্ষণ দেয়ারগুরুত্ব বুঝা যায়। সন্দেহ নাই এর গুরুত্ব কুরআন, লেখাপড়াও হিসাব-নিকাশ শেখানোর চেয়ে বেশি। পিতা-মাতারা কিএর গুরুত্ব অনুধাবন করেন? কত অভিভাবকই তো আছেনযারা তাদের সন্তানকে দশ বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে আনা-নেয়াকরেই ক্লান্ত। কখনো তারা তাদের হোমওয়ার্ক করাতে গিয়েরাত্রি জাগরণও করেন। অথচ সন্তানদের সালাতের গুরুত্বসম্পর্কে অধিকাংশ পিতা-মাতাই বেখবর। অনেক উদাসীনমুসলিম মনে করেন তার সন্তান বড় হলে ঠিকই সালাতআদায় করবে। সাবালক না হওয়া পর্যন্ত তার আর সালাতকী! অথচ অধিকাংশ পিতা-মাতাকেই দেখা যায় তাদেরসাবালক সন্তানের সালাতের ব্যাপারেও গাফেল। তাদেরকেসালাতের জন্য কোনো কথাই বলেন না। আর সন্তানদেরদেখা যায় বাবা-মা’র সঙ্গে সালাতের ব্যাপারে চালাকি ওধুর্তামি করতে। তারা মনে করে এখন কেন আমরা তো বুড়োবয়সে তারা সালাত কায়েম করবো। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে সঠিক পদ্ধতিতে নিজেসালাত আদায় করা এবং সন্তানদের সালাত শিক্ষা দেবারতাওফীক দান করুন। আমাদের সন্তানগুলোকে সাহাবীদেরসন্তানের মতো আদর্শ মানুষ বানিয়ে দিন। আমীন। লেখকঃ  আলী হাসান তৈয়ব প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না ‘আপনিও হোন ইসলামেরপ্রচারক’ প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্যকরে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদেরEmail Address সহ অন্য Social Networkingওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যেইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। “কেউ হেদায়েতের দিকেআহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকেরসমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণকরেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা” [সহীহ্ মুসলিম:২৬৭৪]

২৫০

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭