১।অধিক পরিমানে নফল রোযা পালনঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,রমযানের পর সর্বোত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মহররম (মাসের রোযা)। (সহীহ মুসলিম-১১৬৩, জামে তিরমিযী-৪৩৮,৭৪০, ইবনে মাজাহ-১৭৪২)। এ হাদীসে মহররম মাসে বেশী পরিমাণে নফল রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ-গোটা মহররম মাসই নফল রোযার জন্য উত্তম।(তোহফাতুল আহওয়াজী-৩/১৬৪)
২।বেশী বেশী নেক আমল করাঃ
মহররম মাসের ফযিলত বিবেচনা করে নফল রোযার পাশাপাশি গোটা মাসে বেশী বেশী নফল নামায আদায়, কুরআন তিলাওয়াত,দোয়া-দরুদ,যিকির-আযকার,তাসবীহ-তাহলীল ও দান-সাদকা করা যেতে পারে। এছাড়া আশুরার দিনকে কেন্দ্র করে হামদ-নাত পরিবেশন ও ওয়াজ-নসিহত মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে।
৩।আশুরার রোযা পালনঃ
মহররমের ১০ তারিখ তথা আশূরার রোযা রাখা মুস্তাহাব। আশূরার রোযার ব্যাপারে হযরত আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আশূরার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দিবেন।(সহীহ মুসলিম-১১৬২, জামে তিরমিজী-৭৫২,ইবনে মাজাহ-১৭৩৮)
তবে কোনো সক্ষম,সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য শুধু আশুরার দিন রোযা রাখা মাকরুহ , তার আগে অথবা পরে অর্থাৎ মহররমের ৯ বা ১১ তারিখ রোযা রাখতে রাসূল (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন, যা রাখা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে এক হাদীসে এসেছে যে, ‘তোমরা আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।’-(মুসনাদে আহমদ ১/২৪১, ইবনে খুযাইমা-২০৯৫)
কোনো কোনো আলেম এ বিষয়ে বর্ণিত সব হাদিসের ওপর আমল করার জন্য মহররমের ৯, ১০ ও ১১ তারিখ তিন দিনই রোজা রাখার কথা মুস্তাহাব বলেন ।
৪।বিদয়াতী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকাঃ
মুহাররম মাসে আশুরাকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে এমন কিছু কাজ সংঘঠিত হয়, যা শরীয়ত সমর্থিত নয়। আলোকসজ্জা, আতশবাজি, দুটি কবুতর জবাই, কালো কাপড় পরিধান, সত্তরদানা ভাত পাকানো, জারিগান, তাজিয়া, মিছিল, মর্সিয়া, হাহুতাশ, আহজারী ও শোক প্রকাশ করা, শোক প্রকাশার্থে বক্ষে ও পিঠে ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত করা সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী কাজ। এ সমস্ত বিদয়াতী কর্মকান্ড থেকে মুসলিম উম্মাহর পরহেয থাকা ইমানী দায়িত্ব।
৫। আশুরায় পরিবারে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করাঃ
এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-'হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিনে আপন পরিবার-পরিজনের মধ্যে পর্যাপ্ত খানাপিনার ব্যবস্থা করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা পুরো বছর তার রিজিকে বরকত দান করবেন। (তাবরানি : ৯৩০৩)
উল্লিখিত হাদিস সম্পর্কে অনেক মুহাদ্দিস আপত্তিকর মন্তব্য করলেও বিভিন্ন সাহাবি থেকে এটি বর্ণিত হওয়ায় আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতীসহ অনেক মুহাক্কিক আলেম হাদিসটি গ্রহণযোগ্য ও আমলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।(জামিউস সগির-১০১৯)
সুতরাং যদি কেউ উপরোক্ত হাদিসের ওপর আমল করার মানসে এ দিন পরিবারে উন্নত খানাপিনার ব্যবস্থা করে, তাতে শরিয়তের কোনো বাধা-নিষেধ নেই। তবে স্মরণ রাখতে হবে, কোনোক্রমেই যেন তা বাড়াবাড়ি ও সীমালংঘনের স্তরে না পৌঁছে।
৪১৩
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
মহররম মাসকে আল্লাহ তায়ালা সম্মানিত মাস চতুষ্ঠয়ের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। এ......
কুরবানীর মাসয়ালা ধারাবাহিকভাবে সামনে আসছে ...
১।অধিক পরিমানে নফল রোযা পালনঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত,......