দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তির দোয়া
হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর এ বাক্যটি তিনবার বলবে, আল্লাহতায়ালা তাকে তিনটি রোগ থেকে মুক্ত রাখবেন। যথা- অন্ধত্ব, বিকলাঙ্গতা ও পক্ষাঘাত। -
মুসনাদে আহমাদ: ২০৬০২
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহিল আজিমি ওয়া বিহামদিহি।
অর্থ : আমি সুমহান আল্লাহতায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। আলেমরা আরও বলেছেন, এ দোয়া পাঠে বিভিন্ন ধরনের দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে আল্লাহতায়ালা তার বান্দাকে হেফাজত করেন।
শ্রেষ্ঠ দোয়া
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ্, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্। ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে সুখ দান কর, আখেরাতেও সুখ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। -সূরা আল বাকারা: ২০১ৎ ফজিলত:
এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়ে থাকে। নবী করিম (সা.) এ দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করতেন। বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত কাতাদাহ (রহ.) সাহাবি হজরত আনাসকে (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, নবী করিম(সা.) কোন দোয়া বেশি করতেন? উত্তরে সাহাবি হজরত আনাস (রা.) উপরোক্ত দোয়ার কথা জানালেন। তাই হজরত আনাস (রা.) নিজে যখনই দোয়া করতেন- তখনই দোয়াতে এই আয়াতকে প্রার্থনারূপে পাঠ করতেন। এমনকি কেউ তার কাছে দোয়া চাইলে তিনি তাকে এ দোয়া দিতেন। -সহিহ মুসলিম: (৭০১৬)
হজরত আনাস (রা.) আরও বলেন, আল্লাহতায়ালা এ দোয়ায় দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কল্যাণ ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা একত্রিত করে দিয়েছেন।
ধৈর্যধারণ করা ও সালাতে মগ্ন হওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, وسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلاةِ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ”
‘আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের ওপর কঠিন।’ (সূরা বাকারা : ৪৫)
আল্লাহ তাআলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلاةِ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ”
‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা বাকারা : ১৫৩)
একাকিত্ব ও নির্জনতা ত্যাগ করা। কারণ এ সময় শয়তান অধিক প্রবঞ্চনা দিয়ে থাকে। অবাস্তব জিনিস নিয়ে বেশি চিন্তা না করা। যেমন, কতক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে ভাবা, যা বাস্তবায়ন করা খুবই কষ্টকর বা দুঃসাধ্য। বিশেষ করে ঘুমের সময়। আর চোখে ঘুম না থাকলে বিছানায় না যাওয়া। কারণ, এ পরিস্থিতি চিন্তা ও অন্তর ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, যার সূত্র ধরে চিন্তা ও পেরেশানীর জন্ম হয়।
৬৭৮
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তির দোয়া হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ......